শেষের আট মাস ২০১১
একনায়ক পতন
বেনিটো মুসোলিনি (১৮৮৩-১৯৪৫): ভোটে জিতে ১৯২২ সালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী। ১৯২৫ থেকে ‘ডুচে’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ফ্যাসিবাদের জনক। স্পেনে পালানোর পথে ধরা পড়েন। ২৮ এপ্রিল, ১৯৪৫ গুলিতে নিহত।

অ্যাডল্ফ হিটলার (১৮৮৯-১৯৪৫): জার্মানিতে ভোটে জিতে ১৯৩৩ সালে ক্ষমতায় আসেন। নাৎসিবাদের প্রবক্তা। ১৯৩৪-এ নিজেকে ‘ফুয়েরার’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫, ধরপাকড় এড়াতে বাঙ্কারেই আত্মহত্যা।

মহম্মদ রেজা শাহ পহলভি (১৯১৯-১৯৮০): ইরানের শাহ নামে বেশি পরিচিত। ১৯৪১ থেকে লাগাতার ক্ষমতায়। ১৯৭৯ সালে রাজতন্ত্রের পতন, ক্ষমতায় খোমেইনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে শেষমেষ মিশরে মৃত্যু।

ইদি আমিন (১৯২৫-২০০৩): সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে উগান্ডার ক্ষমতা দখল ১৯৭১ সালে। ১৯৭৯ সালে তানজানিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ এবং ক্ষমকার অবসান। পালিয়ে লিবিয়া, সৌদিতে। সেখানে মৃত্যু।

পল পট (১৯২৫-১৯৯৮): কাম্বোডিয়ার নেতৃত্ব দখল ১৯৭৫-এ। চার বছর পর ভিয়েতনামের সঙ্গে যুদ্ধের সময় পালিয়ে জঙ্গলের আশ্রয়ে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত জঙ্গলে থেকেই কিছু অনুগামী নিয়ে স্বঘোষিত শাসক। ১৯৯৮-এ গৃহবন্দি করল বিরোধী গোষ্ঠী।

অগস্তো পিনোশে (১৯১৫-২০০৬): সামরিক অভ্যুত্থান করে চিলিতে ক্ষমতা দখল ১৯৭৩ সালে। ১৯৮৭ সালে গণভোটে জিতল গণতন্ত্রের দাবি। ১৯৯০ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর। ১৯৯৮ সালে ব্রিটেনে গ্রেফতার, অসুস্থতার জন্য মুক্ত ২০০০-এ।

নিকোলাই চাওসেস্কু (১৯১৮-১৯৮৯): কমিউনিস্ট রোমানিয়ার শীর্ষ পদে ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত। ডিসেম্বর ১৯৮৯-র বুখারেস্টে বিপুল গণবিক্ষোভ, পূর্ব ইউরোপ জুড়ে বিপ্লবের হাওয়া। চাওসেস্কুর পতন। দু’ঘণ্টার বিচারপর্ব শেষে সস্ত্রীক মৃত্যুদণ্ড।

সাদ্দাম হুসেন (১৯৩৭-২০০৬): ইরাকের সর্বাধিনায়ক, ১৯৭৯ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ক্ষমতায়। ২০০৩ সালে ইরাকে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা ও মিত্রবাহিনী। ২০০৪ সালে ধরা পড়েন। ২০০৬ সালে ফাঁসি হয় তাঁর।

চার্লস টেলর (১৯৪৮- ): ১৯৮৯ সাল থেকে লাইবেরিয়ার প্রথম গৃহযুদ্ধে নেতৃত্বদান এবং ১৯৯৭ সালে ভোটে জিতে ক্ষমতায়। যদিও ভোট অবাধ ছিল না বলে অভিযোগ। ১৯৯৯-এ ফের গৃহযুদ্ধ। ২০০৩-এ ক্ষমতা ছাড়লেন। এখন বিচারাধীন।

জাঁ ক্লদ দ্যুভেলিয়র (১৯৫১- ): হাইতির প্রেসিডেন্ট হন ১৯৭১ সালে। ১৯৮৬ পর্যন্ত ক্ষমতায়। গণবিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুতি, স্বেচ্ছা-নির্বাসন ফ্রান্সে। এ বছর দেশে ফিরে গ্রেফতার হয়েছেন।

জিনে আল-আবেদিন বেন আলি (১৯৩৬- ): প্রথমে তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। পরে সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট। ১৯৮৭ সাল থেকে ক্ষমতা। এ বছর গণবিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুতি, পালিয়ে সৌদি আরবে।

হোসনি মুবারক (১৯২৮-): মিশরের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ১৯৮১ থেকে। চলতি বছর আর ভোটে লড়বেন না বলেছিলেন। তবু বিক্ষোভের মুখে আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। এখন বিচারাধীন।


তাঁরা বলছেন



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.