লিবিয়ায় সদ্য গদ্দাফি জমানার অবসান হয়েছে। এ বার কোন দেশের পালা?
আরব দেশগুলিতে এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লা সালের উপর চাপ বাড়াল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সালে যাতে অবিলম্বে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন সেই নিয়ে গত কাল একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে।
ইয়েমেনে গত কয়েক মাসে যে ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তার সমালোচনা করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। আর বলা হয়েছে, সালে যেন দেশের ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা তুলে দেন। যাতে সে দেশের রাজনৈতিক পালা বদলের বিষয়টি সুসংহত ভাবে পালিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের রাজনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি লিন পাসকো আজ সাংবাদিকদের বলেন, “এখন সময় এসে গিয়েছে। ইয়েমেনি সরকার ও বিরোধী দলনেতাদের এখন উচিত নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা। এবং চুক্তির বিষয়টি পাকা করা। এ নিয়ে দেরি করা একেবারেই উচিত হবে না।”
সালে সরে যাওয়ার পরে ইয়েমেনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে বিরোধীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে ইয়েমেনে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তিউনিশিয়া, মিশর বা লিবিয়ার মতো সে দেশ থেকেও স্বৈরাচারী একনায়কের অপসারণ হোক। এত দিন ধরে কড়া হাতে সেই বিক্ষোভ দমন করে এসেছেন প্রেসিডেন্ট সালে। নির্বিচারে মানুষ মারা গিয়েছেন সেখানে। বাদ পড়েননি মহিলা আর শিশুরাও। ইয়েমেনের পরিস্থিতি নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। সে দেশে ‘আল-কায়দা ইন আরাবিয়ান পেনিনসুলার’ মতো জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
রাষ্ট্রপুঞ্জ চায়, ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে অবিলম্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক সে দেশে। ত্রাণ দিয়ে ইয়েমেনের মানুষকে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলিকে আহ্বানও জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। |