রাজধানীতে কালিম্পঙের কমলা-অর্কিড-সিঙ্কোনা
বিদেশ-বাজার ধরতে মেলা
বিদেশের বাজার ধরতে এবার কালিম্পঙের কমলালেবুকে দেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য মেলায় তুলে ধরবে রাজ্য সরকার। কালিম্পঙের এলাচ, অর্কিডকেও ওই বিভাগে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে দিল্লির প্রগতি ময়দানে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার’ শুরু হবে। মেলা চলবে ২৭ নভেম্বর অবধি। এবার ঝাড়খন্ড সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সহযোগী রাজ্য হিসাবে বাছাই করা হয়েছে। রাজ্যের স্টলে কমলালেবুকে বিশেষভাবে রাখতে মূলত উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যে কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। মুখ্যমন্ত্রীর সফর চলাকালীন অরূপবাবু কালিম্পঙে যান। সেখানে কৃষি বিপণন সম্পর্কিত নানা প্রকল্পের খসড়া তৈরি করেন। পাশাপাশি কমলালেবুর বিষয়টি তিনি স্থির করেন। উল্লেখ্য, একই সময় পাহাড়ের কমলালেবুকে নিয়ে বিশেষ উৎসব বা মেলা করার কথাও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন কৃষিজ পণ্যের মধ্যে কালিম্পং কমলালেবু, অর্কিড, এলাচ, সিঙ্কোনার একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক দশকে তা ঠিকমত প্রচার এবং বিপণন করা হয়নি। কমলালেবুকে দিল্লিতে বাণিজ্য মেলায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঠিক হয়েছে। দিল্লিতে আমরা কথাবার্তা বলছি। রাজ্যের স্টলে কালিম্পঙের কমলালেবুকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে।” তাঁর কথায়, “এত ভাল কমলালেবু থাকার পরেও ভুটান, নাগপুরের কমলালেবু বাজার ছেয়ে থাকে। এবারের মরশুম থেকেই পাহাড়ে কমলালেবুর বিপণনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তার জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা হচ্ছে।” গত ১২ অক্টোবর মন্ত্রী কালিম্পঙে যান। সেখানে কৃষি, কৃষি বিপণণ, উদ্যান পালন বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে ছাড়াও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন কালিম্পঙের বিধায়ক তথা মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সচিব হরকা বাহাদুর ছেত্রী। তিনি জানান, এই অঞ্চলের মধ্যে কালিম্পং সবচেয়ে বেশি কৃষিজ দ্রব্যে সমৃদ্ধ। কমলালেবু থেকে এলাচি, রবার, সিঙ্কোনা, নানান প্রজাতির গাছ, অকির্ড রয়েছে। বিদেশের বাজারে এগুলির চাহিদা প্রচুর। বাগডোগরা বিমানবন্দর রয়েছে। অথচ গত রাজ্য সরকার সেভাবে কিছুই করেনি। বিপণনের জোরে সিকিম এদিক থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বিধায়কের কথায়, “মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পাহাড়ের কমলালেবু, এলাচি এবং অর্কিড এবার দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য মেলায় যাচ্ছে। এতে আগামী দিনে বিদেশের বাজারে ব্যবসার দিক খোলার সম্ভাবনা দেখা দেবে। রাজ্য সরকার কৃষি ভিত্তি করে কালিম্পঙের গ্রামীণ পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারের অর্থনীতি বিকাশের নানা পরিকল্পনা নিয়েছে।” কৃষি বিপণন দফতর সূত্রের খবর, এ ছাড়াও কালিম্পঙে শহরের পাশেই একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরজন্য প্রায় ৬০ একরের একটি জমি চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে কিছু জমি ব্যক্তিগত মালিকানায় রয়েছে। ওই জমির মালিকেরা স্বেচ্ছায় জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরিবার পিছু একজন করে চাকরি চেয়েছেন। মন্ত্রী অরূপবাবু তাঁদের বিধায়কের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে বলেছেন। এ ছাড়া সরকারি সাহায্যে অকির্ড গাছগাছড়াকে সামনে রেখে একটি নার্সারি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ২০০৫ সালে কালিম্পঙে একটি পাইকারি বাজার তৈরি হলেও আজ অবধি তা উদ্বোধন হয়নি। মাস তিনেক আগে পাহাড়ে এসে তা সংস্কার করে দ্রুত চালু করার কথা বলেছিলেন। আগামী দু’মাসের মধ্যে তা চালু হতে চলছে। বর্তমানে থাকা ৩৪টি স্টলকে দেওয়ালের মাধ্যমে ভাগ করে ৬৮টি স্টল করা হচ্ছে। এই বাজারের ফাঁকা জমিতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ‘পিপিপি’ মডেলে একটি কোল্ড স্টোরেজ তৈরির করা হবে। কালিম্পং এবং লাগোয়া এলাকার কৃষিজ পণ্য কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে বিপণন এবং চাহিদামত তা বিদেশের বাজারেও পাঠানো সম্ভব হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.