আগামী আর্থিক বছর (২০১২-১৩) থেকে শহরে এলাকা ভিত্তিক সম্পত্তিকর মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু হবে। আর সেই ব্যবস্থায় আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিকে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। শনিবার পুর-অধিবেশনে ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে ওই নতুন কর নির্ধারণ ব্যবস্থাটি গৃহীত হয়।
অধিবেশন শেষে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুরনো ব্যবস্থায় কর মূল্যায়ন হয়ে যাওয়ার পর আর্থিক ক্ষেত্রে দুর্বল পরিবারের সম্পত্তিকর কমানোর ক্ষমতা পুরসভার ছিল না। নতুন ব্যবস্থায় ওই পরিবারগুলির আবেদনের ভিত্তিতে করের পরিমাণ কমানো, এমনকী ছাড় দেওয়ার ক্ষমতাও পুরসভার হাতে থাকবে।”
এলাকা ভিত্তিক সম্পত্তিকর মূল্যায়ন ব্যবস্থায় কলকাতা পুরসভার ১৪১টি ওয়ার্ডকে ‘এ’ থেকে ‘জি’ সাতটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। ব্লকের শ্রেণিবিন্যাস, কোন রাস্তার উপর বাড়ি, তার নকশা এবং কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইত্যাদি বিচার করে প্রতি বর্গফুটের ন্যূনতম মূল্য সর্বনিম্ন ১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। এই মাপকাঠিতে বাড়িটির মূল্যায়ন করার পর পুরসভা ৬ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পত্তিকর ধার্য করতে পারবে। এই ব্যবস্থায় অবশ্য শহরের সমস্ত বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবার সম্পত্তিকর থেকে সম্পূর্ণ রেহাই পাবেন। করের পরিমাণে ছাড় পাবে কলকাতার বিভিন্ন বস্তি এবং কলোনি এলাকাও।
মেয়রের দাবি, নতুন ব্যবস্থায় সাধারণ শহরবাসীর উপর করের বোঝা যেমন অনেকটাই লাঘব হবে, একই সঙ্গে বন্ধ হবে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও। এতে পুরসভার কর বাবদ আয়ও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
পুরসভা সূত্রে খবর, পুরনো ব্যবস্থায় বাড়ির মূল্যায়নের উপর পুরসভা ৪০% কর নিত। তবে শহরের প্রায় ৩৫-৪০% বাড়ি থেকে কর আদায় হয় না। অসংখ্য বাড়ি রয়েছে, যেগুলির আজ পর্যন্ত মূল্যায়নই করা হয়নি। নতুন ব্যবস্থায় শহরের প্রতিটি বাড়ির আর্থিক মূল্যায়ন করে সেগুলিকে করের আওতায় আনা হবে। |