|
|
|
|
শীতের আগমনী |
দীপাবলির বাধা হবে না বৃষ্টি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মৌসুমি বায়ু আগেই বিদায় নিয়েছে। নিম্নচাপ-ঘূর্ণাবর্তের সাঁড়াশি চাপও নেই।
এ হেন অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। চামড়ায় টান ধরছে। রাতে পাখা চালালে ভোরে গায়ে দিতে হচ্ছে চাদর।
তবে এখনই শীত এসে গেল ধরে নিলে কিন্তু ভুল হবে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, হেমন্তের এই আবহাওয়া আসলে শীতের আগমনী বার্তা। গত সপ্তাহেও কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ঘোরাঘুরি করছিল। সর্বনিম্ন ছিল ২৫ ডিগ্রির বেশি। শেষ আশ্বিনে ভরা ভাদ্রের গুমোটে ঘেমে-নেয়ে একশা হতে হচ্ছিল।
সেই অস্বস্তিকর অবস্থার অবসান হয়েছে। রবিবার থেকে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে যথাক্রমে ৩২ ও ২৩ ডিগ্রিতে, যা কি না কলকাতায় এ সময়ের স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছেন আবহবিদেরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ মঙ্গলবার বলেন, “বছরের এই সময়টায় কলকাতায় যেমন আবহাওয়া থাকা উচিত, এখন তা-ই আছে। এটা শীতের পক্ষে অনুকূল। নতুন কোনও ঘূর্ণাবর্ত তৈরি না-হলে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও নামবে।”
এ দিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে কাশ্মীরে তাপমাত্রা নামছে দ্রুত। সেখানে তুষারপাতও শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে গোটা উত্তর ভারত জুড়ে শীতের পরিমণ্ডল তৈরি হয়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে কখন? কবে শীত পড়বে এখানে? আবহবিদেরা বলছেন, দক্ষিণ ভারতে এখন উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু সক্রিয়। তাই ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় মাঝেমধ্যেই আকাশ মেঘলা থাকবে। এমতাবস্থায় জোরালো
উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে পারবে না। এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। গোকুলবাবুর মতে, শীত আসতে এখনও মাসখানেক। তাঁর কথায়, “নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগে কলকাতায় সাধারণত শীত পড়ে না। এ বারও মনে হচ্ছে, তেমনই হবে।”
কিন্তু ঘূর্ণাবর্ত বিদায় নিলে তো আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা! অথচ মঙ্গলবারেও দিনের সূর্য মাঝেমধ্যে চলে গিয়েছে মেঘের আড়ালে। যা দেখে কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ! দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কি নতুন কোনও ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হল? কালীপুজোর রাত বৃষ্টিতে ভাসবে না তো?
গোকুলবাবু অবশ্য আশ্বস্ত করে বলছেন, “পরিমণ্ডলের খুব উপরের স্তরে একটা ঘূর্ণাবর্ত আছে। যার দরুণ দিনের বেলা মাঝে মধ্যে মেঘ তৈরি হচ্ছে। তা থেকে বৃষ্টি সম্ভাবনা নেই। রাত নামলে ওই মেঘও কেটে যাবে।” অর্থাৎ, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোর রোশনাইয়েও আবহাওয়া বাদ সাধবে না।
দক্ষিণবঙ্গের জন্য সুখবর থাকলেও উত্তরবঙ্গের ভাগ্য কিন্তু খারাপ। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখা থাকায় এ দিন শিলিগুড়ি ও দার্জিলিং পাহাড়ের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরের পূর্বাভাস: আজ, বুধবারেও দার্জিলিঙের পাহাড়, সমতল এবং লাগোয়া জলপাইগুড়ি জেলার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে হাল্কা বৃষ্টি হবে। |
|
|
|
|
|