বহিরাগত খেতমজুরদের দিয়ে চাষ করানো নিয়ে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে সাত জন আহত হলেন মেমারির রুকুনপুরে। তিন জনের আঘাত গুরুতর। দু’জনকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং এক জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রামের খেতমজুরেরা ধর্মঘট করেছিলেন। সোমবার সকালে স্থানীয় চাষিরা বাইরে থেকে মজুর এনে কাজে লাগান। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ধমর্ঘটীরা বহিরাগত মজুর ও চাষিদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কিছু স্থানীয় নেতা চাষিদের সঙ্গে রয়েছেন বলে সিপিএমের দাবি। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমই গ্রামের খেতমজুরদের ইন্ধন দিয়েছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জন খেতমজুরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত দিন সাতেক আগে। রুকুনপুর গ্রামে এক চাষির বাড়ি থেকে একটি চালকুমড়ো চুরি গিয়েছিল। বাড়িতে ধান ঝাড়ার কাজ করতে আসা কয়েক জন মজুরকে গালিগালাজ করেন ওই চাষি। তিন দিন পরে গ্রামের খেতমজুরেরা জানিয়ে দেন, ওই চাষির বাড়িতে কেউ কাজ করতে যাবেন না। চাষিরা পাল্টা জানান, ওই গ্রাম থেকে কোনও খেতমজুরকে কাজে নেওয়া হবে না। তাঁরা বহিরাগত খেতমজুরদের দিয়ে কাজ করাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁদের দাবি, পুলিশ তাঁদের সেই অনুমতি দিয়েছিল।
তৃণমূলের মেমারি ২ ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের অভিযোগ, সিপিএমের সমর্থক খেতমজুরেরা প্রান্তিক চাষিদের উপর হামলা চালিয়েছে। চার আহতকে পাহাড়হাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং তিন জনকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চোট গুরুতর হওয়ায় মেমারি থেকে সুভাষ পান নামে এক চাষিকে বর্ধমানে পাঠানো হয়। তাঁর মাথায় টাঙ্গি ও কুড়ুল দিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। সুভাষবাবুর বক্তব্য, “পুলিশ দু’পক্ষকে ডেকে মীমাংসা বৈঠক করানোর কথা বললেও হামলা চালানো হয়।” তবে সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুকান্ত কোঙার বলেন, “ঘটনাটির কথা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |