অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহল ছিল। কিন্তু এত দিন কিছুতেই তার উত্তর পাচ্ছিলেন না তাঁরা। অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রতীক্ষার পরে তাঁরা নিশ্চিত হলেন যে, একটি বিশেষ প্রজাতির পিট ভাইপার সাপ প্রয়োজনে কোনও যৌন মিলন ছাড়াই ডিম পাড়ে। আর সেই ডিম থেকে সন্তানও জন্ম নেয়। বিজ্ঞানের ভাষায় এই পদ্ধতিকে ‘পার্থেনোজেনেসিস বা অপুংজনি’ বলে। মৌমাছি বা বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে এটা খুবই প্রচলিত। পুরুষ মৌমাছিরা এ ভাবেই জন্মায়। কিন্তু সাপের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে সন্তান জন্মের প্রথম প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা। |
নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক পাঁচ বছর আগে একটি মেয়ে পিট ভাইপারকে ধরে খাঁচায় পুরে রাখেন। গত পাঁচ বছরে অন্য প্রজাতির একটি পুরুষ সাপ ছাড়া অন্য কোনও সাপের কাছকাছি আসেনি সে। আর প্রকৃতির নিয়মে অন্য কোনও প্রজাতির সঙ্গে স্বাভাবিক যৌন মিলন হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ২০০৯-এ ওই মেয়ে পিট ভাইপারটি চারটি ডিম পাড়ে। এর মধ্যে দু’টি ডিম থেকে সন্তানের জন্মও হয়। তাদের জিন পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেন, এদের জিন তাদের মায়ের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। অন্য কোনও পুরুষ সাপের অস্তিত্ব নেই তাদের জিনে। অর্থাৎ মেয়ে ভাইপারটি যৌন মিলন ছাড়াই সন্তানের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের এই গবেষণা বিজ্ঞান পত্রিকা ‘লিনিয়ান সোসাইটি’-তে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ঘটনা প্রমাণ দেয় যে, উপযুক্ত সঙ্গীর অভাবেই এই পদ্ধতির আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে মেয়ে ভাইপারটি।
|
বাজেয়াপ্ত প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
খড়্গপুরে উদ্ধার হওয়া বেআইনি শব্দবাজি। |
নিষিদ্ধ শব্দবাজি রুখতে আগেই অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। খড়গপুর, বেলদা, ডেবরা এলাকায় লাগাতার অভিযানও চলছে। এ বার খড়্গপুর শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকেই বাজেয়াপ্ত হল প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি। শুধু শহর থেকেই প্রায় ৪০ কেজি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খড়্গপুর মহকুমার অন্য এলাকা থেকেও বাজেয়াপ্ত হয়েছে আরও ৩০ কেজি বাজি। বুধবার থেকেই নিষিদ্ধ বাজি রুখতে তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে রেলশহর ও তার আশপাশে। বাজি কেনাবেচা হয়, এমন এলাকাতে অতর্কিতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। ফলে, বাজি বিক্রেতাদের একাংশ বিপাকে পড়েছেন। পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযান চলবে। এ ক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ এলে দ্রুত তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। |