দিনের পর দিন কৃষিজমি পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে আগামীতে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তাই এই ভুমি সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষে ভারতবর্ষ জুড়ে তার সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। দেশের অন্যান্য জায়গার মতো জলপাইগুড়ি জেলাতেও এই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এতে সামিল করা হয়েছে বিভিন্ন হাইস্কুলের পড়ুয়াদের। উদ্যোক্তা হল ভারত সরকারের ‘শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস’। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে জলপাইগুড়ি জেলার ‘ফুলবাড়ি হাইস্কুলের চার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তারা হল অপির্তা দেব, সুদেষ্ণা দেব, রাবেনা খাতুন ও সৌরভ রায়। এই কাজে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফুলবাড়ি অঞ্চলের বিন্নাগুড়ি মৌজায়। এই সমীক্ষা দলের প্রধান করা হয়েছে অপির্তা দেবকে। গাইড করার জন্য ওই হাইস্কুলেরই শিক্ষক সরিফুল ইসলাম ও শিক্ষিকা সুদেষ্ণা শিকদারকে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের তরফে আগামী ৫-৬ নভেম্বর কলকাতায় একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানেই ওই সমীক্ষা দলের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই সমীক্ষা দলের তরফে জানানো হয়েছে, জেলার মধ্যে যে সমীক্ষা দলের রিপোর্ট সবচেয়ে বেশি বলে বিবেচিত হবে, সেই রির্পোট ফের কেন্দ্রীয় স্তরে পাঠানো হবে। সমীক্ষায় যে দলের রিপোর্ট সবচেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হবে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। ফুলবাড়ি হাইস্কুলের এই সমীক্ষা দলের প্রধান অর্পিতা দেব বলেন, “দিনের পর দিন কৃষিজমির সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। এর ফলে আগামী ভবিষ্যতে দেশে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়ে পারে। এই সঙ্কটকে রুখতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে আমাদের স্কুলের তার ছাত্রছাত্রী এই সমীক্ষার কাজে সুযোগ পেয়েছি। মূলত আমরা ফুলবাড়ি অঞ্চলের বিন্নাগুড়ি মৌজাতে এই সমীক্ষার কাছ করছি।” শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদও জানিয়েছে। বলেন, “শিশু বিজ্ঞানের এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভুমি সম্পদ রক্ষার বিষয় নিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। ওই রিপোর্ট শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে।” আক্ষেপের সঙ্গে ওই সমীক্ষা দলের ছাত্রছাত্রীরা জানায়, শৈশবকাল থেকে এ পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যে সংখ্যক কৃষিজমি চোখে পড়ছে। তা এখন চোখে পড়ছে না। চোখে পড়ে শুধু চা বাগিচা। বড় বড় ব্যবসায়ীরা কলকারখানার নামে একরের পর একর কৃষি জমি কিনে ফেলে রেখেছেন। সমীক্ষা চালিয়ে তারা এও জানিয়েছে, কৃষি কাজের জন্য শ্রমিক মেলে না। সেচের অব্যবস্থা। সুষ্ঠু সেচের অভাবে কৃষিজমি পতিত। এলাকাগুলি ঘুরে ঘুরে যা দেখা গেল, তা ভয়ানক। এই নিয়ে তারা গভীর উদ্যোগ প্রকাশ করে স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতর থেকে থেকে শুরু করে কৃষি দফতর ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চিঠি দিয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তারা মানুষের মধে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রচার চালাবে বলেও জানিয়েছে।
যুবক আটক। এক বধূকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রধাননগর থানার পিছনে এসএনসি রোডে। ওই মহিলার নাম সঙ্গীতা সিংহ। তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে কিছু দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে বধূকে ভয় দেখায়। তারাই তাঁকে ফের ভয় দেখিয়েছে বলে সন্দেহ। ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে এক যুবককে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। |