হাওড়ায় উচ্ছেদ হওয়া হকারদের পুনর্বাসন, পাল্টা শর্ত প্রশাসনকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বঙ্কিম সেতু থেকে উচ্ছেদ হওয়া হকারদের আর সেখানে বসতে দেওয়া হবে না। তাঁদের জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা হবে।
শনিবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের অফিসে উচ্ছেদ হওয়া হকারদের সঙ্গে পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠকের পর এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মধ্য হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের কৃষি ও বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। মন্ত্রীর কথায়, “বঙ্কিম সেতু হাওড়ার গুরুত্বপূর্ণ সেতু। ওই সেতুর ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে এ ভাবে ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই হকার সহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
মন্ত্রী এ কথা বললেও উচ্ছেদ হওয়া হকারদের দাবি, শুধু তাঁদের সরালেই হবে না। মঙ্গলাহাটের যে সব হকাররা সেতুর নীচে রাস্তা ও ফুটপাতে বসেন, তাঁদেরও উচ্ছেদ করতে হবে। তবেই তাঁরা সরকারি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা মেনে নেবেন। হকার প্রতিনিধিদের পক্ষে শ্যামল সাহা বলেন, “যত দিন না দাবি মানা হচ্ছে, তত দিন আমাদের বঙ্কিম সেতুতে বসতে দিতে হবে।” হকারদের ওই অনড় মনোভাব নিয়ে অরূপবাবু অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে তাঁর মন্তব্য, “সেতুর ওপর ফুটপাত ও রাস্তায় মাত্র ২০০ জন হকার ব্যবসা করেন। অপর দিকে সেতুর নিচে ও মঙ্গলাহাটের আশপাশে কয়েক হাজার হকার বসেন। সবাইকে একসঙ্গে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। পুনর্বাসনও সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে সব হবে।” গত মঙ্গলবার মঙ্গলাহাটের দিন হাওড়া পুলিশ বঙ্কিম সেতুর ফুটপাত ও আশপাশের রাস্তার হকারদের বসতে দেননি। এর প্রতিবাদে এক দল হকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী হকারদের জন্য বিকল্প জায়গা ঠিক করার নির্দেশ দেন অরূপবাবু ও রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে। শুক্রবার মহাকরণে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রাণাডে-সহ আরও দুই পুলিশ কর্তার সঙ্গে কথা বলেন ওই দুই মন্ত্রী। সেখানেই ঠিক হয়, হাওড়ার দিকে বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের নিচে বা টিকিয়াপাড়ায় ইস্ট-ওয়েস্ট রোডের ধারে ওই হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এ দিনের বৈঠকে পুনর্বাসনের জায়গার কথা হকারদের জানিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা মঙ্গলাহাটের হকারদের উচ্ছেদের শর্তে পুনর্বাসনে রাজি হওয়ায় বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়। |