কাঁদানে গ্যাস-লাঠি, ধৃত ২৩
মজফ্ফরের জেল-হাজত নিয়ে ধুন্ধুমার অনুগামীদের
লৌহ-আকরিকে বেআইনি রদবদল ও চুরির অভিযোগে ধৃত সিপিএম কাউন্সিলর শেখ মজফ্ফরকে সোমবার হলদিয়া আদালতে হাজির করানোর পরে বাধল গণ্ডগোল।
যে ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার ধরা হয়েছিল মজফ্ফরকে, আদালতে এ দিন তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। কিন্তু বিচারক সর্বাণী বসুমল্লিক কেস-ডায়েরি দেখে জালিয়াতি, জাল নথি তৈরি, চুরি ও চোরাই মাল রাখার অভিযোগে ধৃতকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তার পরেই বাইরে ইট-পাথর ছুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী তথা সিপিএম নেতার অনুগামীরা। পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, আইআরবি মিলে আদালত চত্বরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খায়। আদালত লাগোয়া হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদে (এইচডিএ) পর্যন্ত ভাঙচুর চলে। ইটের ঘায়ে জখম হন শেখ ইসমাইল নামে এক আইআরবি জওয়ান। শেষ পর্যন্ত লাঠি চালিয়ে, ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে অবস্থা সামাল দেয় পুলিশ। মারমুখী জনতার মধ্যে থেকে মজফ্ফরের মেজো ছেলে আসগার আলি-সহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জনতা ছত্রভঙ্গ করছে পুলিশ।
এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ধৃতকে আদালতের লক-আপে আনা হয়। বাইরে ততক্ষণে হাজার দেড়েক মজফ্ফর-অনুগামী ভিড় করেছেন। তাঁরা নেতার মুক্তির দাবিতে বার বার স্লোগান দিচ্ছিলেন। বেলা আড়াইটে নাগাদ ধৃত নেতার জেল হেফাজতের খবর বাইরে আসতেই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে সমানে চলে বিষোদগার। গোলমাল হতে পারে আন্দাজ করেই এসডিপিও অমিতাভ মাইতির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু মারমুখী জনতাকে সামলাতে পুলিশ সমস্যায় পড়ে। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরে শেখ মজফ্ফরকে কোনও রকমে আদালত থেকে বার করে প্রিজনভ্যানে তুলে হলদিয়া সাব-জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময়ে মজফ্ফর অভিযোগ করেন, “আমি নির্দোষ। চক্রান্ত করে আমাকে জেলে পাঠানো হচ্ছে।” সন্ধ্যায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হলদিয়ায় যান ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিনীত গোয়েল ও জেলা পুলিশ সুপার অশোক প্রসাদ। এইচডিএ-তে পুলিশ-কর্তাদের পরিদর্শনের সময়ে ছিলেন সেখানকার চেয়ারম্যান তথা তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ডিআইজি বলেন, “শেখ মজফ্ফরের সমর্থক-অনুগামীরাই গোলমাল করেছেন। ২৩ জনকে ধরা হয়েছে।”
শেখ মজফ্ফররের গ্রেফতারের প্রতিবাদে হলদিয়ায় বিক্ষোভ।
শুভেন্দুবাবুর মন্তব্য, “ব্যবসা সংক্রান্ত একটি গ্রেফতারের সঙ্গে রাজনীতি জড়াচ্ছেন লক্ষ্মণবাবুরা। খেজুরি-নন্দীগ্রামের সিপিএম দুষ্কৃতীদের দিয়েই এ দিন পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। ওরা যে বিচার ব্যবস্থায় আস্থা রাখে না, তা-ও প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” সাংসদের অভিযোগ, “একদা খাসতালুক এইচডিএ হাতছাড়া হওয়ার হতাশায় লক্ষ্মণবাবুর প্ররোচনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে।” তবে লক্ষ্মণবাবু বা স্থানীয় কোনও সিপিএম নেতা এ দিনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

নিজস্ব চিত্র


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.