টুকরো খবর
অপবাদে আত্মঘাতী
এক ছাত্রের ২৪০ টাকা চুরি গিয়েছিল। সকলে মিলে সন্দেহ করে হস্টেলের ছাত্র নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে। টাকা চুরির কথা স্বীকার না-করলে হস্টেল থেকে তাঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। অন্যায় না-করেও সহপাঠীদের সামনে হেনস্থা হওয়ার লজ্জায় গলায় দড়ি দিয়ে ছাত্রটি আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের কালিয়াচকের শাহবাজপুরে। মৃত ছাত্রের নাম হাবিবুর রহমান (১৫)। মৃত ছাত্রের গেঞ্জিতে আটকে রাখা কাগজের টুকরোয় একটি সুইসাইড নোটও মিলেছে। তাতে যে ছাত্রের টাকা চুরি যায় তাকে উদ্দেশ্য করে হাবিবুর নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে। চোর অপবাদ সইতে না-পেরেই যে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সে কথাও লেখা রয়েছে। মৃত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে হাবিবুরকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ওই হস্টেল কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।” ওই বেসরকারি হস্টেলের ইনচার্জ সুশান্ত মন্ডলের বক্তব্য, “দুভার্গ্যজনক ঘটনা। এমন হবে ভাবতেই পারিনি।” হস্টেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, হাবিবুরকে খুন করে ফাঁস লাগিয়ে ঝোলানো হয়। হাবিবুরের মা সেতারা বেওয়ার দাবি, “আমার ছেলে কারও টাকা চুরি করতে পারে না।” পাঁচ ভাই এবং দু’বোনের মধ্যে হাবিবুর চতুর্থ। পাঁচ বছর ধরে হাবিবুর শাহাবাজপুরে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছিল। পাঁচ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল না। হস্টেল ইনচার্জ জানিয়েছেন, হাবিবুর অত্যন্ত সৎ ছিল। কখনও মিথ্যে বলত না। ২২ অক্টোবর এক ছাত্রের মানিব্যাগ থেকে ২৪০ টাকা খোয়া যায়। টাকা খোয়া যাওয়ার পর ওই ছাত্র সুপারের কাছে অভিযোগ জানায়। হস্টেল সুপার সুশান্ত মন্ডল বলেন, “টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়ার পরই সমস্ত ছাত্রকে ডেকে জিজ্ঞাসা করি। কেউই টাকা চুরির কথা স্বীকার করেনি। এর পর স্কুলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হস্টেলের এক ছাত্র আমার মোবাইল ফোনে জানায় হাবিবুর রহমানের বিছানার নীচে ২৪০ টাকা পাওয়া গিয়েছে।”

ট্যাঙ্কে পড়ে মৃত ৩ কর্মী
সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে মৃত্যু হল ৩ জনের। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ইসলামপুর থানার ধনতলা এলাকায়। পুলিশ জানান, মৃতদের নাম মহম্মদ সাগির (৪৫), রবি অগ্রবাল (২৩) এবং সুজিত দাস (২২)। তিনজনের বাড়ি ধনতলাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রামঅবতার অগ্রবালের বাড়িতে পাঁচিল পরিস্কার করার কাজ করছিলেন সাগির। তিনি সেপটিক ট্যাঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকনা ভেঙ্গে ট্যাঙ্কের ভিতরে পড়ে যান। তাঁর চিৎকারে শুনে রামবাবুর বড় ছেলে তাঁকে উদ্ধার করতে যান। ট্যাঙ্কের ভিতর বাঁশ ফেলে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে তিনিও পা ফসকে ট্যাঙ্কের ভিতরে পড়ে যান। বিষয়টি জানতে পারে রামবাবুর দোকানের এক কর্মচারি সুজিত সেখানে তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে। সুজিতও সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে যায়। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ইসলামপুর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক ইন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “সেপটিক ট্যাঙ্কে গ্যাসের কারণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ৩টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”

খুন, নালিশ
পণের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় এক বধূকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার ধোওয়া বিশুয়া এলাকায়। মৃতার নাম মমতা বেগম (২৬)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বধূকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতার বাবা মহম্মদ সকিরুদ্দিন ওই বধূর স্বামী, শ্বশুর-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ করেছেন। প্রায় তিন বছর আগে পেশায় চাষি গোলাম মর্তুজার সঙ্গে মমতার বিয়ে হয়। মৃতার বাবার অভিযোগ, বিয়ের ছয়মাস পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন মমতার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু করে। সম্প্রতি ফের টাকার দাবিতে অত্যাচার শুরু হয়। তা না পেয়ে মারধর করে শ্বাসরোধ করে মমতা খুন করা হয়েছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি জ্যোতিষ রায় বলেন, “অভিযুক্তেরা পলাতক। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.