অফসাইড বলে ইস্টবেঙ্গলের গোল বাতিল করা হয়েছিল আই লিগের প্রথম ম্যাচে। যা পরে দেখা যায়, ভুল সিদ্ধান্ত। ওই ম্যাচের সহকারী মাঘো সিংহকে এ জন্য শাস্তি দিচ্ছে ফেডারেশন। তাঁকে চার ম্যাচ বসিয়ে রাখা হচ্ছে। সরকারি ভাবে কিছু বলা হচ্ছে না। গত বার আই লিগে ডি’কোস্টা ও নেগি, দুই রেফারিকে এ ভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ইস্টবেঙ্গল বনাম চার্চিল ম্যাচে টোলগে ওজবে-র মাথা ছুঁয়ে ভাসুমের শট গোলে ঢুকেছিল। মাঘো সিংহ টোলগেকে অফসাইড দিলেও টিভি রিপ্লে-তে দেখা যায় টোলগে এবং চার্চিলের ডিফেন্ডার একই সারিতে দাঁড়িয়ে। লাল-হলুদ কর্তারা এ নিয়ে নালিশ জানান ফেডারেশনে। তাঁদের ভিডিও দেখার আগেই অবশ্য রেফারিজ বোর্ডের কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন রেফারিকে ফ্রিজ করা হবে। মাঘোর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেন ম্যাচ কমিশনার। রেফারি কর্তারা টিভি রিপ্লে দেখেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কার পরে ইস্টবেঙ্গল শিবির নতুন করে মনোবল ফিরে পেল ফেডারেশনের শাস্তির খবরে। কর্তারা খুব খুশি। তবে চোট সমস্যা পিছু ছাড়ছে না ইস্টবেঙ্গলকে।
মঙ্গলবার সকালে অ্যালান গাওয়ের এমআরআই হয়েছে। সোমবার নাকের হাড়ে চিড় ধরেছিল সুশান্ত ম্যাথুর। তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে মঙ্গলবারই। চোট-সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যান জানালেন, সুশান্ত ম্যাথু আর মেহতাব হোসেন হয়তো আরও দুটি ম্যাচে নেই। “মেহতাবের পজিশনে সুবোধ বা হরমনজোৎ খাবরাকে ব্যবহার করতে পারি।”
শুধু চোট নয়, স্ট্রাইকারের গোল না পাওয়াটাও চিন্তার। শেষ ন’ম্যাচে ন’গোল করতে পেরেছে লাল-হলুদ স্ট্রাইকাররা। মর্গ্যান বলেন, “এটা শুধুই পরিসংখ্যান। কিন্তু আমরা প্রচুর সুযোগও তৈরি করেছি। গোল না-পাওয়াটা দুর্ভাগ্য।” তবে মর্গ্যান মেনে নেন, কিছুটা আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং কিছুটা ফর্মে না থাকাই গোল না-পাওয়ার কারণ। এর জন্য সমর্থকদের এখনই ধৈর্য না হারিয়ে ফুটবলারদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান। |