বছর ঘুরতেই ফের পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভাপতিকে সরাতে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন দলীয় সদস্যরাই। মালদহের রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির ঘটনা। অনাস্থায় আগের সভাপতির অপসারণের পর গত বছরই ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন আয়নাল হক। ফের একই রকম অভিযোগ এনে মঙ্গলবারই মহকুমা শাসকের দফতরে বর্তমান সভাপতির অপসারণ চেয়ে আবেদন করেছেন দলীয় সদস্যদের একাংশ। সভাপতির বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই ঘটনা বলে দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে। চাঁচলের এসডিও পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতির অপসারণ চেয়ে ১০ জন সদস্য আবেদন করেছেন। এ বার আইন মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” ২৯ আসনের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেসের ১৯টি, বামেদের ৯টি ও একটি নির্দলের আসন ছিল। পরে অবশ্য নির্দল সহ দুই বাম সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেন। সভাপতি হন মহম্মদ হেসামুদ্দিন। সভাপতি পদ নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। তার জেরে গত বছরই অনাস্থায় হেরে অপসারিত হন মহম্মদ হেসামুদ্দিন। সভাপতি হন আয়নাল হক। কয়েকমাস গড়াতেই ফের শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অনাস্থা চেয়ে আবেদনকারী ১০ সদস্যের মধ্যে ৭ জনই বিভিন্ন দফতরের কর্মাধ্যক্ষ। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রেজাউল হকের নেতৃত্বে ওই অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদন করা হয়েছে। রতুয়া পঞ্চায়েতে বারবার পালাবদলের ওই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু পঞ্চায়েত সমিতি নয়, রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ৩ বার পালাবদল ঘটেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও তার জেরে একাধিকবার পালাবদলের ঘটনায় এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে দলের নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যেও। ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। দ্রুত যাতে সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে।” বর্তমান সভাপতি আয়নাল হক বলেন, “বেশ কিছু সদস্যের অনৈতিক কাজকর্ম মেনে না নেওয়ায় চক্রান্ত করে তারা আমাকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।” |