|
|
|
|
সন্ত্রাসে বাংলাদেশি যোগ নিয়ে উদ্বেগ |
অনুপ্রবেশকারী ফেরাতে বাড়তি সমন্বয় চায় কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দিল্লি হাইকোর্টে বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যোগসূত্র মেলায় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ফের নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য নতুন করে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর ওই চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজকুমার সিংহ। দিল্লি হাইকোর্টের বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মনে করছে, ওয়াসিম আক্রাম মালিকই ওই বিস্ফোরণের মূল মাথা। জম্মুর বাসিন্দা ওয়াসিম বাংলাদেশের ওসমানি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিল।
শুধু দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগসূত্র নয়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে যে ভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রের। এই অনুপ্রবেশকারীরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই নতুন করে এ ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির দায়িত্বের কথা মুখ্যসচিবদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র মনে করছে, কয়েকটি রাজ্য বাদ দিলে বাকিগুলি তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। কেন্দ্র চাইছে, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের আটক করার জন্য রাজ্যে রাজ্যে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হোক। অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আগে পর্যন্ত তাদের আটক করে রাখার জন্য রাজ্য ও জেলা স্তরে বিশেষ কেন্দ্রও তৈরি হোক। রাজ্যগুলিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদেশি বিভাগের সঙ্গেও নিয়মিত সমন্বয় রাখতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, এর আগেও বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় বাংলাদেশি যোগসূত্র মিলেছে। অনুপ্রবেশকারীরা প্রায়ই অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। পাক জঙ্গি-সংগঠনগুলিও এদের কাজে লাগায়। দিল্লি বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ওয়াসিম কাল আদালতে জানিয়েছে, হিজবুল মুজাহিদিনই আফজল গুরুর ফাঁসির আদেশের বিরোধিতা করতে হাইকোর্টের সামনে বিস্ফোরণের ছক কষেছিল। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে হিজবুলের সুপ্রিম কম্যান্ডার সৈয়দ সালাউদ্দিন পুরো ষড়যন্ত্রের অনুমোদন দেয়। হিজবুলের আর এক মাথা জাহাঙ্গির সারুরিও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল বলে ওয়াসিমের দাবি। এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনার কথা সে তার ভাই জুনেইদ ও বন্ধু আমির আলি কমলকে জানিয়েছিল। জুনেইদ তাকে হিজবুল-জঙ্গি ছোটা হাফিজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ছোটা হাফিজ আবার দুই পাক জঙ্গি সইফুল্লা ও বিলালকে দায়িত্ব দেয়, হাইকোর্টের কোথায় বিস্ফোরণ ঘটালে সব থেকে বেশি প্রাণহানি হবে, তা খুঁজে বের করতে। তারা হাইকোর্টের পাঁচ নম্বর গেটকে বেছে নেয়। জম্মু থেকে বোমা আনা হয় দিল্লিতে। ৭ সেপ্টেম্বরের ওই বিস্ফোরণে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
বিস্ফোরণের পরে দায় স্বীকার করে যে দু’জন ই-মেল পাঠিয়েছিল, তাদের জেরা করেই পুলিশ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করে। ওই দুই ধৃত আবিদ হুসেন ও হাফিজ আমির আব্বাস দেবও অপরাধ কবুল করে জানিয়েছে, তারা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে ই-মেল পাঠিয়েছিল। জুনেইদ ও ছোটা হাফিজকে ধরার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে এনআইএ। |
|
|
|
|
|