|
|
|
|
|
হাতছানি দিল
আদমা সুন্দরী |
|
পুজোর মরসুমে কোথায় বেড়ালেন? দেখলেন মরুভূমি না তুষারদেশে ভূমিকম্প?
আসানসোলের ইসমাইল থেকে আজ লিখছেন দীপঙ্কর বসুচৌধুরী। |
সবুজের এতটুকু খামতি নেই। পাহাড়ও এখানে দুর্গম নয়। চার দিকে পাথুরে উপত্যকা, গাছগাছালি। একটু গভীরে গেলে চোখে পড়ে চেরির বন। আরও দূরে রডোডেনড্রনের সমাহার, নাম না জানা কত ফুল। বনের বাইরে বসতি, কৃষিজমি, খাপরার চাল ও বাঁশের তৈরি ছোট ছোট সারিবদ্ধ বাড়ি।
জলপাইগুড়ির সিনচুলা, আশিগাঁও, লেপচাখা, চুনাভাসি, বক্সা এবং আদমা। সিনচুলা রেঞ্জের অধীন এই পাঁচটি পাহাড়। তাদের মধ্যে সব চেয়ে দুর্গম আদমা। সেখানে বাস করে ভুকপা জনজাতির মানুষ। অধিকাংশের জীবিকা চাষবাস। পাহাড়ের গা বেয়ে জটার মতো উঠে গিয়েছে কৃষিজমি।
আলিপুরদুয়ার মহকুমা থেকে ৪৫ কিমি দূরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আদমা পাহাড়। কালচিনি হয়ে চড়াই-উতরাই, ঝোরা পেরিয়ে আদমা পাহাড়ে পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা। তবে পথ বড় মনোরম। কোথাও হঠাৎ জনপদ, কোথাও পাথুরে রুক্ষ্ম প্রকৃতি। মাঝে বক্সার ঘন সবুজ জঙ্গল। এর পরেই ফল বাগিচা ও গাছগাছালিতে ঘেরা আদমা। কমলালেবু, সুপারি থেকে নানা ভেষজ গাছপালায় ভরা এই পাহাড়। |
|
ছবিটি লেখকেরই পাঠানো |
২০০১ সালে পঞ্চায়েতের আওতায় আসে আদমা। কিন্তু এখানকার যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, শিক্ষা ব্যবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। এখানে প্রচুর পরিমাণে দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু সঠিক বিপণন ব্যবস্থার অভাবে উপযুক্ত আয় পান না অধিবাসীরা। ইদানীং অবশ্য এলাকার ৬টি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে খাবার-দাবার বিক্রির ব্যবস্থা হয়েছে।
জানলার ঘুলঘুলি সরাতেই চোখে পড়ে আবছায়া কুয়াশা ঘেরা ভোরের পাহাড়ি প্রদেশে কাঠের উনুনে চা গরম হচ্ছে। দূরে এক দল শিশু দৌড়ে বেড়াচ্ছে। কানে আসে কর্মরতা মহিলাদের কলতান। এক দল মেষ নিয়ে এক মেষপালক হারিয়ে গেল সবুজের মাঝে। বাড়ি ফিরে এসেও তাই চোখে ভাসে আদমার দৃশ্য। |
লিখুন অনধিক ৩০০ শব্দে। খামে ‘পুজো এক্সপ্রেস’ লিখে পাঠিয়ে দিন
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ ১০, ডক্টরস কলোনি, সিটি সেন্টার,
দুর্গাপুর - ৭১৩২১৬।
অবশ্যই দেবেন ছবি (নিজেদের বাদে)। ছবি মেল করতে চাইলে: durgapuredit@abp.in
(লেখা নির্বাচনে সম্পাদকীয় বিভাগের বিবেচনাই চূড়ান্ত) |
|
|
|
|
|
|