‘দুষ্ট চতুষ্টয়’ কারা, জানতে চায় কংগ্রেস |
কেন্দ্রীয় সরকারকে গত কাল আক্রমণ করেছিলেন অণ্ণা হজারে। আজ কংগ্রেস তাঁর আক্রমণের জবাব দিল। আর এই চাপানউতোরের মধ্যেই কিরণ বেদীর উপর চাপ বাড়িয়ে আজ পদত্যাগ করেন তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইন্ডিয়া ভিশন ফাউন্ডেশন-এর ট্র্যাভেল এজেন্ট অনিল বল। কিরণের যাতায়াতের হিসাব রাখতেন তিনি। গত কাল কিরণ বেদীর সমর্থনে অণ্ণা হজারে ব্লগে অভিযোগ করেছিলেন, সরকারের ‘দুষ্ট চতুষ্টয়’ (গ্যাং অফ ফোর) অণ্ণা-শিবিরের সদস্যদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। এই চার জন জন লোকপাল বিল পাশ হতে দিতে চান না। আজ তার জবাবে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের কটাক্ষ, “অণ্ণা ‘দুষ্ট চতুষ্টয়’-এর বিরুদ্ধে ব্লগে লিখেছেন। সেই চার ভাগ্যবান কে কে, আমি তা জানতে আগ্রহী।” কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি আপত্তি তুলেছেন ‘গ্যাং’ শব্দটি নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, “গ্যাং শব্দটি অত্যন্ত অপমানজনক। আমরা অণ্ণাজিকে শ্রদ্ধা করি। মন্ত্রীদের সম্পর্কে এই ধরনের কথা আমরা অণ্ণাজির কাছ থেকে আশা করি না।”অণ্ণা-শিবিরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদও। অণ্ণা-শিবিরের কথাবার্তায় বিরক্ত খুরশিদ তাদের কাছে আবেদন করেছেন, “দয়া করে এই সব বলে নাগরিক সমাজ ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করবেন না। এটা সমাজের স্বার্থের পরিপন্থী।” সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে কথা না বলে সরাসরি সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্যও অণ্ণা-শিবিরকে আবেদন জানান খুরশিদ। কাল কিরণ বেদী জানান, আয়োজক সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত বিমানভাড়া তিনি ফিরিয়ে দেবেন। আলভি বলেন, “কিরণের এই কথার অর্থ তিনি নিজের দোষ স্বীকার করছেন।” বিতর্ক আরও বাড়িয়ে আজ কিরণের সংস্থার ট্রাস্টি তথা সংস্থার ট্র্যাভেল এজেন্ট অনিল বল পদত্যাগ করেন। অনিল বলেন, “এই ঘটনায় আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।”
|
বিধানসভা ভোটের আগে মায়াবতী সরকারকে ফের আক্রমণের লক্ষ্য করল কেন্দ্র তথা কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠিতে লিখেছেন, “আপনার বিবেক যদি পরিষ্কার হয়, যদি কিছু লুকনোর না থাকে, তা হলে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে অভিযোগের সিবিআই তদন্ত করান!” উত্তরপ্রদেশের এই প্রকল্পের রূপায়ণে বড় গরমিল ধরেছেন জাতীয় ও রাজ্য পর্যায়ের পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু রমেশের দাবি, গুটি কয়েক অফিসারকে সাসপেন্ড করা ছাড়া রাজ্য হাত গুটিয়েই বসে আছে। রমেশের কথায়, “সরকারের নিষ্ক্রিয়তা একটাই বার্তা দিচ্ছে প্রশাসনের সঙ্গে দহরম-মহরম থাকলে যেমন ইচ্ছে তেমন নিয়ম ভাঙো আর যত পার টাকা করো।” উত্তরপ্রদেশে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজ নিয়ে সিবিআই তদন্ত চলছে। তার উল্লেখ করে রমেশের মন্তব্য, স্বাস্থ্য মিশনের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, বলরামপুর, গোন্ডা, মাহোবা, শোনভদ্র, সন্ত কবীর নগর, মির্র্জাপুর এবং কুশীনগর জেলায় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তেমনই কেলেঙ্কারি হয়েছে।
|
এখনই অস্ত্র ছাড়বে না আলফা |
আলোচনায় বসলেও এখনই অস্ত্র সমর্পণের প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি নয় আলফা। তাদের সঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের আনুষ্ঠানিক শান্তি-আলোচনা শুরু হয়েছে আজ। অগস্টে আলফার আলোচনাপন্থীরা যে ১২ দফা দাবি সনদ দিয়েছিলেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে বৈঠক। প্রথম দিনের বৈঠক শেষে অবশ্য আলফা-নেতা শশধর চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, ক্যাডারদের এখনই অস্ত্র সমর্পণ করার প্রশ্ন উঠছে না। কারণ, এখনও কোনও চুক্তি হয়নি। আর আলফার আলোচনাপন্থীরা কেউ এসএসসিএন ক্যাডারদের মতো নির্দিষ্ট শিবিরেও থাকছেন না। চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বে আলফার ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজকুমার সিংহের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। অসমের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র দফতরের কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের এডিজি (স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ)-এর পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের নিযুক্ত মধ্যস্থ পি সি হালদার। ঠিক হয়েছে, এখন থেকে হালদারই আলফার দাবিদাওয়া নিয়ে অসমের মুখ্যসচিব ও আলফা-নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, “আলফার নেতারা রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে যে পদক্ষেপ করেছেন, তার ফলে অসমে দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।” আলোচনায় বসার আগে অসমের সার্বভৌমত্বের দাবি ছাড়লেও অধিক স্বায়ত্ত্বশাসন ও অসমের জন্য বিশেষ শ্রেণিভুক্ত রাজ্যের মর্যাদা চেয়েছে আলফা। সংগঠনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া জানান, তাঁদের দাবিদাওয়ার যৌক্তিকতা আজ তাঁরা কেন্দ্রের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন। পরবর্তী বৈঠক হবে আগামী মাসে।
|
জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট |
জমি অধিগ্রহণের ঘোষণার দু’বছরের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে। আজ একটি মামলায় এই রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অন্যথায় বাতিল হয়ে যাবে অধিগ্রহণ। তবে অধিগ্রহণ নিয়ে মামলা চলার সময়কে ওই দু’বছরের হিসেব থেকে বাদ দিতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। কারণ, সেই সময়ে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার উপরে আদালত স্থগিতাদেশ জারি করতে পারে। তামিলনাড়ুতে রাজ্য আবাসন পর্ষদের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে একটি মামলার শেষে অধিগ্রহণকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কিন্তু, দু’বছরের মধ্যে জমিদাতারা ক্ষতিপূরণ না পেয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে ওই অধিগ্রহণ বাতিল করে হাইকোর্টের এক সদস্যের বেঞ্চ । পরে ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করলে মামলা আসে সুপ্রিম কোর্টে। |