ভোট-ঘুষ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অমর সিংহ কাল জামিন পেয়েছেন মানবিক কারণে। কিন্তু একই মামলায় বিজেপি-র নেতারা এখনও বন্দি। তাঁদের মুক্তির জন্য এ বার চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ভোট-ঘুষ মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রাক্তন সহযোগী সুধীন্দ্র কুলকার্নি ও বিজেপি-র দুই প্রাক্তন সাংসদ ফগ্গন সিংহ কুলস্তে ও মহাবীর ভাগোরা এখন তিহাড়ে। গত কাল অমরের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরই তাঁদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলি। এর পরে আজ আবার রথযাত্রায় আডবাণীর সঙ্গী রবিশঙ্কর প্রসাদকে নিয়ে তিহাড়ে যান লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ। |
জেলবন্দি সহযোগীদের দীপাবলির উপহারও দিয়ে এসেছেন তাঁরা। পরে সুষমা বলেন, “কারাবন্দি সহযোগীদের আমি জানিয়েছি, দল তাঁদের পাশে রয়েছে। যত ক্ষণ না তাঁরা ছাড়া পাচ্ছেন এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হচ্ছে, তত ক্ষণ আমরা সংঘর্ষ থামাব না। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক, নির্দোষরা জেলে রয়েছেন আর দুর্নীতিগ্রস্তরা এখনও সরকারে রয়েছেন।”
তিহাড়ে গিয়ে ওই নেতাদের সঙ্গে দেখা করার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও সুষমা-জেটলি, এমনকী খোদ আডবাণীও জেলে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদরা জেলে যাওয়ার পরেই আডবাণী তাঁর রথযাত্রার ঘোষণা করেছিলেন। যাত্রা পথে বিভিন্ন সভায় সেই কথা উল্লেখও করছেন তিনি। কিন্তু অমর জামিন পাওয়ার পর এ বার রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
কিন্তু কংগ্রেস অবশ্য বারবার বিজেপি নেতাদের তিহাড়ে যাওয়ার ঘটনাকে তেমন আমল দিতে চাইছে না। আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ বলেন, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। তাঁদের যা কিছু বলার, আদালতে বলুন।” কংগ্রেসের এই যুক্তির জুৎসই জবাব দিতে পারছে না বিজেপি শিবিরও। দলেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি- তেই যেখানে বাঘা-বাঘা আইনজীবী রয়েছেন, তিহাড়ে প্রত্যেক নেতার সফরের সময় ভূপেন্দ্র যাদবের মতো সুপ্রিম কোর্টের বড় আইনজীবীও সঙ্গে যাচ্ছেন, তার পরেও কেন ধৃতদের জন্য আইনি লড়াইকে সে ভাবে জোরদার করে তোলা যাচ্ছে না? |