|
|
|
|
দোকানঘর দখল নিয়ে বিরোধ চণ্ডীপুরে |
বিজেপির দুই নেতাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দোকানঘর দখল নিয়ে বিরোধের জেরে বিজেপি-র দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার হাঁসচড়া বাজারে। মারধরে আহত বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক তপন কর ও ব্লক নেতা নারায়ণ পাণ্ডে তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও পারিবারিক এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর-নন্দীগ্রাম সড়কের ধারে হাঁসচড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানের মালিক পুলিনবাবু কয়েকমাস আগে মারা যান। এরপর ওই দোকানঘর দখল নিয়ে বিরোধ বাধে পুলিনবাবুর ভাইপো ও মেয়ের মধ্যে। গ্রামের আর পাঁচটা ঘটনার মতো এই বিষয়টিতেও রাজনৈতিক রং চড়ে। ভাইপো-র পক্ষ নেয় স্থানীয় তৃণমূল। মেয়ের হয়ে লড়েন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বিজেপি ও তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে এই নিয়ে গণ্ডগোল চলাকালীন স্থানীয় হবিচক গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা তপন কর ও নারায়ণ পাণ্ডেকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে বিজেপি-র কর্মী সমর্থকেরা ওই দু’জনকে উদ্ধার করে চণ্ডীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দলীয় নেতার উপরে হামলার প্রতিবাদে এ দিন বিজেপি কর্মীরা পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ করেন। বিজেপি-র জেলা সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় পানিগ্রাহীর অভিযোগ, “হাঁসচড়া বাজারে ওই দোকানঘর জোর করে দখল নিতে চাইছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তপনবাবুরা বাধা দেওয়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে হামলা চালায়। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা প্রত্যক্ষ ভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত।” হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার না করলে জেলা জুড়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “পারিবারিক ওই বিবাদ মেটাতে দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। কিন্তু বিজেপি-র কয়েকজন নেতা একপক্ষকে প্ররোচিত করে মীমাংসার সিদ্ধান্ত ভেস্তে দেয়। এরপর ওরা দোকানঘর ভাঙতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” |
|
|
|
|
|