কালীপুজোর দিন সকালে আগুন লেগে গুরুত্বপূর্ণ নথি-সহ বহু জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেল কালনা শহরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়।
কালনা শহরের সিদ্ধেশ্বরীতলার কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে রয়েছে এই ব্যাঙ্কের শাখাটি। বাড়ির নীচের দু’টি তলায় চলে ব্যাঙ্কের কাজকর্ম। তিন তলায় থাকেন বাড়ির মালিক মানিক কুমার এবং তাঁর পরিবারের লোকজন। তার উপরের তলায় রয়েছে সেচ দফতরের কার্যালয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দেখা যায়, দ্বিতীয় তলা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। তবে এলাকার বাসিন্দা সিদ্ধেশ্বর দাসের অভিযোগ, “দমকল অফিসে ফোন করা হলে প্রথমে ধরা হয়নি।” |
বুধবার সকালে কেদারনাথ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি। |
সাড়ে ৭টা নাগাদ দমকলের কালনা শাখার একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ততক্ষণে অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে দমকলের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে প্রথমে জলের সমস্যায় পড়েন। পুরসভার তরফে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় হ্যাচারি ব্যবসায়ী বিনয় রায় পুকুর থেকে জল তোলার জন্য তাঁর তিনটি পাম্প ঘটনাস্থলে পাঠান।
দমকল কর্মীরা প্রথমে বাড়ির তিন তলায় আটকে পড়া মানিকবাবুর স্ত্রী, মেয়ে ও পরিচারিকাকে। পাশের বাড়ি থেকে মইয়ের সাহায্যে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। ব্যাঙ্কের বেশ কিছু কম্পিউটার-সহ নানা আসবাব ও নথিপত্র নষ্ট হয়ে যায়। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার মানিককুমার দে অবশ্য এ দিন বলেন, “এখনই ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাচ্ছে না।” প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে দমকলের কালনা শাখা কাজ করলেও পরে নবদ্বীপ ও কাটোয়া থেকেও ইঞ্জিন আসে। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। |