|
|
|
|
মতুয়া-কল্যাণ চালু রাখতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধী নেতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মতুয়াদের কল্যাণে বামফ্রন্ট সরকার যে ‘কর্মকাণ্ড’ শুরু করেছিল, তা ‘অব্যাহত’ রাখার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তৃণমূল নেত্রী এবং রেলমন্ত্রী হিসাবে মতুয়াদের উন্নয়নকল্পে মমতাও একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। বিধানসভা ভোটে জয়ের পরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মুখ্য উপদেষ্টা বীনাপাণি দেবীর (বড়মা) ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বস্তুত, মমতার সেই ‘মতুয়া-প্রীতি’কেই বিরোধী দলনেতার চিঠির মাধ্যমে কৌশলে কিঞ্চিৎ ‘খোঁচা’ দিতে চেয়েছে সিপিএম।
বর্ণ-জাত-ধর্ম নির্বিশেষে পশ্চাৎপদতা এবং বৈষম্য দূর করার জন্য সমবেত হওয়া মতুয়াদের ঘোষিত উদ্দেশ্য হলেও তাঁদের মধ্যে ৮০% নমঃশূদ্রের উপস্থিতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলি সাধারণত তাঁদের তফসিলি ভোটব্যাঙ্ক হিসাবেই দেখে। গত লোকসভা ভোটে বামেদের তফসিলি ভোটে ধস নামার পর থেকেই মতুয়াদের নিয়ে দুই যুযুধান শিবিরে টানাটানির শুরু। এই প্রেক্ষাপটেই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বড়মার বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের হাতে ‘হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ পুরস্কার’ তুলে দেন। যা বাম আমলে প্রথম! মতুয়াদের সম্প্রদায়ের ‘বরেণ্য ব্যক্তিত্ব’ হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের নামে ওই পুরস্কার বর্তমান রাজ্য সরকারও চালু রাখবে বলে সূর্যবাবু তাঁর চিঠিতে আশাপ্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে সূর্যবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, কপিলকৃষ্ণের অনুরোধেই গত জানুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায় হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের নামে একটি সরকারি কলেজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। নিউ টাউনে তৎকালীন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেবের সহায়তায় হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুর রিসার্চ ফাউন্ডেশন ভবনেরও উদ্বোধন হয়েছিল। কলেজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা এবং ফাউন্ডেশনের স্বাধীন ভাবে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার আর্জিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বাম জমানার বহু কাজই যে ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ‘নস্যাৎ’ করে দিচ্ছেন, মতুয়াদের ক্ষেত্রেও তিনি সেই পথে হাঁটেন কি না, বিরোধী দল তা-ই দেখতে চাইছে বলে সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা। |
|
|
|
|
|