গাছ কেটে বিক্রি নিয়ে বিবাদে হাবরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ-কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের সিদ্দিক হোসেনকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল কিছু দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে হাবরার গুমা-চৌমাথা এলাকার একটি সারের দোকান থেকে গুরুতর জখম ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে পুলিশ হাবরা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সিদ্দিক পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ আমিরুল রহমান নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। সিদ্দিকের বাড়ি রাউতারা পঞ্চায়েতের বালুইগাছি গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে মোটরবাইকে চেপে সিদ্দিক গুমা-চৌমাথায় নিজেদের দোকানে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী বাইক থেকে নামিয়ে তাঁকে একটি অটোরিকশায় তোলার চেষ্টা করে। পালাতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর শুরু করে। স্থানীয় মানুষের হস্তক্ষেপে তিনি রক্ষা পান। হামলাকারীরা তাঁকে একটি সারের দোকানে ফেলে রেখে পালায়। সিদ্দিক বলেন, “রড, লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওরা পরিকল্পিত ভাবে খুনের উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল।” স্থানীয় বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “গুমা-চৌমাথা এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তারা চোলাই মদ এবং গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। সিদ্দিক ওই সব ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার উপরে হামলা চালানো হল। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।” অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, “ওরা আমাদের নামে দোষ চাপিয়ে যদি শাস্তি পায়, তা হলে পাক। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সকলেই চেনেন। আমাদের দল ওই ঘটনা সমর্থন করে না।” পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাউতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেআইনি ভাবে বহু গাছ কেটে বিক্রি করা হয়। যিনি ওই গাছগুলি কেনেন, মঙ্গলবার প্রধান কল্যাণ বৈদ্য তাঁকে এ সংক্রান্ত নথিপত্র দেখানোর জন্য সাত দিন সময় দেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “হামলাকারীরা এ দিন সকালে প্রধানের বাড়িতে গিয়েও ঝামেলা বাধায়। পরে সিদ্দিকের উপরে চড়াও হয়। কারণ, ওই পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রে সিদ্দিকের ভূমিকা রয়েছে। আমরা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।” |