মায়ের ঝাড়ফুঁকের জেরে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। এমন অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রানিগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শালডাঙা মুচিপাড়ায় রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মৃতার নাম চন্দ্রা সাউ (৩২)। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রাদেবীর শ্বশুরবাড়ি হুগলির রিষড়ায়। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। চন্দ্রাদেবীর স্বামী রাজকুমার সাউ পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, মাসখানেক আগে স্ত্রী অসুস্থ হলে তাঁকে রিষড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁরা। সুস্থ হওয়ার পরে বাড়ি নিয়ে যান। রাজকুমারবাবুর অভিযোগ, ৭ অক্টোবর তাঁর শাশুড়ি গৌরী বাউরি জোর করে তাঁর স্ত্রীকে রানিগঞ্জে বাপেরবাড়ি নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে ফের অসুস্থ হলে ঝাড়ফুঁক শুরু হয়। |
চন্দ্রাদেবীর বছর বারোর মেয়ে কিরণ বলে, “কখনও রড, কখনও লঙ্কা পোড়া দিয়ে মাকে ছ্যাঁকা দিত দিদিমা। চিৎকার করলে আমাকে ও আমার সাত বছরের ভাইকেও ছ্যাঁকা দেবে বলে ভয় দেখাত।” মুচিপাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, মৃতার হাত ও গলার কাছে বেশ কিছু পোড়া দাগ রয়েছে। গৌরীদেবীর স্বামী ভুবন বাউরি এই ঘটনার ব্যাপারে কোনও কথা বলতে চাননি। তবে তাঁর ছেলে কৃষ্ণ বাউরি বলেন, “ঝাড়ফুঁক করতে গিয়েই এমন ঘটল। মা আমাদের কোনও কথা শুনল না।” তবে গৌরীদেবীর পাল্টা দাবি, “আমি নয়, মেয়েকে মেরে ফেলল জামাই।” কী ভাবে, সেই উত্তর অবশ্য গৌরীদেবী দিতে পারেননি।
রানিগঞ্জ থানায় শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন রাজকুমারবাবু। পুলিশ জানায়, অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা দায়ের হয়েছে। ভুবনবাবু ও গৌরীদেবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য আসানসোল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। |