|
|
|
|
জাতীয় সড়কের খন্দে শীঘ্রই প্রলেপ, পরে সংস্কার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জাতীয় সড়কের খানা-খন্দ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সারিয়ে ফেলা হবে। এবং স্থায়ী মেরামতির ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই) ও পূর্ত দফতর যৌথ ভাবে রাজ্যের সমস্ত জাতীয় সড়ক ও সেতুর হাল খতিয়ে দেখে সবিস্তার রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে জমা দেবে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে।
মঙ্গলবার মহাকরণে এনএইচএআই, পূর্ত ও পরিবহণ-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জেলা সফরকালে এবং নানা সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে পেরেছেন যে, কলকাতার লাগোয়া বিভিন্ন জেলা, মেদিনীপুর, ও উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়কগুলোর দশা বেহাল। খানা-খন্দে ভর্তি রাস্তায় হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে। |
|
আর সেই সমস্যার সুরাহায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনএইচএআইয়ের সঙ্গে এ দিনের বৈঠকের আয়োজন। তাতে ছিলেন পূর্ত ও পরিবহণমন্ত্রী সুব্রত বক্সি, যুবকল্যাণমন্ত্রী উজ্জল বিশ্বাস, মুখ্যসচিব সমর ঘোষ ও বিভিন্ন বিভাগীয় কর্তারা। এনএইচএআইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন সংস্থার চিফ জেনারেল ম্যানেজার অজয় অহলুওয়ালিয়া-সহ বিভাগীয় অফিসারেরা।
দিন কয়েক আগে বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত এক বৈঠক সেরে ফিরতে মুখ্যমন্ত্রীর বহু সময় লেগে গিয়েছিল। সে দিন মহাকরণে ফিরে তিনি জানিয়েছিলেন, খারাপ রাস্তার জন্যই এই বিলম্ব। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ তুলে পার্থবাবু এ দিন জানান, এর আগে মুখ্যসচিব এনএইচএআইয়ের সঙ্গে ক’দফা বৈঠক করেছেন। তবু রাস্তার হাল ফেরেনি। তবে এ দিনের সঙ্কট নিরসনের একটা ইঙ্গিত মিলেছে বলে সরকারের দাবি। কী সমাধান?
এনএইচএআইয়ের চিফ জেনারেল ম্যানেজার এ প্রসঙ্গে মন্তব্য এড়িয়ে বলেন, “যা বলার, রাজ্যের মন্ত্রীরা বলবেন।” মন্ত্রীরা কী বলছেন?
শিল্পমন্ত্রী জানান, যে সব রাস্তা বা সেতুর অবস্থা খুব খারাপ, এনএইচএআই সেগুলো দ্রুত সারিয়ে দেবে। প্রথম দফায় খান-খন্দ মেরামতি, দ্বিতীয় দফায় সম্প্রসারণ এবং তৃতীয় দফায় রাস্তাগুলোর স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। পার্থবাবু বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলছেন। প্রয়োজনে আমরাও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।” অন্য দিকে পূর্ত ও পরিবহণমন্ত্রী সুব্রতবাবুর বক্তব্য, “আগে তো খন্দ বুজিয়ে দুর্ঘটনা ঠেকানো হোক! তার পরে স্থায়ী মেরামতির কথা ভাবা যাবে।”
|
সারাই-প্রস্তাব |
জাতীয় সড়ক |
কোন অঞ্চল |
কতটা |
৩৪ |
বিমানবন্দর-ডালখোলা |
বিভিন্ন অংশ |
২ |
পানাগড় বাজার |
বেশ কিছু অংশ |
৩১ডি |
তিস্তা ও জলঢাকা সেতু |
রেলিং ও একাংশ |
৩১ডি |
ফুলবাড়ি-জলপাইগুড়ি
ময়নাগুড়ি ধুপগুড়ি
সালসাবাড়ি হয়ে ঘোষপুকুর |
বেশ কিছুটা |
৩১ |
বাগডোগরা-গোঁসাইপুর |
অনেকটা |
৫ |
রূপনারায়ণ সেতু |
পুরোটা |
৪১ |
কোলাঘাট-হলদিয়া |
পুরো অংশ |
|
|
|
|
|
|