দীপাবলিতে থিম আর রঙিন আলোয় সেজেছে কল্যাণী শিল্পাঞ্চলের কালী পুজোর মণ্ডপ। এমনিতে এই শহর দিনের বেলা সরগরম থাকলেও রাত ন’টার পরে চুপ করে যায়। রাস্তায় লোকজনও কমে যায়। গোটা বছর মানুষের সংযোগও তেমন থাকে না। কিন্তু দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে শহরের উন্মাদনাও জেগে উঠেছে।
মণ্ডপে মণ্ডপে ছুটছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। এত আলোর ব্যবস্থা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খাওয়ার যোগাড়। |
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কল্যাণীতে প্রায় একশ’টি কালীপুজো হয়। এর মধ্যে কুড়ি-বাইশটি পুজো বড় আকারের। কল্যাণী বি-২ এর ফ্ল্যাশ অ্যাসোসিয়েশনের রজতজয়ন্তী বর্ষে এ বার গোটা মণ্ডপটাই কাচের তৈরি। তাইল্যান্ডের একটি চার্চের আদলে তৈরি মণ্ডপ রাতে আলোর ছটায় ভরে উঠেছে। কৃষ্ণনগরের সাবেক প্রতিমায় শ্যামা রূপ। শুধু পুজোই নয় প্রতি বছর দুঃস্থদের কম্বল বিতরণ ও দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই বিতরণও এই পুজোর অঙ্গ। কল্যাণী সীমান্তে বি-১ আঠএই পুজোটি প্রতিবারই খুব বড় আকারে এই পুজো হয়। সন্ধ্যায় মণ্ডপের সামনে জলসা বসে। আঠারোর পল্লির সমবয়সী কল্যাণী সেন্ট্রাল পার্ক যুব গোষ্ঠীর পুজো। মাদুরের বিশালাকায় মণ্ডপে মানানসই আলো। সন্ধ্যার পর মণ্ডপটি দেখলে স্বর্ণমন্দিরের মতো মনে হয়। বি-১৩ ও ১৪’র পেঙ্গুইন ক্লাবের পুজোও নজরকাড়া। |
এ ব্লকে রেলওয়ে রিক্রিয়েশন ক্লাবের পুজোর থিম দর্শনার্থীদের নিয়ে যাবে পাহাড়ি উপত্যকায়। পাহাড়ের কোলে যেন পাথর খোদাই করে তৈরি হয়েছে মন্দির। সেই মন্দিরেই দেবীর অধিষ্ঠান। এ ব্লকের মিত্র কলোনির পুজো বয়সে নবীন। আট বছরের পুজোর এ বারের থিম হানাবাড়ি। গা ছমছমে ভৌতিক পরিবেশ। জ্যান্ত ভূতের দেখা মিললেও মিলতে পারে। হানাবাড়ি তৈরি হয়েছে বি-৯’এ কল্যাণী থানার মাঠেও। এই কালী পুজোটির উদ্যোক্তা কল্যাণী থানা। মায়ের আরাধনায় ক’দিন ধরেই মেতে উঠেছেন পুলিশ কর্মীরাও। বড় পুজোগুলির মধ্যে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পাশে বন্ধু মহল, সাত এর পল্লি বা ইএসআই হাসপাতালের পাশে আমরা সবাই ক্লাবের পুজোও আকর্ষণীয়। তবে এত থিমের মধ্যেও সেন্ট্রাল পার্কের কাছে এইচ এস ৯০-এর পুজো’র কথা না বললে কল্যাণীর পুজোর আবেগটাই মাটি হয়ে যায়। ১৯৯০ সালে এলাকার উচ্চমাধ্যমিক দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা মিলে এই পুজো শুরু করেছিলেন বন্ধুত্ব অটুট রাখতে। |