|
|
|
|
বিষ্ণুপুরে পেটের রোগ, মৃত এক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
জ্বর ও বমি-পায়খানার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক যুবকের মৃত্যু হল। তাঁর পরিবারের আরও তিন জনও অসুস্থ। মৃতের নাম আনিসুর হক (২৫)। বিষ্ণুপুর শহরের কাটানধার এলাকায় তাঁর বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার তড়িৎকান্তি পাল বলেন, “বমি-পায়খানার জন্য তাঁর গা গরম ছিল। পেটের গোলমালের চিকিৎসা করছিলাম। সব রকম চেষ্টা সত্বেও এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রক্ত পরীক্ষা করা যায়নি। তাই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়।” পরে বিষ্ণুপুরের সহ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র সাহা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে মৃতের বাড়িতে যান। |
|
চলছে চিকিৎসা। ছবি: শুভ্র মিত্র। |
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনিসুর ও তাঁর ভাই আজিজুর হককে সোমবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে দিন রাতে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয় আনিসুরের ভাইঝি নাসিমা খাতুনকে। পরের দিন সকালে আনিসুরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে দাদার দেহ বাড়িতে নিয়ে যান আজিজুর। গিয়ে দেখেন, তাঁর মা আনিফা বিবিও অসুস্থ।
পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে বিষ্ণুপুরের কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় যান। তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্য কর্তাদের জানাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে সেখানে যান বিষ্ণুপুরের সহ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। সেখানে আজিজুর ও তাঁর মায়ের চিকিৎসা করা হয়। সুভাষবাবু বলেন, “সকলে জ্বর ও পেটের গণ্ডগোলে ভুগছেন। কাজেই খাদ্যে বিষক্রিয়া নাকি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না।” তিনি জানান, হাসপাতালে ওদের কী ধরনের চিকিৎসা হয়েছে সুপারের কাছে জানতে চাইব। মৃত আনিসুরের ভাই আবদুল হক বলেন, “কয়েকদিন ধরেই দুই দাদা জ্বরে ভুগছিল। সেই অবস্থায় পেটের গোলমাল ও বমি শুরু হয়। তাই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যে এক দাদা মারা যাবেন, ভাবতে পারিনি।” বাসিন্দারা জল পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। |
|
|
|
|
|