|
|
|
|
আলো-রঙে অন্য রকম দীপাবলি আইআইটিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
দীপাবলি মানেই আলোর রোশনাই। আর খড়্গপুর আইআইটিতে সেই আলোর খেলাই পেয়ে যায় অন্য মাত্রা। আলোর মায়ায় জুড়ে থাকে গভীর চিন্তা ও প্রযুক্তির ছাপ। প্রতি বছরই দীপাবলির দিন আইআইটির ছাত্রছাত্রীরা ‘ইলুমিনেশন’ ও ‘রঙ্গোলি’এই দুই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আইআইটি-র এক-একটি ছাত্রাবাস এক-একটি ‘হল’। এ রকম ২০টি হলের মধ্যে এ বারের প্রতিযোগিতায় যোগ দিল ১৭টি হল। কয়েকটি হল ইলুমিনেশন অর্থাৎ আলোকসজ্জায় অংশ নিয়েছে। আর কয়েকটি হল রঙের প্রতিযোগিতায়। এই রঙের প্রতিযোগিতাই ‘রঙ্গোলি’। রঙ দিয়েই ফুটিয়ে তোলা হয় নানা ‘থিম’। যে হলের আলোকসজ্জা বা রঙের কাজ যত সুন্দর হবে, তারাই পাবে পুরস্কার।
|
|
রঙ্গোলির থিমে বিষ্ণুর দশাবতার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এ বারের সেই ‘ইলুমিনেশন’ আর ‘রঙ্গোলি’তেই ‘থিম’ হিসাবে উঠে এসেছে স্বাধীনতা অর্জনের সময় থেকে একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি, দেশের প্রাচীন স্থাপত্য ও শিল্পকলা। বিদ্যাসাগর হলের আলোকসজ্জার থিম হয়েছে ‘দুর্নীতি’। লালা লাজপথ রায় হল করেছে ‘তাজমহল’। আবার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু হলের বিষয় ‘প্রাচীন স্থাপত্য’। স্থাপত্যের তালিকায় তাজমহল, কোনারকের সূর্য মন্দির, সাঁচীস্তূপ থেকে হাওড়া সেতু। কোনও হলের থিমে তুলে ধরা হয়েছে গাঁধীজির ‘ডান্ডি অভিযান’, ‘মধুশালা’ বা ‘বিষ্ণুর দশাবতার’। ২০ ফুট উঁচু বাঁশের ফ্রেমে ২০ থেকে ৩০ হাজার প্রদীপ সাজিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক-একটি ‘থিম’।
বিদ্যাসগর হলের গবেষক ছাত্র সৌমেন কর, লালা লাজপথ রায় হলের স্বর্ণেন্দু বাগ বলেন, “দুর্গাপুজোর আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। এমনিতেই পড়াশোনার চাপ থাকে। তার মাঝেই সময় বের করে সব ছাত্র মিলেই এই কাজ করি।” স্টুডেন্টস্ অ্যাফেয়ার্সের ডিন সৌভিক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “অন্য বারের তুলনায় এ বার ছাত্রছাত্রীদের ইলুমিনেশন ও রঙ্গোলি আরও সুন্দর ও গভীর চিন্তাপ্রসূত হয়েছে।”
|
|
|
|
|
|