মিড ডে মিলের চাল ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল রান্নার কাজে নিযুক্ত মহিলাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের এনায়েতপুর আর এস এ সিনিয়ার মাদ্রাসায়। ওই মাদ্রাসায় মিড ডি মিল রান্নার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠী আর এস এ সিনিয়ার মাদ্রাসায় মিড ডে মিল রান্নার দায়িত্বে রয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাদ্রাসায় পড়ুয়ার সংখ্যা ৪২৬ জন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার সবাপতি হাসান গাজী এবং অভিভাবক প্রতিনিধি খইরুল হালদার বিডিও-র কাছে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিড ডে মিলের চাল ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জানান। খইরুলের বক্তব্য, “গত অগস্ট মাসে একদিনও মিড ডে মিল রান্না হয়নি। অথচ পুরো মাসের বরাদ্দ চাল ও টাকা তুলে নিয়েছে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও বেশি দেখানো হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদিকার যোগসাজশ রয়েছে। তা ছাড়া, ওই সম্পাদিকা মাদ্রাসা পরিচালন কমিটির সম্পাদক রুহুল গাজীর স্ত্রী হওয়ায় কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম হালদার বলেন, “ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি দেখানো বা মিড ডে মিলের চাল ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ঠিক নয়।” মাদ্রাসা পরিচালন কমিটির সম্পাদক রুহুল গাজী বলেন, “অগস্ট মাসে রমজানের কারণে রান্না না করে শুকনো ছোলা ও চাল ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়েছিল।”
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদিকা সুফিয়া বিবি বলেন, “সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এখন সেই ক্ষোভ মেটাতে ওরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
কুলপির বিডিও সুদীপ্ত দেব নাথ বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই অভিযোগের তদন্ত করা হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |