বি টি রোড দিয়ে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের জট এ বার খুলতে চলেছে বলে মনে করছেন রেল ও কলকাতা পুরসভার কর্তারা। সম্প্রতি রেল, নির্মীয়মাণ সরকারি সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড ও কলকাতা পুরসভার মধ্যে এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এই সমাধান সূত্র মিলেছে বলে পুরসভা এবং রেল বোর্ড সূত্রে খবর।
তবে বি টি রোড দিয়ে মেট্রো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হলে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নতুন বিকল্প পথেরও সন্ধান দিয়েছে। সেটি হল, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মেট্রো নিয়ে যাওয়া। ওই রুটে সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, বি টি রোডের যেখান দিয়ে মেট্রো রেল যাওয়ার কথা তার নীচে কলকাতা পুরসভার একটি ৬২ ইঞ্চি ও একটি ৪০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই রাস্তায় আরও একটি ৬৪ ইঞ্চি পাইপ বসানোর কাজ চলছে। নতুন সেই পাইপটি বসানোর কাজ শেষ হয়ে গেলে ৬২ ইঞ্চির পাইপটি বন্ধ থাকলেও শহরবাসীরা অনেক বেশি জল পাবেন বলে পুরসভার দাবি। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নতুন ওই পাইপ বসানোর কাজ শেষ হলে তবেই মেট্রো রেলকে কাজ করতে দেওয়া হবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় আরও একটি পাইপের দরকার রয়েছে, তা হলে তা মেট্রো রেল বসাবে।”
তবে পুরসভা বা রেল বোর্ডের কর্তারা যা-ই বলুন না কেন, বি টি রোডের নীচ দিয়ে যে ভাবে পলতা থেকে বি টি রোড হয়ে টালা পর্যন্ত পানীয় জলের পাইপ বসানো রয়েছে, তার পুরো নকশা পুরসভার কাছেও নেই। রাস্তার ঠিক কোথায়, কোন পাইপটি বসানো রয়েছে তা সঠিক ভাবে বোঝা না গেলে ওই কাজে সমস্যা হতে পারে বলেও পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশের বক্তব্য। তা ছাড়া, ওই পাইপগুলি এতই পুরনো যে সেগুলি নতুন করে সরাতে গেলেও বিপদ।
ফলে কাজ শুরু হওয়ার পরেই বোঝা যাবে কী ভাবে সেই কাজ এগোবে।
রেল সূত্রে খবর, নোয়াপাড়া থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের কাজের অনুমতি মিলেছিল ২০১০ সালের রেল বাজেটে। তখন ১৪.৫ কিলোমিটার মেট্রোর ওই নতুন পথ তৈরির খরচ ধরা হয়েছিল ২০৬৯.৬ কোটি টাকা। তার পরে দেড় বছর কেটে গিয়েছে। উপরন্তু ঠিক হয়েছে, নতুন পাইপলাইন বসানোর পরেই মেট্রোকে কাজ করতে দেওয়া হবে। ফলে আরও ৮-১০ মাস অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ ২০১২ সালের অগস্টের আগে নতুন প্রকল্পের কাজই শুরু করা যাবে না। |