পরপর মন্দিরে চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট ও সিউড়ি |
ফের দু’টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটল রামপুরহাটে। সোমবার গভীর রাতে রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই চুরির ঘটনা ঘটে। মাস খানেক আগে রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুর এলকায় রামকৃষ্ণ আশ্রমে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। স্বভাবতই এলাকার সাধারণ বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী সকলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ওই দু’টি মন্দরে চুরির ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা-সহ এলাকায় পুলিশি নজরারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা রামপুরহাট পুরসভার প্রাক্তন প্রধান পুরপ্রধান শুদ্ধধন বন্দ্যোপাধ্যায়, চিকিৎসক অচিন্ত্য চক্রবর্তীদের ক্ষোভ, “সোমবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা শুধু সন্তোষী মাতার গয়না চুরি করেনি, পরণের বস্ত্র টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে।” ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রেলগেট থেকে সুন্দিপুর মোড় পর্যন্ত ছোটবড় মিলিয়ে ৭০টি দোকান আছে। রাতে এক জন পাহারাদার থাকেন। এলাকা বড় হওয়ায় একার পক্ষে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ যদি টহলদারি বাড়ালে ভাল হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম এতটাই বেড়ে গিয়েছে শনিবার রেলগেটের কাছে পুজো দিতে যেতে ভয় পায় মেয়েরা। চিলড্রেনপার্কে সন্ধ্যায় মদ্যপদের আসর বসে। সোমবার রাত পর্যন্ত এলাকার একটি শিবমন্দিরে কালীপুজো উপলক্ষে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ কারিগররা চলে যাওয়ার পরে সেখানে দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। রামপুরহাট থানার আইসি অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সোমবারের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্য চুরির ঘটনায় দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।” অন্য দিকে, সোমবার রাতে সিউড়ি থানার ভাণ্ডিবন গ্রামে চারটি মন্দিরে চুরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামের শিব, কালী, গোপাল, ধর্মরাজ মন্দিরে চুরি হয়েছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। |
যুবক খুনে স্ত্রী-শাশুড়ি অভিযুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
এক যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এই মর্মে সোমবার রাতে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃত যুবকের বাবা। পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে আদিত্যপুরে। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস চারেক আগে আদিত্যপুর-মহিদাপুকুর দক্ষিণপাড়ের বাসিন্দা মানিক দাসের ছেলে বিশ্বজিতের (২০) সঙ্গে ওই পাড়ার বাসিন্দা রীতা সাহানির মেয়ে কেয়া’র বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিশ্বজিৎ শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। সোমবার বিকেলে রীতাদেবীর পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মানিকবাবু। তাঁর অভিযোগ, “পরিকল্পিত ভাবে ছেলেকে খুন করা হয়েছে। বৌমা ও ছেলের শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।” এসডিপিও (বোলপুর) দেবস্মিতা দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।” |
তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন, অভিযুক্ত দাদা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
তৃণমূল কর্মী ভাইয়ের বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ দাদার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে তৃণমূল কর্মী ভূবনেশ্বর ভাণ্ডারী বোলপুর থানায় দাদা বিশ্বনাথ ভাণ্ডারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথবাবুর পাল্টা দাবি, “খবর পেয়ে লোক জড়ো করে আমরা জল ঢেলে আগুন নেভাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কঙ্কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জলজলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ভুবনেশ্বর ভাণ্ডারীর বাড়িতে সোমবার গভীর রাতে আগুন লাগে। পড়শিরা জড়ো হয়ে আগুন নেভান। ভূবনেশ্বরবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সিপিএম আমার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। বোলপুর থানায় দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।” তৃণমূলের কঙ্কালিতলা অঞ্চল সম্পাদক কাশীনাথ ঘোষ বলেন “বছর তিনেক আগে ভূবনেশ্বর সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।” তাঁর দাবি, “এলাকায় জনসমর্থণ হারাচ্ছে দেখে বিশ্বনাথ ভাণ্ডারীর নেতৃত্বে সিপিএম ওই আগুন লাগিয়েছে।” সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক উৎপল রুদ্র বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। জোরজুলুম করে ওরা পঞ্চায়েত দখল থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীসর্মদের মারধর করছে।” পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে। |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অশোক লেট (২৮)। বাড়ি রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামে। সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট-দুমকা সড়কে, রামপুরহাট থানার তুম্বনি গ্রামের কাছে। ওই যুবক পাথর বোঝাই ট্রাকের চালক ছিলেন। রামপুরহাটের দিকে আসার সময়ে একটি গাড়িকে অতিক্রম করতে গিয়ে সামনের গাড়িকে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। রামপুরহাট থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। |
মোতাহার হোসেন অসুস্থ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বীরভূমের মুরারই কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মোতাহার হোসেন গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুরারই কেন্দ্রের ছ’বারের বিধায়কের নানাবিধ শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ বারে বিধানসভা ভোটেও তিনি মুরারইয়ে জোটের তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নুরে আলম চৌধুরীর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন। |