দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে সকলেই
নিজেদের ‘বিচ্ছিন্ন’ মনে হচ্ছে না: গুরুঙ্গ
সেতু ভেঙে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন ১৪৩ জন। কিন্তু, দুর্ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে যে ভাবে সব স্তরের মানুষ দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে পাহাড়-সমতলের মধ্যে এক বেনজির ‘সেতুবন্ধন’ হয়েছে বলে জানালেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। তাঁর কথায়, “এখন আর নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে হচ্ছে না।”
মঙ্গলবার শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে গুরুঙ্গ বলেছেন, “স্বাধীনতার পরে যা হয়নি এ বারে সেটাই হচ্ছে। পাহাড়-সমতলের মধ্যে নজিরবিহীন সেতুবন্ধন হয়েছে। মনে হচ্ছে আমরা নিজেদের ঘরেই আছি।” গুরুঙ্গের সঙ্গে ছিলেন কালিম্পঙের বিধায়ক তথা দলের প্রচার সচিব হরকাবাহাদুর ছেত্রী, সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি-সহ বেশ কয়েক জন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। হাজির ছিলেন শতাধিক মোর্চা কর্মী-সমর্থকও। গুরুঙ্গ পাহাড়-সমতলের মধ্যে সেতুবন্ধনের কথা বলার পরে মোর্চা সমর্থকদের কয়েকজন তো ‘পাহাড়-সমতল ঐক্য দীর্ঘজীবী হোক’ বলে স্লোগানও দেন। তাতে গলা মেলাতে দেরি করেননি নানা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ।
আহতদের দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।
জিটিএ চুক্তি হলেও বরাবরই ‘হৃদয়ে গোর্খাল্যান্ড’-এর স্বপ্ন থাকার কথা বলছেন গুরুঙ্গরা। কিন্তু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাগোড়া পাহাড়-সমতলকে মিলেমিশে থাকার কথাই বলে চলেছেন। মোর্চার প্রচার সচিব হরাকাবাহাদুর ছেত্রী বলেছেন, “পাহাড়ে কিছু একটা ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। সমতলের সব মানুষ সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। এমন ঘটনা তো আগে দেখা যায়নি।”
এই বক্তব্যের পরে মোর্চা নেতাদের সামনে গোর্খাল্যান্ডের প্রসঙ্গ তুলতেই তাঁরা বাধা দিলেন। মোর্চা নেতারা প্রায় একযোগে জানিয়ে দিলেন, এখন রাজনীতির সময় নয়। বরং পাহাড়ের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী কেন বিজনবাড়িতে যাননি, সেই প্রশ্ন তুলছেন তার সমালোচনা করেছেন গুরুঙ্গ। তিনি বলেছেন, “যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁরা ভুল করছেন।” পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব থেকে শুরু করে কংগ্রেস, তৃণমূলের কর্মী ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মী এমনকী শিলিগুড়ির মানুষেরও প্রশংসা করেছেন গুরুঙ্গ।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ মোর্চা নেতারা মেডিক্যাল কলেজে যান। সেখানে ভর্তি আমির শর্মা, সুধীর সুব্বা, মেনুকা গুরুঙ্গরা মোর্চা নেতাদের বলেন, “চিকিৎসকেরা আমাদের বারে বারে খোঁজ নিয়েছেন। কোনও কিছুর অভাব হচ্ছে না। আমরা অনেকটাই ভাল আছি।” হাসপাতালে ছিলেন শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক তথা এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজনবাড়িতে ছোটা রঙ্গিত নদীতে কাঠের ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ১৪৩ জন। এঁদের মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৩ জন, ব্যাঙডুবি সেনা হাসপাতালে ১০ জন, শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি নার্সিংহোমে আরও ১০ জন, দার্জিলিংয়ে ভর্তি আছেন ৭৮ জন। শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রবাবু জানান, সমস্ত রোগীদের চিকিৎসার খরচ বহন করছে সরকার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.