বাস উল্টে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম হয়েছেন আরও ৬ জন। মঙ্গলবার সকালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কালীগঞ্জের গোবিন্দপুরের কাছে ওই বেসরকারি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ ওরাও (৩৫) এবং জ্যোতিষ রায় (৩৬) নামে দুই ব্যক্তির। তাঁদের দু’জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। জখমদের স্থানীয় পানিঘাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওই বেসরকারি বাসটি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রওনা দেয়। বাসের ছাদে প্রচুর পরিমানে ফল, আলোকসজ্জার সরঞ্জাম রাখা ছিল। প্রায় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন বাসে। |
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন বাসটি রাস্তার খন্দে পড়ে উল্টে যায়। বাসের এক যাত্রী পারুলবালা রায় বলেন, “তবে একটু একটু আলো ফুটেছে। আমরা সকলেই ঘুমচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে গেল। তার পর এই দুর্ঘটনা।” বাসের আরও এক যাত্রী আব্দুল করিম মিঞার কথায়, “বাসের ছাদে প্রচুর পরিমানে ফল রাখা ছিল। দীপাবলির আলোকসজ্জার জিনিসপত্র, খেলনাও ছিল। প্রায় এক লরির জিনিসপত্র বাসের মাথায় রাখা হয়েছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, বাসের চালক ও সহকারী পলাতক। বাসটিকে আটক করা হয়েছে।
|
বাহারের সাজসজ্জাই সব নয়। এই পুজোর মূল বৈশিষ্ট সম্প্রীতি। পুজোর চাঁদা তোলা থেকে প্রস্তুতির কাজে সামিল হন এলাকার হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। বহু বছর ধরে রানাঘাট রেল কোয়ার্টারের শ্যামলী ক্লাবের পুজোয় এ ভাবেই সকলে মিলে পুজো করেন। রাজস্থানের বৈশালী মন্দিরের অনুকরণে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। চট, মাটির প্রদীপ, সরা, থালা দিয়ে হচ্ছে অন্দরসজ্জা। রয়েছে বাহারি আলোকসজ্জাও। বছরের ৬টা ঋতুর বৈশিষ্ট তুলে ধরা হচ্ছে আলোর মাধ্যমে। ক্লাব সদস্য বাচ্চু সান্যাল বলেন, “আমাদের ক্লাবে ৩০ জন মুসলিম সদস্য রয়েছেন। |
তাঁরা সকলেই পুজোয় সব রকম ভাবে সাহায্য করেন।” তিনি জানান, মেদিনীপুরের ২৪ জন শিল্পী মণ্ডপ সাজানোর কাজ করেছেন। ক্লাবের আর এক সদস্য নৌসাদ আলি বলেন, “রানাঘাট সম্প্রীতির শহর। এখানে হিন্দুরা যেমন আমদের বাড়িতে যাতায়াত করেন, আমরাও সে রকম পুজোয় যোগ দিই।” রানাঘাট তেরঙ্গি ক্লাবের পুজোতেও সামিল হন উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এছাড়াও স্থানীয় ফ্রেন্ডস ক্লাব, আনুলিয়া সুকান্ত সঙ্ঘ, চুনাড়িপাড়া ব্রাইট স্টার, এডুকেশন ক্লাব, অভিযান ক্লাবের পুজোও এ বার বিশেষ সাড়া ফেলেছে।
|
রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে কলকাতা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগে ভগবানগোলার পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। সোমবার রাতে রামবাগ এলাকা থেকে মিনারুল ইসলাম নামে ওই যুবক পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতের বাড়ি লালগোলা থানার বাঁশগাড়া এলাকায়। রবিবার দুপুর থেকে অপহৃত ওই বালিকার বাড়ি কলকাতার আর জি কর হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায়।
|
বহরমপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র মোহনের মোড়ে মঙ্গলবার দুপুরে দোকানে ঢুকে দাদাকে কোপাল ভাই। বিপ্লব দাস নামে ওই যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় বহরমপুর নিউ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই বিপ্লবকে তাঁর ভাই আক্রমণ করে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ঘটনায় অভিযুক্ত গৌতম দাস পলাতক। আহত ও অভিযুক্ত দু’ জনের বাড়ি লালবাগে। |