রাস্তায় নেমে আসা কাদার ঢল, বানভাসি রাস্তায় রাত অবধি আটকে থাকা গাড়ির সারি, জলমগ্ন রাস্তার নর্দমায় ভেসে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তি, নৌকাডুবি হয়ে দুই মৎসজীবীর মৃত্যু— সংক্ষেপে এই হল গত কাল সন্ধ্যায় গুয়াহাটির বৃষ্টি-কোলাজ। অকাল বর্ষণের ধাক্কায় নাজেহাল জনগণ আজ রাস্তায় নেমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়।
গত কালের বৃষ্টিতে কেবল শহরের অংশ বিশেষ নয়, একেবারে রাজধানী দিসপুরের সচিবালয়, মন্ত্রী বিধায়কদের আবাস, বিধানসভা ভবন, সবই ডুবে যায়। কাদা জমে রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। জু রোড, পানবাজার, আমবাড়ি, রাজগড়, শিলপুখুরি, তরুণনগর, গণেশগুড়ি, ছয়মাইল, নুনমাটি, নারেংগি, ভাঙাগড়, রূপনগর, বিরুবাড়ি, হেঙেরাবাড়ি-সহ বহু এলাকায় জমা জল কোমর ছাপিয়ে যায়। আজও জমা জল সরেনি। নর্দমার জলের স্রোতে নারকীয় অবস্থা হয় শহরের। নানা অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। কাহিলীপাড়ার ধস নামে। নরকাসুর পাহাড় থেকে মাটি ধসে গণেশগুড়ি থেকে কাহিলীপাড়া অবধি রাস্তা কাদায় ডুবে যায়। রোগী-সহ একটি মারুতি ভ্যান সেই হড়াকা কাদায় অর্ধেক ডুবে যায়। |
প্রবল বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে অসম বিধানসভা ভবনের সামনের রাস্তা। শনিবার।ছবি: উজ্জ্বল দেব |
গত কাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিনয়মোহন দাস নামে এক ব্যক্তি, জু রোড তিনমাথায় জলমগ্ন নর্দমায় পড়ে ভেসে যান। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে আজ জু রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, রাস্তার পাশের বড় নিকাশি নালার উপরে সিমেন্টের স্ল্যাব বহু জায়গাতেই উধাও। বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও লাভ হয়নি। গত কালের ঘটনার পরেও পুলিশ বিনয়বাবুর খোঁজে নামেনি। তাঁকে বাঁচাবার চেষ্টাও হয়নি। অন্য দিকে, কামরূপের শুয়ালকুচিতে তীব্র ঝড়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে নৌকা-সহ ব্রহ্মপুত্রে তলিয়ে যান ধর্মেশ্বর কলিতা ও হিমাংশু কলিতা নামে দুই মৎসজীবী। বৃষ্টি ও জমা জলের জেরে শহরের ছ’টি এলাকায় আগুন লাগে। এরমধ্যে শোলাপাড়ায় আগুন লেগে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। |