তৃণমূল কর্মীকে কোপ, ধৃত দলের লোকই
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
এক তৃণমূল কর্মীর গলায় ভোজালির কোপ মারার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্যগোষ্ঠীর কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাত্রসায়র থানার মামুদপুর গ্রামের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা দীনবন্ধু কারক নামের ওই তৃণমূল কর্মীকে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। দীনবন্ধুবাবু স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ কারক ও ভোলানাথ কারককে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূল কর্মী দীনবন্ধু কারকের অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের চাল বিলির কাজ তদারকি করে সোমবার সন্ধ্যায় বেলুট থেকে বাড়ির ফেরার পথে আমার উপরে সদ্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নবকুমার কারকের নেতৃত্বে জনা কুড়ি দুষ্কৃতী হামলা চালায়। ওদের মধ্যে এক জন আমার গলায় ভোজালির কোপ মারে।” তার দাবি, “আমি দলের ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তাই দলেরই আর এক নেতা পার্থপ্রতিম সিংহের গোষ্ঠীর লোকজন পরিকল্পনা করে আমাকে খুনের উদ্দেশে হামলা করে।” স্নেহেশবাবুর অভিযোগ, “বিধানসভা ভোটের আগে ওই এলাকায় আমাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলায় অভিযুক্ত সিপিএমের দুষ্কৃতীদের নিয়ে এখন রাজনীতি করছেন পার্থপ্রতিম সিংহ। তাঁর প্ররোচনাতেই দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে পার্থপ্রতিমবাবু দাবি করেন, “চাল বিলি নিয়ে ওই এলাকায় গণ্ডগোলের জেরে মারপিট হয়েছে বলে শুনেছি। দীনবন্ধু কারকই প্রথমে দলবল নিয়ে কয়েক জনকে মারধর করেন। সেই সময় আমি পাত্রসায়রে ছিলাম। আমি এই ঘটনায় কোনওভাবেই যুক্ত নই।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওই ঘটনার পরে মিথ্যা অভিযোগ তুলে দলেরই কয়েক জন লোক আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে গালিগাল করে।” |
তৃণমূল কর্মীকে কোপ, ধৃত দলের লোকই
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
দুর্গাপুজোর চাঁদার দাবিতে চিকিৎসককে শারিরীক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল। ওই চিকিৎসক মানবাজারের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার সুরজিৎ সিংহ হাঁসদা। তিনি স্থানীয় একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিশিকান্ত হালদার বলেন, “চাঁদা দেওয়া নিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে স্থানীয় একটি ক্লাবের বিবাদ হয়। পুরে ক্লাবটির সদস্যদের কয়েকজন তাঁকে মানসিক ও শারিরীক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। এমনকি তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে জানিয়েছি।” ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি মানবাজারে একটি মিছিল হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক কুমারেশ দত্ত বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” |
রাইপুরে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাইপুর |
প্রত্যেক প্রতিবন্ধীকে মাসিক ভাতা, দুঃস্থদের ইন্দিরা আবাস যোজনায় বাড়ি, যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া-সহ ২০ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাইপুর ব্লক কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার শ’পাঁচেক প্রতিবন্ধী। বিডিও-র কাছে তাঁরা স্মারকলিপি দেন। রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর রাইপুর ব্লক সভাপতি বাদল রুহিদাস বলেন, “সরকারি ভাবে প্রতিবন্ধীরা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। বাস্তবে তাঁরা বঞ্চনার শিকার। তাই স্মারকলিপি দিয়েছি।” রাইপুরের বিডিও কিংশুক মাইতি দাবিগুলি কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন। |
চাঁদা নিয়ে ধৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
হাটে ব্যবসা করতে আসা বহিরাগত লোকজনের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা তোলার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুরুলিয়া মফস্সল থানার পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ওই থানা এলাকার ছড়রা-আইনমনডি বাইপাস থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। ধৃত বাবলু তিওয়ারি ও বিশ্বজিৎ কর্মকার স্থানীয় শিবডি ও পুরুলিয়া সদর থানার দেশবন্ধু রোড এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন জয়পুরের বড়টাঁড়ে সাপ্তাহিক হাট বসেছিল। ধৃতেরা একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে জোর করে চাঁদা আদায় করছিলেন বলে অভিযোগ। ধৃতদের কাছ থেকে বিলবই পাওয়া গিয়েছে। |
স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র পেতে প্রশাসনের একাংশ হয়রান করছে, এই অভিযোগে মঙ্গলবার পুরুলিয়ার মহকুমাশাসককে (সদর) স্মারকলিপি দিল ‘পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড-বিহার মাঝি-সাঁওতাল সমাজয় উন্নয়ন সমিতি’। এ দিন সংগঠনের সদস্য-সমর্থকেরা পুরুলিয়া শহর জুড়ে মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরের বাইরে সভাও করেন। সংগঠনের পক্ষে সাধনচন্দ্র মাঝি বলেন, “যাঁরা তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের অহেতুক ঘোরানো হচ্ছে। কোথাও দীর্ঘদিন আবেদনপত্র গ্রহণ করে ফেলে রাখা হয়েছে। এ সবের প্রতিবাদেই আমাদের আন্দোলন।” মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।” |