উৎসবের মালায় গাঁথা এই সময়টার অপেক্ষাতেই দিন গোনেন সীমান্তের মানুষ। ঈদ থেকে কালীপুজো ধর্মের বেড়া ভাঙে উৎসবের টানে।
সীমান্তঘেঁষা একফালি গ্রাম ইলশামারীর নবীন সঙ্ঘের কালীপুজো এবারে ৫৭ বছরে পা দিল। তৈরি করা হচ্ছে দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড টাওয়ার, ভুটানের রাজবাড়ি, ইন্ডিয়া গেট ও মায়াপুরের মন্দির। গ্রামের প্রায় ১১৫ জন যুবক গত দেড় মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এগুলো তৈরি করছেন। পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা অনিমেষ বালা বলেন, ‘‘দুর্গাপুজো নয়, আমাদের এখানে বড় পুজো মানে কালীপুজো। এবারের বাজেট তিন লক্ষ টাকা। গ্রামের বহু যুবক কর্মসূত্রে দুবাই, কাতার ও সৌদি আরবে থাকেন তাঁরাও এই সময় বাড়ি ফেরেন। যাঁরা ফিরতে পারেন না তাঁরাও এই পুজোর জন্য টাকা পাঠান। পুজোটা আমাদের গ্রামে হলেও আশপাশের গ্রামের মানুষও এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন তাঁরাও সব রকম ভাবে আমাদের সাহায্য করেন। টানা পাঁচদিন ধরে পুজো চলবে।’’ ফুনকোতলার কালীপুজো এবার ৫৪ বছরে পড়ল। পুজো কমিটির সম্পাদক অমিয় মণ্ডল জানান, ‘‘গ্রামের মানুষ তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করেন। পুজোকে ঘিরে ১১ দিন ধরে মেলা চলে প্রতিদিনই পুজো উপলক্ষে বসবে বাউল, যাত্রা, কীর্তন ও কবিগানের আসর। পুজোতে হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।’’ করিমপুর-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের পাশে করিমপুর জোংড়াদহ কালী মন্দিরে প্রতিবছরই জাঁকজমক করে পুজো হয়। পুজো শুরু হয় ১৯৭৯ সালে। পুজো উপলক্ষে মেলা বসে। ধানের শিষ আর কাঠের গুঁড়ো দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করছে করিমপুর রামকৃষ্ণপল্লীর রিক্রিয়েশন ক্লাব। পুজোর তিন দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে করিমপুরের নটরাজ ক্লাব। এছাড়াও করিমপুর হাসপাতাল গেটের যুবগোষ্ঠী ক্লাব, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির পুজো ও জামতলা মোড়ের মন্দিরের পুজোও ধুমধাম করে হচ্ছে। এছাড়াও বেতাই এলাকার কিশোর সঙ্ঘ, টাইগার ক্লাব, মিতালী সঙ্ঘ, তরুণ দল ও বেতাই বারোয়ারির কালীপুজোও জাঁকজমক করে হচ্ছে। |