স্থায়ী মন্দিরে আনন্দময়ীর আরাধনা
ছর বিরাশি আগে রামনগর থানার কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বটতলায় শক্তিদেবীর আরাধনা শুরু করেছিলেন পাঁচ উৎসাহী যুবক। ধু-ধু বালিয়াড়ির মাঝখানে বটতলায় খড়ের চালা বানিয়ে শ্যামা-মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন তাঁরা। কথিত আছে, বটতলার এই শ্যামা মায়ের কাছে ভক্তিভরে কোনও নিবেদন রাখলেই তা পূর্ণ হত। ধীরে-ধীরে দিকে-দিকে কল্পতরু শ্যামামায়ের কাহিনী ছড়িয়ে পড়ে। ‘মা আনন্দময়ী’ নামে তাঁকে ডাকতে শুরু করেন ভক্তজনেরা। এই ভাবেই ব্রজমোহন বড়পণ্ডা, তারিণীপ্রসাদ দাস মহাপাত্র, কাঙালীচরণ বড়পণ্ডা, গিরীশচন্দ্র বড়পণ্ডা আর জিতেন্দ্রনাথ মহাপাত্রের পুজো ক্রমে সর্বজনীন পুজোর চেহারা নেয়।
নিজস্ব চিত্র।
কৃপাধন্য ভক্তেরা ইতিমধ্যেই মা আনন্দময়ীর জন্য সুদৃশ্য পাকা-মন্দির করে দিয়েছেন। নিরাভরণ মা আজ আপাদমস্তক স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিতা। স্থানীয় গ্রামবাসীরা মায়ের নামে গ্রামের একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ করেছেন। মন্দিরের পুরোহিত প্রভাকর মিশ্র জানান, মায়ের কাছে মানত রাখলে মনোবাসনা পূণর্র্ হবেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ পুজোর সময় আসেন। পুজোর পাশাপাশি মন্দিরের উন্নতিকল্পেও নিয়মিত অর্থ দান করেন ভক্তেরা। শক্তির উপাসনার জন্য এই পুজোর প্রচলন হলেও পুরোপুরি বৈষ্ণব মতে পুজো হয়।
পুজোকমিটির সভাপতি অহীন্দ্র মাইতি ও সম্পাদক ননীগোপাল মণ্ডল জানান, দীপাবলির সময় মা আনন্দময়ীর পুজোকে ঘিরে সপ্তাহব্যাপী মেলা বসে। মন্দিরের অন্যতম সেবাইত-পরিচালক পুলক বড়পণ্ডা বলেন, পুজোর পাশাপাশি মেলা দেখতেও বহু মানুষ ভিড় জমান। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় পুজোর ক’দিন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.