|
|
|
|
স্বাস্থ্য সচিবের কাছে বিধায়ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি নিয়ে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বললেন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। ১২ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পষর্দের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালকে অতিরিক্ত জেলা হাসপাতালে রূপান্তর করার কথা ঘোষণা করেন। তার পরে এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোনও কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও কেন কাজ শুরু হয়নি তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব সুকুমার ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই হাসপাতালের উন্নতির জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পষর্দ থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। কেন কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে তা নিয়ে শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনে অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি।” বিধায়কের অভিযোগ, হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় কম চিকিৎসক রয়েছে। তা ছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছনতার অভাব রয়েছে। বেশ কিছুদিন হল মহকুমা হাসপালে বিভিন্ন ওয়ার্ডের গেটে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী নেই। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে পুর চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। পানীয় জলের অবস্থা ভালো নয়। বিষয়গুলি স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে যে টাকা আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতলের উন্নতির জন্য বরাদ্দ হয়েছে তা নিয়ে তার কোনও চিঠি আমরা পাইনি। অন্য হাসপাতালের উন্নতির বিষয়টি যেমন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পষর্দের বাস্তুকাররা দেখছেন এ ক্ষেত্রেও হয়তো সেভাবেই কাজ হবে।” আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু অভিযোগ করেন, “এক মাস ধরে হাসপাতালে ওয়ার্ডের গেটগুলোতে নিরাপত্তা রক্ষী নেই। কয়েক মাস আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঠিকাদার সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ না করে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের এই দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। কিছুদিন কাজ করার পর আর ওই সব অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরা আজে আসছেন না। ফলে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন মহকুমা হাসপাতাল। রাতবিরেতে মদ্যপরা ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ছে।” আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেন, “পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|