স্ত্রী-শ্বশুরকে কুপিয়ে মেরে পলাতক স্বামী
স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন প্রথম স্ত্রী। সেই আক্রোশে নিজের প্রথম স্ত্রী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদ থানার শাসন এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সামসুল আলম (৬৫) ও রুবিনা বেগম (২৩)। সম্পর্কে তারা বাবা ও মেয়ে। অভিযুক্তের নাম শেখ আবদুল রজ্জাক। তার বাড়ি অসমের হোজাই এলাকায়। এই ঘটনার পর ওই যুবক পালিয়ে গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “শেখ আবদুল রজ্জাক দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী রুবিনা তাকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই যুবক তাকে ডিভোর্স দিতে রাজি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে গোলমালের জেরে এ দিন শেখ আবদুল রজ্জাক শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
ছবি: তরুণ দেবনাথ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ১০ বছর আগে রুবিনার সঙ্গে শেখ আবদুল রজ্জাকের বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছরের দুটি যমজ ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। শেখ আবদুল রজ্জাক দিল্লিতে ব্যবসা করত। সেখানেই সে ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকত। সম্প্রীতি শেষ আবদুল রজ্জাক দিলিতে এক তরুণীকে বিয়ে করে। এই ঘটনার পর তার প্রথম স্ত্রী রুবিনা শাসন এলাকায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। কয়েক দিন আগে শেখ আবদুল রজ্জাক শাসনে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে রুবিনার কাছে তার ছেলে ও মেয়েকে দাবি করে। রুবিনা ছেলে-মেয়েকে দিতে অস্বীকার করে স্বামীকে ডির্ভোস দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এর পরেই এ দিন ভোররাতে শেখ আবদুল রজ্জাক স্ত্রী রুবিনা ও পেশায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শ্বশুর সামসুল আলমকে আচমকা কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রুবিনা শৌচাগারে যাওয়ার সময় তার সারা শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। মেয়ের চিৎকারে বাবা ঘুম থেকে উঠে বাইরে ছুটে বার হয়ে আসলে শেখ আবদুল রজ্জাক তার গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.