লালকৃষ্ণ আডবাণী কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে যাওয়ায় ‘উৎসাহিত’ হয়ে তৃণমূলের ‘শক্ত ঘাঁটি’ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাংগঠনিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ৭ নভেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বর্ধিত বৈঠক হবে। সেখানে ৬০ জন রাজ্য নেতা থাকবেন। দলের জেলা সংগঠন ও কর্মপন্থা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে তৃণমূলকে ‘শক্তি’ দেখানোর জন্য বারুইপুরকে বাছা হয়েছে বলে প্রকাশ্যে মানতে নারাজ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। তাঁর ব্যাখ্যা, “কলকাতা থেকে দূরে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে মনোযোগ সহকারে আলোচনা করার স্বার্থেই বারুইপুরকে বাছা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা জনসভা করছি না। রুদ্ধদ্বার সাংগঠনিক বৈঠক হবে। আমরা আগেও কলকাতা থেকে দূরে বৈঠক করেছি।” কিন্তু কলকাতা থেকে দূরে শান্ত, নিরিবিলি অন্যান্য জায়গাও ছিল। বিজেপি তেমন কোনও জায়গাও বৈঠকের জন্য বাছতে পারত। বারুইপুরের বিশেষত্ব কী? রাহুলের জবাব, “আমাদের দলের এক শুভানুধ্যায়ীর বারুইপুরে বাগানবাড়ি আছে। তাই বারুইপুর। ওই বাড়িতেই বৈঠক হবে।” রাহুল আরও জানান, ১০ নভেম্বর বিজেপি-র রাজ্য দফতরে দলের জেলা সভাপতিদের নিয়ে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনা হবে। তার পর দিন ১১ নভেম্বর মহাজাতি সদনের অ্যানেক্স হলে কলকাতার পাঁচ সাংগঠনিক জেলা থেকে ওয়ার্ড স্তর পর্যন্ত কমিটিগুলির বৈঠক হবে। সম্প্রতি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদবিজেপি-র এই তিন সাংগঠনিক জেলার প্রত্যেকটিকে দু’ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ভেঙে হয়েছে তমলুক ও কাঁথি। পশ্চিম মেদিনীপুরকে ঝাড়গ্রাম এবং বাকি অংশে ভাগ করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ ভেঙে হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ।
|
উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখাতে ৫০০ টাকা ফি |
তথ্যের অধিকার আইনে উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে হলে ৫০০ টাকা দিতে হবে পরীক্ষার্থীকে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের অনুমতির জন্য সোমবার বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “খাতা প্রধান পরীক্ষকের কাছে থাকে। কোনও পরীক্ষার্থী খাতা দেখতে চাইলে প্রধান পরীক্ষকের কাছ থেকে তা আনিয়ে প্রয়োজনে ফটোকপি করে দেখাতে হবে। পরীক্ষার্থী যখন খাতা দেখবে তখন তার সামনে এক জন কর্মীকে থাকতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য কর্মী লাগবে। হিসেব করে দেখা হয়েছে, গড়ে ১০ হাজার পরীক্ষার্থী খাতা দেখার আবেদন জানালে মাথাপিছু ৭০০ টাকা খরচ হবে।” তথ্য জানার অধিকার আইনে এ বছরই খাতা দেখানো শুরু হয়েছে।
|
তৃণমূলে গেলেন খালেক মোল্লা |
তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক খালেক মোল্লা। যিনি এ বার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে নির্দল হিসাবে মেটিয়াবুরুজ কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন। সেই সংখ্যালঘু নেতা খালেকের তৃণমূলে যোগদান যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। খালেক সোমবার জানান, তাঁকে প্রার্থী না করায় এবং কংগ্রেসে ‘প্রাপ্য’ মর্যাদা না পাওয়ায় তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আর্জি জানান। ক’দিন আগেই তা মঞ্জুর হয়। এ দিন খালেক তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির বৈঠকে যান। তিনি বলেন, “আগামী ২ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচনের যে কর্মসূচি আছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় আমাকে তার কাজ দেখভাল করতে বলেছেন।” এ দিন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির বৈঠকে খালেক-পত্নী তফসিরা বেগমও ছিলেন। তিনি কলকাতা পুরসভার ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। |