টুকরো খবর
পুরপ্রধানের বাড়িতে চুরি
এ বার চুরি খোদ বনগাঁর পুরপ্রধানের বাড়িতেই! পাঁচিল টপকে বাড়ির ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা কালী মন্দিরের তালা ভেঙে বিগ্রহের গায়ের সোনা-রুপোর গয়না চুরি করে পালায়। সোমবার রাতের ঘটনা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বনগাঁ থানার আইসি অনিল রায় ঘটনাস্থলে তদন্তে যান। শহরের শিমুলতলায় একেবারে রাস্তার ধারেই বাড়ি তৃণমূল পুরপ্রধান জ্যোৎস্না আঢ্যের। বাড়ির সামনে উঁচু পাঁচিল। পাশেই বাড়ি প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের। জ্যোৎস্নাদেবীর স্বামী, প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর আঢ্য বলেন, “সোমবার রাতে খেয়ে শুতে শুতে ১টা বেজে গিয়েছিল। তার পরেই কোনও এক সময় সম্ভবত চুরিটা হয়েছে।” শঙ্করবাবুর মা শিবানীদেবী ভোরে ঘুম থেকে উঠে মন্দিরে গিয়ে দেখেন তালা ভাঙা। বিগ্রহের গায়ের গয়না নেই। সব মিলিয়ে বেশ ভাল পরিমাণ গয়না খোওয়া গিয়েছে বলেই পরিবার সূত্রের খবর। পুরপ্রধানের বাড়িতেই এ ভাবে চুরি হওয়ায় বাসিন্দারা আতঙ্কে ভুগছেন। শিমুলতলা এলাকায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুর্গাপুজোয় নবমীর গভীর রাতে ওই পাড়াই বাসিন্দা তথা শহর যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষের বাড়িতেও বড় মাপের চুরি হয়। পুলিশ এখনও তার কিনারা করতে পারেনি। এ ছাড়া ছোটখাটো চুরি তো লেগেই আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাইকেল, মোটরবাইক, মোবাইল এমনকী বালতি, কড়াইও চুরি হচ্ছে। রাত বাড়লেই অসামাজিক কাজ বাড়ছে। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরাও সক্রিয়। সব জেনেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়। বনগাঁর এসডিপিও সমরেন্দ্র দাস বলেন, “এই চুরির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তল্লাশি চলছে। দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে কিছু তথ্যও মিলেছে।”

শিশুকন্যা উদ্ধার
ধানখেত থেকে একটি শিশুর উদ্ধারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার চাঞ্চল্য দেখা দেয় বসিরহাট থানার পিঁফা পঞ্চায়েতের ভেটকিয়া গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন ভোরের দিকে এক যুবক ও এক মহিলা মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় ওই এলাকার কাছে রাস্তার ধারে থামেন। এর পরে মহিলা মাঠের মধ্যে নেমে ধানখেতে যান। তাঁর সঙ্গে ছিল একট কাপড়ের থলি। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে ওঁরা এমনি শোভা দেখছেন। কারণ এর আগেও অনেককে তাঁরা এ ভাবেই দেখেছেন। একটু পরে মহিলা এসে ফের মোটরসাইকেলে করে চলে যান। কিছুক্ষণ পরেই আশপাশের লোকজন দেখেন ধানখেতের মধ্যে একটা জায়গায় বেশ কিছু পাখি জড়ো হয়ে কিচিরমিচির করছে। কৌতূহল নিয়ে কয়েকজন এগিয়ে যেতেই রহস্য পরিষ্কার হয়। তাঁরা দেখতে পান ধানখেতের মধ্যে একটি জীবন্ত শিশুকন্যা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা শিশুটিকে উদ্ধার করেন। কয়েকজন পুলিশে খবর দেন। শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। ইতিমধ্যেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বসিরহাট থানার আই সি হবিবুর রহমান বলেন, “শিশুটিকে নিয়ে কী করা যায় তা পরে ঠিক করা হবে। আপাতত শিশুটি যাতে সুস্থ থাকে সেই চেষ্টাতেই ব্যস্ত আমরা।”

চোর সন্দেহে গণপ্রহারে মৃত্যু
চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার ভাতহেড়িয়া মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম ইব্রাহিম শেখ (২১)। তার বাড়ি স্থানীয় আছিনা গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতহেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মাছ ্যবসায়ী সত্যেন গায়েনের এটি ম্যাটাডর ওই রাতে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিল। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ইব্রাহিম শেখকে ম্যাটাডরের ব্যাটারি খুলে নতে দেখে ফেলেন সত্যেনবাবু। ইব্রাহিমকে ধরে ফেলে চিৎকার -চেঁচামচি শুরু করেন। তাতে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। শুরু হয় গণধোলাই। ইব্রাহিমের দাদা গোলাম শেখ জান, ওই রাতে ইব্রাহিম বাড়ি ফিরছিল। শুধু শুধু তাকে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে তাঁরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ সে মারা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ইব্রাহিমের দাদা থানায় ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দয়ের করেছেন।

কুলপি থানায় হামলা, ধৃত ৫
কুলপি থানায় হামলার পিছনে ‘রাজনৈতিক উস্কানি’ ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। সোমবার সকালে হাজার খানেক স্থানীয় বাসিন্দা তরোয়াল, লাঠি নিয়ে কুলপি থানায় হামলা চালিয়ে পাঁচ পুলিশকর্মীকে জখম করে। থানা সংলগ্ন আবাসনে পুলিশকর্মীদের পরিবারের উপরেও হামলা হয়। রাতেই তল্লাশিতে নামে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। রামনগর ও গাজিপুর এলাকার লোকজন হামলায় জড়িত বলে পুলিশের দাবি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই মঙ্গলবার জানান, ওই সব গ্রামে পুরুষে ঘড়ছাড়া। হামলাকারীদের অনেককেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁর দাবি, “পরিকল্পিত ভাবে থানায় আক্রমণ করা হয়েছিল। এর পিছনে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার উস্কানি ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে।

গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার মামুদপুরে, বনগাঁ-বাজিতপুর সড়কে। মৃত ফিরোজ মণ্ডলের (২৮) বাড়ি ওই এলাকাতেই। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় নাটাবেড়িয়া বাজারের কাছে প্রথমে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। জনতা ধাওয়া করলে গাড়িটি বেপরোয়া চলতে থাকে। মামুদপুর বাজারে গাড়িটিকে আটকান কিছু লোকজন। ভয়ে চালক জনতার মধ্যেই গাড়ি চালিয়ে দেয়। ফিরোজ গাড়ির সামনে ছিলেন। তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বেশ কিছু দূর নিয়ে যায় গাড়িটি। তারপর চাপা দিয়ে পালায়।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে বসিরহাটের চাঁপাপুকুর রেল স্টেশন সংলগ্ন এক নম্বর কলোনিতে। মৃতার নাম মিতালী মণ্ডল (৩০)। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে বাড়ির সামনে কাপড় মেলতে যান মিতালীদেবী। পুলিশের দাবি, এলাকার কয়েকটি বাড়িতে হুকিং করে আলো জ্বালানো হয়। সেই তারের সঙ্গে কাপড় শুকোতে দেওয়া তার লেগে ছিল। তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই গৃহবধূ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাদুড়িয়ায় কংগ্রেস নেতা খুনে ধৃত ২
বাদুড়িয়ার কংগ্রেস নেতা দেবকুমার অধিকারীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মাহাবুর গাজি এবং সেলিম খান। প্রথম জনের বাড়ি গলদা গ্রামে। অপর জন সাহেস্থানগরের বাসিন্দা। এ দিন দুপুরে বাদুড়িয়ায় বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে ২২ কিলোগ্রাম গাঁজা-সহ মাহাবুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে বাড়ি থেকে সেলিম খানকে ধরা হয়। সেলিম সেখানকার এক ব্যবসায়ীর ছেলে। বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার বলেন, “ধৃত দু’জন দেবকুমারবাবুকে খুনের ঘটনায় জড়িত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।”

বাঙ্গুরে ভর্তি হতে নারাজ শ্রমিক নেতা
অসুস্থ শ্রমিক নেতা প্রফুল্ল চক্রবর্তী ভর্তি হতে না চাওয়ায় মঙ্গলবার তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে আনা হল প্রেসিডেন্সি জেলে। তিনি ওই জেলে টানা ১০ দিন অনশন করছেন। চিকিৎসার জন্য জেল কর্তৃপক্ষ এ দিন হাসপাতালে পাঠান। প্রেসিডেন্সি জেল সুপার বিপ্লব দাস বলেন, “ডাক্তাররা প্রফুল্লবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি, হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন।” দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ফের তাঁকে জেলে ফিরিয়ে আনা হয়।

দম্পতির অপমৃত্যু
ঝগড়া করতে করতে কখন রেললাইনের ধারে চলে এসেছেন, খেয়াল করেননি। ঘাড়ের কাছে এসে পড়ে একটি ট্রেন। শেষ মুহূর্তে স্বামীকে হাত ধরে টেনে সরাতে চেয়েছিলেন স্ত্রী। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ওই দম্পতি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজন সর্দার (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী শ্যামলীর (৪০)। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগরের পিনকলে। রেললাইনের গা ঘেঁষে পিনকল বস্তিতে থাকতেন তাঁরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.