বাড়ি বাড়ি ঘুরে অথবা কোনও দোকানে গিয়ে চাঁদা তুলে পুজো হয় না কাটোয়ার ক্ষ্যাপাকালী মায়ের। শুধুমাত্র পুজোর দিন মন্দির চত্বরে চাঁদা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এক দিনেই লক্ষাধিক টাকা চাঁদা উঠেও যায়। আর সেই টাকা দিয়েই ফি বছর মন্দির উন্নয়নের কাজ করা হয়, জানান ক্ষ্যাপাকালী মাতা পুজো কমিটির সদস্যরা।
পুজো কমিটির সম্পাদক সমর দত্ত বলেন, “বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলি না। পুজোর দিন দর্শণার্থীরা চাঁদা দিয়ে যান। মন্দির চত্বরে বেশ কয়েকটি চাঁদা নেওয়ার জায়গা থাকে।” এ বছর এই সর্বজনীন পুজোর বাজেট প্রায় ২ লক্ষ টাকা। কালীপুজোর দিন শুধু কাটোয়া শহরই নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারাও ‘ক্ষেপী মা’-র মন্দিরে যান। পুজো কমিটির সভাপতি সুফল দত্ত বলেন, “ফি বছর লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। তাই পুলিশের পাশাপাশি আমরা স্বেচ্ছাসেবকেরও ব্যবস্থা করেছি।” |
ক্ষেপী মা সারা বছর কাঠামোয় পূজিত হন। কালীপুজোর সময় নতুনভাবে মূল্যবান গয়না দিয়ে সাজানো হয় দেবীকে। আজ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গয়না পরেই শহর পরিক্রমা করবেন দেবী। স্বভাবতই চিন্তায় রয়েছে কাটোয়া মহকুমা পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। সোমবার রাত থেকেই মন্দির চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করেছে মহকুমা পুলিশ। কাটোয়ার ওসি রাজর্ষি দত্ত বলেন, “দেবীর গায়ে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না থাকে। তাই জেলা থেকে ১৫০ জন পুলিশকর্মী চাওয়া হয়েছে।”
ক্ষেপী মা রাতভর পূজিত হন। দুপুর বেলায় দর্শনার্থীদের জন্য ভোগের ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানান পুজো কমিটির সহ-সম্পাদক সনৎ মণ্ডল। তিনি বলেন, “আতপ চাল, মুগ ডাল সহকারে দেবীর ভোগ তৈরি করা হয়। মন্দির চত্বরেই দর্শনার্থীদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকে।”
আজ, বৃহস্পতিবার বিসর্জন হবে দেবীর। আর তার পরে ফের খড়ের কাঠামোতেই বছরভর পুজো হবে ক্ষেপী মায়ের। |