টুকরো খবর
কালীপুজোর রাতে বাঁদনা পরবে মেতে ওঠেন আদিবাসীরা। তার ঠিক আগে ফের যৌথ বাহিনীর ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠল জঙ্গলমহলে। একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র-সহ ঝাড়গ্রাম থেকে দুই তরুণকে বিনা যৌথ বাহিনী আটক করেছেএই অভিযোগে সরব হয়েছে জঙ্গলমহলের দুই ছাত্র সংগঠন। ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া গ্রামের ওই দুই তরুণের নাম জগদীশ সিংহ ও শশাঙ্ক মাহাতো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগদীশ বিকাশভারতী বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির কলা-বিভাগের ছাত্র। সে ‘ছাত্রসমাজ’ সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। ছাত্রসমাজের নেতা ভবেশ মাহাতোর দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীপুজোর বাজার করে পরিচিত এক জনের মোটরবাইকে ফিরছিল জগদীশ ও শশাঙ্ক। কলাবনির কাছে তাদের আটক করে নিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। বাইকটিকে ও তার চালককে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ভবেশের অভিযোগ, “সাধারণ মানুষকে হেনস্থা তো আছেই, এ বার স্কুল ছাত্রদেরও রেয়াত করছে না পুলিশ।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “ধরপাকড় ও নিগ্রহের বিরুদ্ধে কালীপুজোর পর জোরদার আন্দোলন শুরু হবে।”ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস্ ফেডারেশনের সম্পাদক কমলেশ মাহাতোরও অভিযোগ, “তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে ধরপাকড় করে সাজানো মামলায় জেলে পুরে রাখা হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলি নিয়ে বাঁদনা পরব শেষ হওয়ার পরই আমরা আন্দোলনে নামব।” ওই দুই জনকে আটকের অভিযোগ নিয়ে পুলিশ অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত ধৃত মুম্বইয়ে
মঙ্গলবার মুম্বই থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ আসরিনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। বুধবার মুম্বই আদালতে ধৃতকে পেশ করা হবে। তার পরে তাকে নিয়ে আসা হবে ভবানীভবনে। সিআইডি সূত্রে বলা হয়, আসরিনের বাড়ি কেশপুরে। কঙ্কাল-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। আসরিনকে জেরা করে কঙ্কাল-কাণ্ডের বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ সহ ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে মেদিনীপুর আদালতে। তারা সবাই এখন জেলে। মুম্বই থেকে ধৃত আসরিনের বিরুদ্ধে ওই মামলার অন্য ৫৮ জনের মতো একই অভিযোগ আনা হবে বলে সিআইডি সূত্রের খবর।

অনাস্থায় হার তৃণমূলের
সিপিএমের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডেকেও পরাস্ত হল তৃণমূল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ভগবানপুর ১ ব্লকের কাজলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে। ভগবানপুরের কাজলাগড় পঞ্চায়েতের মোট ১৭টি আসনের মধ্যে ১০টি সিপিএমের, পাঁচটি তৃণমূলের, এবং একটি করে আসন কংগ্রেস ও বিজেপি-র দখলে ছিল। মাস দু’য়েক আগে তৃণমূল জোট সিপিএমের দুই পঞ্চায়েত সদস্যের সমর্থন নিয়ে প্রধান ভানুচরণ ঘোড়ইয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে ও জয়ী হয়। নতুন প্রধান হন তৃণমূলের অনিতা চৌধুরী। খইরুন বিবি ও আলি মহম্মদ নামে সিপিএমের ওই দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করলেও দলত্যাগ বিরোধী আইনে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি সিপিএমের উপপ্রধান চিত্তরঞ্জন মাইতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৯ পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার অনাস্থার পক্ষে ভোটাভুটির দিন ছিল। সিপিএম দলের পক্ষে অবস্থান নিতে হুইপ জারি করলে শুক্রবার খইরুন বিবি ও আলি মহম্মদ অনুপস্থিত থাকেন। অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ও বিজেপি-র এক জন করে সদস্যও। ফলে অনাস্থার পক্ষে মোটে ৫ জন ও বিপক্ষে ৮ জন ভোট দেন। সিপিএম নেতা সুব্রত মহাপাত্র বলেন, “আমরা সংগঠিতই ছিলাম। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল পরাস্ত হয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেনও বলেন, “সাংগঠনিক প্রস্তুতি ঠিক মতো হয়নি। ভবিষ্যতে উপপ্রধানকে ঠিক অপসারণ করা হবে।”

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দুকধারী ব্যঙ্গচিত্র পোস্টার আকারে গলায় ঝুলিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে এলেন মাওবাদী বন্দি। ২০০৯-এর ২২ সেপ্টেম্বর খুন হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নিশিকান্ত মণ্ডল। ওই মামলায় মঙ্গলবার হলদিয়া আদালতে হাজিরা ছিল মাওবাদী নেতা মধুসূদন মণ্ডল ও তেলুগু দীপকের। জেল হেফাজতে থাকা মধুসূদন পুলিশি প্রহরায় আদালতে হাজিরার পথে কী ভাবে গলায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্যঙ্গচিত্রের পোস্টার ঝোলালেন, সে প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। নিশিকান্ত হত্যায় ওই দু’জনের জেল হেফাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছে আদালত।

ফুটবল টুর্নামেন্ট
গোবিন্দ, সাবিত্রী ও রাজলক্ষ্মী স্মৃতি ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে মঙ্গলবার নেকুড়শুনি নিউ হলদিয়া নাইন স্টার ক্লাব ৩-২ গোলে হারিয়ে দিল পোক্তাপোল ইয়ং স্টার ক্লাবকে। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন শুভকান্ত শিট। বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভিষিণ্ডিপুর ত্রিমুখী যুব গোষ্ঠী ও রেনুয়া সিধু কানু সঙ্ঘ। মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ফাইনাল খেলা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.