টুকরো খবর |
তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ফের কংগ্রেসের ‘ফিরলেন’ নকশলাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পবন সিদ্ধু। সোমবার নকশালবাড়ির বিডিওকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানানোর পাশাপাশি এদিন জেলা কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকেও দলে ফেরার কথা ঘোষণা করেন। রবিবারই দলের নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সরোজা তামাং-সহ ৪ সদস্যের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে বসে তিনি বলেন, “সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিয়েছি। কংগ্রেসে ছিলাম, আছি, থাকব।” তৃণমূলের নকশালবাড়ি ব্লক সভাপতি গৌতম কীর্তনীয়া বলেন, “সকালে পবন একটা অনুষ্ঠানে যান। তার পরেই তাঁর মোবাইল বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগের চেষ্টা করছি।” দলের ৫ পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তৃণমূলে চলে যাওয়ায় জোটের হাতে থাকা ওই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতে গিয়েছে। পবনবাবু কংগ্রেসে ফেরায় ক্ষমতার নতুন কোনও পরিবর্তন অবশ্য হবে না। ওই সাংবাদিক বৈঠকে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “পবনকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক প্রাক্তন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি এ কাজ করেছিলেন।” জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দলের পঞ্চায়েত সমিতির ৫ সদস্য, ১০ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য-সহ কর্মী সমর্থকদের বড়সড় অংশ তৃণমূলে চলে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। চার মাস আগেই জেলা কংগ্রেস সভাপতি নিজেই বিধানসভা নির্বাচনে ওই এলাকা থেকে জয়ী হয়েছেন। তার পরেও জেলা নেতৃত্বে কেন ভাঙন ঠেকাতে পারলেন তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই চলছে নানা জল্পনা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিষয়টি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও খোঁজখবর নিচ্ছেন।
|
কম্পনে ফাটল প্রাচীন মসজিদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
সম্প্রতি ভূমিকম্পে ফাটল ধরেছে ছাদে। ভেঙে পড়ছে দরজার পাশের দেওয়াল। খসে পড়ছে ময়নাগুড়ির বাকালি গ্রামের ১২৭ বছরের প্রাচীন বড়বাড়ি মসজিদের চুন-সুড়কির পলেস্তারা। ঘটনায় উদ্বিগ্ন ওয়েষ্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশনের উত্তরবঙ্গ নোডাল সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক আনন্দগোপাল ঘোষ। ১৮৮৩ সালে বড়বাড়ি মসজিদ তৈরি করেন জিয়ান গোমস্তা। ক্রমশ তা সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। মসজিদ কমিটির সচিব জাহিরুল হক বলেন, “বড়বাড়ি মসজিদ নেহাত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়। বাকালি-সহ ডুয়ার্স এলাকায় বিকশিত সমাজ জীবনের ঐতিহ্য।” ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়েই ওয়েস্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিকে হেরিটেজ ঘোষণার জন্য সুপারিশ করে। স্থানীয় প্রবীণদের কয়েকজন জানান, দেড়শো বছর আগেও বাকালি গ্রাম ছিল বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান। ওই গৌরবের অন্যতম স্থপতি ছিলেন জিয়ান সাহেব। বাইরে থেকে কারিগর এনে মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি। কালক্রমে ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের খ্যাতির সুবাদে বাকালির নাম ছড়িয়ে পড়েছিল অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন এলাকায়। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে। বড়বাড়ির দালানকোঠা নেই। মসজিদ জরাজীর্ণ। চুনের পলেস্তারা খসে ইঁট বার হয়েছে। রবিবার বিকেল নাগাদ দরজার উপরে বড় মাপের ফাটল দেখার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে নিজের মতো সংস্কারের কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু হেরিটেজ কমিশনের প্রসঙ্গ উঠতেই তাঁরা পিছিয়ে যান। ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও একই সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা হেরিটেজ কমিশনের সুপারিশ ছাড়া কাজে হাত দিতে তাঁদেরও সাহস হয়নি। জয়েন্ট বিডিও রাজীব দত্ত বলেন, “হেরিটেজ কমিশনের পরামর্শ ছাড়া মেরামতের কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা কমিশনকে সমস্যার কথা জানাব।”
|
মদের দোকান সরানোর দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
স্কুলের সামনে থেকে মদের দোকান সরানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ফাঁসিদেওয়া থানার চটহাট এলাকার একদল বাসিন্দা। সোমবার তাঁরা শিলিগুড়ি আবগারি দফতর, ফাঁসিদেওয়া থানা ও ফাঁসিদেওয়া বিডিও’র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বাদশা ঘোষালও বিষয়টি দেখা হবে বলে জানিয়েছেন। পুলিশের দাবি, দোকানে আবগারি দফতরের অনুমতি রয়েছে। সেই জন্য পুলিশ সরাসরি কিছু করতে পারছে না। আবগারি দফতরের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে, আবগারি দফতর ও পুলিশ যৌথভাবে মদের বিরুদ্ধে এলাকায় অভিযান চালানো হবে। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ মিটারের মধ্যে কোনও মদের থাকতে পারে না। তবু চটহাট হাইস্কুলের একদম গা ঘেঁষে ওই দোকান। প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ রায় বলেন, “নৈতিক দিক দিয়ে আমরা স্কুলের সমস্ত শিক্ষকরা এই আন্দোলনকে সমর্থন করছি। আমাদের তরফেও আন্দোলনে নামা হবে।” এ ছাড়া একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে আবগারি দফতর কী করে মদের দোকানের লাইসেন্স দিল-এই নিয়েও আবগারি দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রাজু মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলব।” স্থানীয় তৃণমূল নেতা দলিল মহম্মদ বলেন, “একটি স্কুলের সামনে মদের দোকান থাকাতে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশের উপর কুপ্রভাব পড়বে। পড়ুয়ারা মদে আসক্ত হয়ে পড়বে। এই সব ভেবে আমরা অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। সরকারি অনুমতি-টনুমতি বলে আমরা কিছু বুঝতে চাই না। এলাকার যুব সমাজের কথা ভেবে আমাদের দাবি, এখানে কোনও ধরণের মদের দোকান চলতে দেওয়া হবে না। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় মাপের আন্দোলনে নামা হবে। জখম ১। গণ্ডগোলে জখম হল ১ জন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ভক্তিনগরের কমলা বাগানে। পুলিশ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে।
|
গ্যাস চেয়ে ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বুকিংয়ের দেড় মাস পরেও গ্যাস সিলিন্ডার না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ইন্ডিয়ান অয়েলের (আইওসি) আঞ্চলিক দফতরের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা। সোমবার সকালে শিলিগুড়ির আঠারখাই পঞ্চায়েত এলাকার কর্মীরা মাটিগাড়ায় আইওসির দফতরে গিয়ে গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান। কর্মীদের ঢুকতে বাধা দেন তারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। দেড় ঘন্টা বিক্ষোভ চলার পর শেষপর্যন্ত আইসির উত্তরবঙ্গের এরিয়া ম্যানেজার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরিয়া ম্যানেজার বলেন, “সরবরাহ স্বাভাবিক। আঠারখাই এলাকায় যা গ্রাহক তাতে বুকিংয়ের একমাসের মধ্যে গ্যাস পাওয়ার কথা। কেন এমন হচ্ছে খতিয়ে দেখা হবে।” অভিযোগ, গ্যাস সিলিন্ডারের কালোবাজারি হচ্ছে। গ্যাস গ্রাহকদের না দিয়ে অতিরিক্ত লাভের জন্য ব্যবসায়ীদের বিক্রি করে দিচ্ছেন একশ্রেণির ব্যবসায়ী। এরিয়া ম্যানেজার শিলিগুড়ির সমস্ত আইওসির ডিস্ট্রিবিউটরদের নিয়ে বৈঠক বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি শিলিগুড়ির মহকুমাশাসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “গ্যাস কালোবাজারির বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা হবে।” তৃণমূলের আঠারখাই অঞ্চল সভাপতি দুর্লভ চক্রবর্তী বলেন, “প্রায় ১৬ হাজার গ্রাহক রয়েছেন ইন্ডিয়ান অয়েলের। প্রত্যেকেই বুকিংয়ের ৫০ দিন সিলিন্ডার পাচ্ছেন। কৃত্রিম ভাবে ওই সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। আইওসি’র কাছে বহুবার জানানোর পরেও গুরুত্ব না দেওয়ায় ঘেরাও বিক্ষোভ দেখানো হয়।”
|
গলা কেটে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে একটি কাপড়ের দোকানের এক কর্মচারিকে খুনের অভিযোগ উঠল অপর কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটে প্রধাননগর থানার চম্পাসারি মোড় এলাকায়। মৃত উত্তম দে’র (৪২) বাড়ি ভানুনগরে। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “কী কারণে দুই কর্মীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল তা এখনও পরিস্কার নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”দুই কর্মীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল। এদিন রাতে দুই জন দোকান থেকে বেরিয়ে বাজারের পেছনে যায়। সেখানেই এই ঘটনা ঘটিয়ে অভিযুক্ত পালায় বলে অভিযোগ।
|
ফের বাসের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
শামুকতলা থেকে কোচবিহার শহর পর্যন্ত ফের সরকারি বাস পরিষেবা চালু করার দাবি উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক বছর আগেও ওই রুটে সরকারি বাস চলত। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। ওই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে তাঁদের। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বোর্ড সদস্য মৃদুল গোস্বামী বলেন, “সমস্যা সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব।” ক্ষতিপূরণের দাবি। ভূমিকম্পের পরে এক মাস কেটে গেলেও এখনও আতঙ্কে মালবাজার-সহ লাগোয়া এলাকার বহু বাসিন্দা। অনেকেই এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। নেওড়া ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের রেডপাণ্ডা বন বাংলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনও সেটি বন্ধ। কালিম্পং ডিভিশনের রংপো বন বাংলোও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “তথ্য মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে। কিছু কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
|
আন্দোলনে চাষিরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলাকোবা |
কাঁচা চা পাতার ন্যায্য দামের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বেলাকোবার ‘দিশা’ নামে চা বাগান মালিকদের একটি সংগঠন। সোমবার তারা চা পর্ষদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক স্বপন দাসের অভিযোগ, দিন কয়েক ধরে আচমকা কাঁচা চা পাতার দাম একেবারে তলানিতে। বিপাকে চা চাষিরা। এক শ্রেণির চা প্রস্তুত কারখানা তাদের ইচ্ছেমতো পাতার দাম দিচ্ছেন। চাষিরা তাদের খেয়াল খুশিমতো চা পাতা বিক্রি করতে হচ্ছে। চা পর্ষদের কর্মকর্তাদের কোনও হেলদোল নেই বলে স্বপনবাবুদের অভিযোগ। স্বপনবাবু বলেন, “চা চাষিদের বৃহৎ স্বার্থে এটা চলতে দেওয়া যায় না। চা শিল্প গ্রামাঞ্চলের মূল অর্থনৈতিক ভিত। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে কাজ না হলে আরও বড় আন্দোলনে নামা হবে।”
|
রডের ঘায়ে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এক শ্রমিক লোহার রড দিয়ে মারায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ার থেকে পাটকাপাড়ার রাস্তায় ডিমা নদী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম অপূর্ব ধর (৪০)। বাড়ি আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের ঘাগরা এলাকার হরতকিতলায়। ঘটনায় জখম হন ১ পুলিশ কর্মী-সহ ৪ জন। ওই রাস্তায় ডিমা নদীতে সেতু নির্মাণ চলছে। রাতে উদয় দাস নামে এক শ্রমিক মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে থাকা একটি লোহার রড তুলে আচমকা ঘোরাতে থাকেন। তাঁকে থামাতে শ্রমিক এবং কয়েকজন বাসিন্দা এগিয়ে যান। লোহার রডের আঘাতে স্থানীয় বাসিন্দা অপুবাবু গুরুতর জখম হন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। পুলিশ এবং বাসিন্দারা গেলে ফের ক্ষেপে ওঠেন উদয়বাবু। রডের আঘাতে অপর একজন শ্রমিক এবং ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হন। এক পুলিশ কর্মী তাকে ধরতে গেলে তাঁকে কামড়ে দেন বলে অভিযোগ। জখম পুলিশ কর্মী এবং বাসিন্দাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদয়বাবুকেও ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
|
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ |
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়ের কাছে অভিযোগ জানালেন তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার। সোমবার দলীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে মুকুলবাবু সোমবার আলিপুরদুয়ারে এসেছিলেন। জহরবাবুর অভিযোগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন থানা তেকে তিনি টাকা তোলেন বলে অভিযোগ মিলেছে। কিছুদিন আগে তিনি ভাটিবাড়ির এক পুলিশ অফিসারকে ডেকে গালিগালাজ করতে ওই অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “জহর বাবু আমার কাছে আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। জহরবাবুকে বলেছি বিষয়টি রাজ্য সরকারের। বিষয়টি নিয়ে যা অভিযোগ জানানোর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে যেন তিনি জানান।” এই ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এই দিন বলেছেন, “এই ব্যাপারে কোনও লিখিত অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে একমাত্র তাঁদেরই সমস্ত ঘটনার কথা জানাব।”
|
অস্ত্র-সহ ধৃত |
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই দুষ্কতীকে গ্রেফতার করল ফাঁসিদেওয়া পুলিশ। রবিবার রাতে স্থানীয় কান্তিভিটা এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। চারজন পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের একজনের বাড়ি শিলিগুড়ির রথখোলায়। অপরজন সুকনার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান সটার, একটি চাকু ও একটি রড সহ একটি মারুতি ভ্যানও উদ্ধার হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আনন্দ কুমার বলেন, “এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা জড়ো হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এ দিন রাতে পুলিশ হাতেনাতে তাদের ধরে। তাদের গাড়িটিও আটক করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।” |
|