|
|
|
|
বহুতলে শব্দবাজি রুখতে বিশেষ যন্ত্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কালীপুজোর রাতে বহুতলের ছাদে শব্দবাজির তাণ্ডব নিয়ে প্রতি বছরই সমস্যায় থাকে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। কোনও ভাবে নজরদারি করেই শব্দবাজির উৎপাত পুরোপুরি রোখা সম্ভব হয় না। তবে শব্দদূষণ রুখতে এ বার বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য। শব্দের উৎস জানতে পুলিশের কাছে এ বার থাকবে বিশেষ প্রযুক্তির যন্ত্র। সোমবার মহাকরণে এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, “ওই যন্ত্রে বাজির উৎস কোথায়, তা সহজেই বোঝা যাবে। সংশ্লিষ্ট বহুতলে দ্রুত হানা দেবে পুলিশ। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে নজরদারির জন্য মোট ৭৫টি দল হয়েছে। কালীপুজোর দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত সেগুলি টহল দেবে। শহরে থাকবে ২৫টি দল। |
শব্দবাজি দমনে |
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ: ২৩৩৫-৮২১২/৩৯১৩,
টোল ফ্রি- ১৮০০-৩৪৫-৩৩৯০
সবুজ মঞ্চ: ৯৮৭৪৩২১০৫৬, ৯৪৩২৫৩৪২৮৩ |
|
অন্য দিকে, কালীপুজোয় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক হারে ধরপাকড় শুরু করেছে উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ। সোমবার দোলতলায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কালীপুজোর ‘গাইড ম্যাপ’ প্রকাশ করা হয়। জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, “এই জেলার অন্যতম বড় উৎসব কালীপুজো। তাই পুলিশ ও প্রশাসন দর্শনার্থীদের সাহায্যের জন্য থাকবে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রচুর সহায়তা বুথ তৈরি হচ্ছে।”
জেলার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দীপাবলিতে শান্তি বজায় রাখতে গোটা জেলা জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪ রাউন্ড গুলি ও প্রচুর শব্দবাজি আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে মোট ৭৬৯ জন। এদের মধ্যে চাঁদার জুলুম, জুয়া, শব্দবাজি বিক্রি, অবৈধ চোলাই মদ বিক্রি-সহ বিভিন্ন অভিযোগে ধৃতরা রয়েছে।”
কালীপুজোয় উচ্ছৃঙ্খলতা এড়াতে ইতিমধ্যেই শিল্পাঞ্চলে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ও আবগারি বিভাগ অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার লিটার চোলাই মদের উপকরণ ও হাজার লিটারেরও বেশি চোলাই মদ আটক করেছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে ঘোলার বিলকান্দা অঞ্চলের ১৭টি চোলাই মদের ভাটি। নৈহাটি, জগদ্দল, টিটাগড়, নোয়াপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জুয়ার বোর্ড-সহ কয়েক লক্ষ টাকা আটক হয়েছে। ধরা পড়েছে অনেকে।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সূর্যপুর ও কল্যাণীর রথতলায় বাজির বড় আড়ত। শনিবার রাতে পুলিশ শিল্পাঞ্চলের এস বি পথ, ভেড়ি গেট, ব্রহ্মস্থানে হানা দিয়ে শব্দবাজি আটক ও গ্রেফতার করেছে। চাঁদার জুলুম নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। রাস্তায় জোর করে চাঁদা তোলায় বাধা দিতে গিয়ে পুলিশকেও হেনস্থা করা হয়েছে খড়দহে। শিল্পাঞ্চলের পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, এ বার কালীপুজোয় সাদা পোশাকের পুলিশও টহল দেবে। |
|
|
|
|
|