|
|
|
|
শেষের আট মাস ২০১১ |
• ১৭ ফেব্রুয়ারি: কর্নেল মুয়ম্মর গদ্দাফির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু লিবিয়া জুড়ে। বিক্ষোভের প্রাণকেন্দ্র পূর্বের শহর বেনগাজি।
• ২৩ অগস্ট: ত্রিপোলি দখল বিরোধীদের। দখল গদ্দাফির বিখ্যাত বাব আল-আজিজিয়া প্রাসাদও। খোঁজ মিলল না গদ্দাফি ও তাঁর পরিবারের।
• ২৯ অগস্ট: আলজিরিয়ায় পালালেন গদ্দাফির এক স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক
অন্তঃস্বত্ত্বা মেয়ে।
• ১ সেপ্টেম্বর: লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার বৈঠকে বসল প্যারিসে। এক অডিও বার্তায় সমর্থকদের লড়াই জারি রাখার ডাক গদ্দাফির।
• ১১ সেপ্টেম্বর: আফ্রিকার দেশ নাইজারের সরকার জানাল, গদ্দাফির এক ছেলে সাদি তাদের দেশে।
• ২০ সেপ্টেম্বর: গদ্দাফি-অনুগামীদের আত্মসমর্পণ করতে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। লিবিয়ার জনগণকে
ফের প্রতিরোধের
আহ্বান গদ্দাফির।
• ২১ সেপ্টেম্বর: সির্তের কাছাকাছি সাবা শহর বিরোধীদের দখলে।
• ১২ অক্টোবর: সির্তে থেকে পালানোর পথে গ্রেফতার গদ্দাফির এক ছেলে। সন্দেহ আরও দৃঢ় হল, গদ্দাফি আছেন সির্তেতেই।
• ১৩ অক্টোবর: সির্তে ঘিরে ফেলল বিরোধী ফৌজ।
• ১৭ অক্টোবর: সিরিয়ার একটি টিভি চ্যানেল জানাল, গদ্দাফির ছেলে খামিস ২৯ সেপ্টেম্বরের লড়াইতে নিহত। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তাঁর কুখ্যাত খামিস বাহিনীও।
• ২০ অক্টোবর:
সির্তের পতন।
নিহত গদ্দাফি।
|
একনায়ক পতন |
বেনিটো মুসোলিনি (১৮৮৩-১৯৪৫): ভোটে জিতে ১৯২২ সালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী। ১৯২৫ থেকে ‘ডুচে’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ফ্যাসিবাদের জনক। স্পেনে পালানোর পথে ধরা পড়েন। ২৮ এপ্রিল, ১৯৪৫ গুলিতে নিহত।
অ্যাডল্ফ হিটলার (১৮৮৯-১৯৪৫): জার্মানিতে ভোটে জিতে ১৯৩৩ সালে ক্ষমতায় আসেন। নাৎসিবাদের প্রবক্তা। ১৯৩৪-এ নিজেকে ‘ফুয়েরার’ হিসেবে ঘোষণা করেন। ৩০ এপ্রিল ১৯৪৫, ধরপাকড় এড়াতে বাঙ্কারেই আত্মহত্যা।
মহম্মদ রেজা শাহ পহলভি (১৯১৯-১৯৮০): ইরানের শাহ নামে বেশি পরিচিত। ১৯৪১ থেকে লাগাতার ক্ষমতায়। ১৯৭৯ সালে রাজতন্ত্রের পতন, ক্ষমতায় খোমেইনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে শেষমেষ মিশরে মৃত্যু।
ইদি আমিন (১৯২৫-২০০৩): সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে উগান্ডার ক্ষমতা দখল ১৯৭১ সালে। ১৯৭৯ সালে তানজানিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ এবং ক্ষমকার অবসান। পালিয়ে লিবিয়া, সৌদিতে। সেখানে মৃত্যু।
পল পট (১৯২৫-১৯৯৮): কাম্বোডিয়ার নেতৃত্ব দখল ১৯৭৫-এ। চার বছর পর ভিয়েতনামের সঙ্গে যুদ্ধের সময় পালিয়ে জঙ্গলের আশ্রয়ে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত জঙ্গলে থেকেই কিছু অনুগামী নিয়ে স্বঘোষিত শাসক। ১৯৯৮-এ গৃহবন্দি করল বিরোধী গোষ্ঠী।
অগস্তো পিনোশে (১৯১৫-২০০৬): সামরিক অভ্যুত্থান করে চিলিতে ক্ষমতা দখল ১৯৭৩ সালে। ১৯৮৭ সালে গণভোটে জিতল গণতন্ত্রের দাবি। ১৯৯০ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর। ১৯৯৮ সালে ব্রিটেনে গ্রেফতার, অসুস্থতার জন্য মুক্ত ২০০০-এ।
নিকোলাই চাওসেস্কু (১৯১৮-১৯৮৯): কমিউনিস্ট রোমানিয়ার শীর্ষ পদে ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত। ডিসেম্বর ১৯৮৯-র বুখারেস্টে বিপুল গণবিক্ষোভ, পূর্ব ইউরোপ জুড়ে বিপ্লবের হাওয়া। চাওসেস্কুর পতন। দু’ঘণ্টার বিচারপর্ব শেষে সস্ত্রীক মৃত্যুদণ্ড।
সাদ্দাম হুসেন (১৯৩৭-২০০৬): ইরাকের সর্বাধিনায়ক, ১৯৭৯ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ক্ষমতায়। ২০০৩ সালে ইরাকে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা ও মিত্রবাহিনী। ২০০৪ সালে ধরা পড়েন। ২০০৬ সালে ফাঁসি হয় তাঁর।
চার্লস টেলর
(১৯৪৮- ): ১৯৮৯ সাল থেকে লাইবেরিয়ার প্রথম গৃহযুদ্ধে নেতৃত্বদান এবং ১৯৯৭ সালে ভোটে জিতে ক্ষমতায়। যদিও ভোট অবাধ ছিল না বলে অভিযোগ। ১৯৯৯-এ ফের গৃহযুদ্ধ। ২০০৩-এ ক্ষমতা ছাড়লেন। এখন বিচারাধীন।
জাঁ ক্লদ দ্যুভেলিয়র (১৯৫১- ): হাইতির প্রেসিডেন্ট হন ১৯৭১ সালে। ১৯৮৬ পর্যন্ত ক্ষমতায়। গণবিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুতি, স্বেচ্ছা-নির্বাসন ফ্রান্সে। এ বছর দেশে ফিরে গ্রেফতার হয়েছেন।
জিনে আল-আবেদিন বেন আলি (১৯৩৬- ): প্রথমে তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। পরে সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট। ১৯৮৭ সাল থেকে ক্ষমতা। এ বছর গণবিদ্রোহে ক্ষমতাচ্যুতি, পালিয়ে সৌদি আরবে।
হোসনি মুবারক (১৯২৮-): মিশরের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ১৯৮১ থেকে। চলতি বছর আর ভোটে লড়বেন না বলেছিলেন। তবু বিক্ষোভের মুখে আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। এখন বিচারাধীন। |
|
|
তাঁরা বলছেন |
|
|
|
|
|
সব বজ্রমুষ্টিই এক দিন খুলে যায়।
বারাক ওবামা
(মার্কিন প্রেসিডেন্ট) |
এই মুহূর্তটির অপেক্ষাতেই ছিলাম।
মাহমুদ জিব্রিল
(লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট) |
লিবিয়ার মানুষের গণতন্ত্রের পথে যাত্রা মসৃণ হবে।
ডেভিড ক্যামেরন
(ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী) |
লিবিয়ার মানুষকে প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে, পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
বান কি মুন
(রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব) |
সির্তের মুক্তি একটি বার্তা। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরির বার্তা, যেখানে নিশ্চিত হবে স্বাধীনতা।
নিকোলাস সারকোজি
(ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট) |
|
|
|
|
|
|