টুকরো খবর
বিতর্কে সুপার
দুটি সংগঠন সম্পর্কে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপারের মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদারের কাছে হাসপাতালের পরিষেবা উন্নত করার দাবিতে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠনের সদস্যরা। ওষুধের অভাবে দু’দিন ধরে হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওষুধ পাওয়া যাবে বলে সুপার আশ্বাস দিলেও এ দিন ওষুধের অভাবে অস্ত্রোপচার হয়নি। এই বিষয়ে সুপারের কাছে জবাবদিহি চাওয়া এবং হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধের সঙ্কট, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরিষেবা অমিল, চিকিৎসকদের একাংশকে দায়িত্ব না দেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। দু’পক্ষে বাক্য বিনিময় শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে হাসপাতাল সুপার ওই চিকিৎসকদের বলেন, ‘আপনারা রাজনীতি করতে এসেছেন। আমার কাজ জানি। আপনারা শেখাবেন না।’ এর পরেই পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চিকিৎসকরাও সুপারকে পাল্টা আক্রমণ করে ‘অকর্মন্য’, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এর পরে ক্ষুদ্ধ চিকিৎসকরা সুপারের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে সুপার বলেন, “চিকিৎসকরা আমাকে আপমানজনক কথা বলেছেন। এঁরা রাজনীতি করার জন্য এসব কথা বলছেন। আগেও শাসক দলের সংগঠন এমন করত। এখনও চলছে। এরা সকলেই একই মদ্রার এ পিঠ আর ওপিঠ।” এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে বির্তক। তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠন প্রোগ্রেসিভ সার্ভিস ডক্টরস আসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশান্ত রায় বলেন, “সুপারের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানাব। স্মারকলিপিতে সবই নাগরিকদের পরিষেবা সংক্রান্ত কথা রয়েছে। উনি কী ভাবে এর মধ্যে রাজনীতি খুজে পেলেন তার কৈফিয়ত ওনাকেই দিতে হবে। তিনি নিজে কাজ করেন না। কোনও দিন হাসপাতালে রাউন্ড দেন না। কোন বিভাগে কী ঘটছে সবই তাঁর কাছে অজানা। তাই তাঁর অপদার্থতা ঢাকতে এসব কথা বলছেন।”

পাতা ফেলে ক্ষোভ ছোট চা চাষিদের
কাঁচা চা পাতার দাম তলানিতে ঠেকায় জাতীয় সড়কের উপর পাতা ফেলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ থানার সারিয়াম এলাকায় ওই অবরোধের ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিন এলাকার প্রায় কয়েকশো ক্ষুদ্র চা চাষি বিক্ষোভে সামিল হন। পুলিশ ও রাজগঞ্জ বিডিও অবরোধ স্থলে গিয়ে তাদের বোঝানোর পরে অবরোধ ওঠে। অবরোধ ছিল প্রায় তিন ঘন্টার উপর। এ দিন সকাল ১০ টা নাগাদ ওই অবরোধ শুরু করা হয়। জলপাইগুড়ি জেলা কিসান মজদুর কংগ্রেস চেয়ারম্যান দুলাল দেবনাথের অভিযোগ, কাঁচা পাতার দাম কমার মূলে চা কারখানাগুলির গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তারা ইচ্ছে করে পাতা না কিনে চাষিদের বিপাকে ফেলে অত্যন্ত কম দামে পাতা কিনছেন। অথচ তারা বড় বড় চা বাগিচা মালিকদের কাছ থেকে পাতা কেনার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্য জোট সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার বা ভারতীয় চা পর্ষদ চাষিদের এই সঙ্কট পরিস্থিতি কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সমস্ত চা প্রস্তুত কারখানাগুলি সহ প্রশাসনিক দফতরগুলির সামনে অনশনে বসা হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন। প্রয়োজনে রেল অবরোধের হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

শক্তি প্রমাণে সভার ডাক কংগ্রেসের
দলের একদল পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে নকশালবাড়িতে জনসভার ডাক দিল কংগ্রেস। রবিবার নকশালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ৪ জন এবং ব্লকের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার নকশালবাড়িতে ব্লক কংগ্রেসের একটি সভা হয়। সভায় দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা নকশালবাড়ি মাটিগাড়ার বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, জীবন মজুমদার-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ বলেন, “কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলে চলে যাওয়ায় নকশালবাড়িতে কংগ্রেসের কোনও শক্তিক্ষয় হয়নি। রবিবারের জনসভায় আমরা তা প্রমাণ করে দেব।” সভায় মণিরামের অঞ্চল সভাপতি সুনীল শৈব্য, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পৃত্থীশ রায়-সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বার্ধক্য ভাতার দাবি
নয় মাস ধরে বার্ধক্য ভাতা পান না নকশলাবাড়ির তোতারামের বাসিন্দা মেহরুন্নেসা। বাবুপাড়ার লালু চৌধুরী গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর থেকে ব্লক অফিসে নিয়ম করে প্রতি মাসে ভাতা খোঁজ করে যাচ্ছেন। কবে ভাতা মিলবে সেই ব্যাপারে কোনও আশ্বাস পাননি। একই সমস্যায় পড়েছেন কালুয়াজোতের মহম্মদ সোলেমান, বাবুপাড়ার মানিক দাস এবং ধনিয়া রায়ের টেপু রায়। বৃহস্পতিবার নকশালবাড়ি ও মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন প্রায় দেড়শো বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা সিপিএমের নেতৃত্বে নকশালবাড়ি ব্লক অফিসে বার্ধক্য ভাতা চেয়ে স্মারকলিপি দিলেন। ব্লক প্রশাসনের বক্তব্য, ভাতার টাকা মঞ্জুর না-হওয়ায় তা বিলি করা যাচ্ছে না। সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌতম ঘোষ বলেন, “ভাতার টাকাও এই সরকার সময়মতো বিলি করতে পারছে না। ১ নভম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তারক পরে ব্লক অপিসে ধর্নায় বসব।” নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ বলেন, “ভাতা নিয়ে খুবই সমস্যায় পড়েছি। বরাদ্দ না-মেলায় বিলি করা যাচ্ছে না।”

পাট পুড়িয়ে প্রতিবাদ
পাট বিক্রি করে রবি শস্যের বীজ কেনার কথা ছিল আজিজার রহমানের। পাট বিক্রি করে চাল কেনার কথা ছিল নাসিরউদ্দিন মহম্মদের। পাট বিক্রি করে বাবাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল এজামুল হকের। পাট নিয়ে সাত সকালে তারা হাজির হন হাটে। আরও অনেক পাট চাষি পাট নিয়ে যান হাটে। কিন্তু খদ্দের নেই। অপেক্ষায় অধৈর্য হয়ে পড়েন সকলেই। ফড়ে থেকে শুরু করে বাইরের পাইকারি পাট ব্যবসায়ীরাও হাটে আসেননি। যে দু’জন এসেছিল, তারা কম দাম বলছিল। অনেকে পাট নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। তারই মধ্যে পাট চাষিদের একাংশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল স্থানীয় পাট হাটিতে। পাট বিক্রি করতে না পেরে চাষিদের একাংশ বেশ কিছু পাটে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ হাটে ওই ঘটনা ঘটে। এই বিক্ষোভের জেরে রাজগঞ্জ বন্দর বাজার এলাকায় মূল চারটি রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাট চাষি সংগ্রাম উত্তরবঙ্গ সংগঠনের সম্পাদক হরিভক্ত সর্দার। হরিবাবু বলেন, পাট চাষিদের ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। দাম না পেয়ে রাস্তায় ফেলে জ্বালিয়ে দিতে হচ্ছে। দুঃখজনক ঘটনা।” তাঁর অভিযোগ, প্রতি বছরে পাট নিয়ে চাষিরা বিপাকে পড়ছেন। কী রাজ্য সরকার, কী কেন্দ্রীয় সরকার কোনও তরফে পাট চাষিদের নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পাটের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।” চাষিদের কয়েকজন বলেন, প্রথম দিকে মণ প্রতি পাটের দাম ছিল ১৮০০-১৯০০ টাকা। তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকাতে। উৎপাদনের খরচই ওঠে না।” প্রায় দু’ঘন্টা বিক্ষোভ চলে।

আইনজীবিকে মারধর, নালিশ
আইনজীবীকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির জাজোদিয়া মার্কেটে বাণিজ্যকর দফতরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দফতরের এক কর্মী শিলিগুড়ি ট্যাক্সেশন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আইনজীবী অপূর্ব সাহাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠার পরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আইনজীবী সংগঠনের-সহ সভাপতি অরুণ ঘোষ অনশনে বসে পড়েন। রাতে দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা হীরা লেপচা আলোচনার আশ্বাস দিলে সমস্যা মেটে। তিনি বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন হয়েছে। শুক্রবার মিটিয়ে নেওয়া হবে।” আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি বলেন, “বাণিজ্যকর দফতরের এক কর্মী আমাদের সম্পাদককে ঘর থেকে বেরোতে বললে প্রতিবাদ হয়। সম্পাদকের উপরে হামলা হয়। শুক্রবার ওই কর্মীর শাস্তির দাবি মানা না-হলে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে।”

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজগঞ্জ থানার কুকুরজান অঞ্চলের ডুফুরুপাড়া এলাকার ঘটনা। এ দিন বাড়ির অদূরে একটি গাছ থেকে গলায় ফাঁস লাগোনো অবস্থায় ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম যোগীন্দ্রনাথ রায় (৫৯)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনও সন্তানাদি নেই। মাস কয়েক ধরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী অসুখে ভুগছেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক দেনা হয়। এই সব কারণেই মানসিক অবসাদের জেরে তিনি আত্মঘাতী হন বলে পুলিশের অনুমান।

বিলি কিষাণ ক্রেডিট
বৃহস্পতিবার ফাঁসিদেওয়ার নজরুল মঞ্চে কৃষি দফতরের তরফে চাষিদের মধ্যে কিসান ক্রেডিট কার্ড বিলি করা হল। কৃষি ঋণের জন্য চাষিদের মধ্যে ওই কার্ড বিলি হয় বলে ফাঁসিদেওয়া ব্লক কৃষি আধিকারিক মেহফুজ আমাদের জানিয়েছেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.