টুকরো খবর
তৃণমূলের নেতৃত্বে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলনে গিয়ে ২০০৭-এর ১৪ মার্চ পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন তিনি। এ বার দলেরই কিছু লোকজনের মারে গুরুতর জখম হলেন গোকুলনগরের সেই যুবক অভিজিৎ গিরি। হলদিয়ার একটি কারখানায় ঠিকা-শ্রমিকের কাজ করেন অভিজিৎ। হলদিয়া শিল্পতালুকের কসবেড়িয়ায় একটি শিল্পসংস্থার প্রকল্প এলাকায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সেখানেই ছিলেন অভিজিৎ-সহ ৭ শ্রমিক-কর্মচারী। অভিযোগ, বুধবার ভোরের দিকে দলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর কিছু সশস্ত্র লোক হামলা চালায় ওই কার্যালয়ে। অভিজিৎকে টেনে বের করে মাথায় চপার দিয়ে মারা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল হয়ে তাঁকে কাঁথির একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হন অন্য জনা ছয় শ্রমিকও। শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়টিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ইউনিট সভাপতি আনন্দ ভুঁইয়ার অভিযোগ, “স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়দেব গায়েন ও ছবিলাল ভুঁইয়ার নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে বলে অনুমান।” জয়দেববাবুরা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী আনন্দ ভুঁইয়াদের ওই শ্রমিক সংগঠনটির সঙ্গে ‘দলের কোনও যোগ নেই’ বলে দাবি করেছেন। ঘটনাটিকে ‘অরাজনৈতিক’ বলেও মন্তব্য করেছেন সাংসদ। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনের দাবি, “হামলাকারীরা সমাজবিরোধী।” যদিও হলদিয়া শিল্পতালুকে একাধিক কারখানায় ঠিকা-শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমেই বাড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবারের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দময়ীর পুজো রামনগরে
বছর বিরাশি আগে রামনগর থানার কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলায় শক্তিদেবীর আরাধনা শুরু করেছিলেন পাঁচ উৎসাহী যুবক। ধু-ধু বালিয়াড়ির মাঝখানে বটতলায় খড়ের চালা বানিয়ে শ্যামা-মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁরা। কথিত আছে, বটতলার এই শ্যামা মায়ের কাছে ভক্তিভরে কোনও নিবেদন রাখলেই তা পূর্ণ হত। ধীরে-ধীরে দিকে-দিকে কল্পতরু শ্যামামায়ের কাহিনী ছড়িয়ে পড়ে। ‘মা আনন্দময়ী’ নামে তাঁকে ডাকতে শুরু করেন ভক্তজনেরা। এই ভাবেই ব্রজমোহন বড়পণ্ডা, তারিণীপ্রসাদ দাস মহাপাত্র, কাঙালীচরণ বড়পণ্ডা, গিরীশচন্দ্র বড়পণ্ডা আর জিতেন্দ্রনাথ মহাপাত্রের পুজো ক্রমে সর্বজনীন পুজোর চেহারা নেয়। কৃপাধন্য ভক্তেরা ইতিমধ্যেই মা আনন্দময়ীর জন্য সুদৃশ্য পাকা-মন্দির করে দিয়েছেন। নিরাভরণ মা আজ আপাদমস্তক স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিতা। স্থানীয় গ্রামবাসীরা মায়ের নামে গ্রামের একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ করেছেন। মন্দিরের পুরোহিত প্রভাকর মিশ্র জানান, মনোবাসনা পূণর্র্ করতে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ পুজোর সময় আসেন। মন্দিরের উন্নতিকল্পেও নিয়মিত অর্থ দান করেন ভক্তেরা। শক্তির উপাসনার জন্য এই পুজোর প্রচলন হলেও পুরোপুরি বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। পুজোকমিটির সভাপতি অহীন্দ্র মাইতি ও সম্পাদক ননীগোপাল মণ্ডল জানান, দীপাবলির সময় মা আনন্দময়ীর পুজোকে ঘিরে সপ্তাহব্যাপী মেলা বসে। মন্দিরের অন্যতম সেবাইত-পরিচালক পুলক বড়পণ্ডা জানান, নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় পুজোর ক’দিন।

বিজেপি নেতাকে মারধরে ধৃত এক
চণ্ডীপুরে বিজেপি-র দুই নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত সোমবার চণ্ডীপুরের হবিচক গ্রামে দোকানঘর দখল নিয়ে গণ্ডগোলের সময় বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তপন কর ও ব্লক নেতা নারায়ণ পাণ্ডেকে একদল তৃণমূল কর্মী মারধর করেন বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত তপনবাবু ও নারায়ণবাবুকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় মুয়াদপুর গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মহেশ্বর সাহু-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রহৃত দুই নেতা। বুধবার দুপুরে ওই তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর নাম বাবলু গুড়িয়া। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এখনও ঘটনাটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলে দাবি করেছেন। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “ওই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত ছিল না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। ধৃত ব্যক্তির সঙ্গেও দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” এ দিকে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় পাণিগ্রাহী।

মাওবাদীদের প্রতিরোধের ডাক
মহিলাদের উপর অত্যাচার করার অভিযোগে মাওবাদীদের প্রতিরোধ করার ডাক দিয়ে প্রচারপত্র মিলল বলরামপুর স্টেশনে। নারী-সম্মান রক্ষা কমিটি নামে নতুন একটি সংগঠনের কিছু প্রচারপত্র বুধবার সকালে পুরুলিয়ার বলরামপুর স্টেশনে সাঁটানো ছিল। তাতে লেখা, মাওবাদের নাম করে মেয়েদের উপর অত্যাচার করা হয়। ট্রেনিংয়ের নামে যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে। মাওবাদী নেত্রী শোভা মান্ডি ওদের অত্যাচারে দল ছেড়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। আরও লেখা রয়েছে, মাওবাদীরা মহিলাদের বিধবা করেছে, সন্তানহারা করেছে। দিনের পর দিন এ সব হতে দেওয়া যাবে না বলে মাওবাদীদের প্রতিরোধ করার ডাক দেওয়া হয়েছে।

বাস চলাচল শুরু
বাসকর্মীরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় অবশেষে চালু হল তমলুক-পাঁশকুড়া রুটের বাস চলাচল। বাসমালিকেরা পুজোর বোনাস না দেওয়ায় গত ১৭ অক্টোবর কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন এই রুটের বাসকর্মীরা। টানা ন’দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যাপক সমস্যা হয় যাত্রীদের। সমস্যা মেটাতে মঙ্গলবার জেলা পরিবহণ আধিকারিকের দফতরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে মালিকপক্ষ বোনাস দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি তুলে নেন বাসকর্মীরা। বুধবার বিকেল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.