কোচবিহারে সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ততম বাজার হল বড়বাজার বা ভবানীগঞ্জ বাজার। এই বাজারের বাইরে মেন রাস্তার দু’পাশে এবং বাজারে ঢোকার মুখ থেকে শুরু করে গোটা বাজার এলাকা জুড়ে দোকানদাররা যে ভাবে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করেন, পায়ে হেঁটে চলাফেরা করাই মুশকিল হয়ে পড়ে। তার ওপর রিকশা, সাইকেল, অটোরিকশা, রিকশাভ্যান, মোটরবাইক, বড় বড় এন পি ট্রাক, মারুতি এগুলির অহরহ যাতায়াত, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মালপত্র তোলা-নামানো আর জ্যামজট বীভৎস আকার ধারণ করে। আবার, ড্রেনগুলির দুর্গন্ধ, তার ধারেই ফুল দূর্বা, পল্লব, তুলসী প্রভৃতি ঠাকুরের নিত্য দিনের পুজোর দ্রব্যাদি শুদ্ধাচারে বিক্রি করছে মুখে বিড়ি নিয়ে কোনও বিক্রেতা। মাছের পচাগলা জল দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আর বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা তাঁদের দোকানের সামনে রাস্তা দখল করে অন্য ফুটপাত ব্যবসায়ীদের বসতে দিচ্ছেন। যদি দুর্ঘটনা ঘটে তা হলে দমকল-অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করার মতো অবস্থাও নেই। |
আবার, পরিবেশ দূষণে কোচবিহার জেলা পিছিয়ে নেই। মেন রাস্তার ড্রেনগুলি প্লাস্টিকে পরিপূর্ণ; ফলে একটু বৃষ্টিতেই জল জমে রাস্তা ডুবে যায়। শহর নানা কোম্পানির বিজ্ঞাপনে ছেয়ে গিয়েছে, আলোর প্রতিফলনের জন্য অহরহ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাস্তার পাশে জমানো নোংরাগুলি শুকিয়ে বাতাসে উড়ে বেরোচ্ছে। ফলে চর্মরোগ, শারীরিক অসুস্থতা মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে। বেসরকারি বাস ও মিনিবাস টারমিনাসের পিছনে পচা ডিম ও তার খোসা পুড়িয়ে বায়ুদূষণ ঘটে চলেছে। রাজবাড়ি আবাসনে গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ে। রাস্তার ধারে ট্যাপকলগুলি খোলা থাকায় জল অপচয় হচ্ছে। যদি কলের মুখ লাগানো যায়, তা হলে জল অপচয় বন্ধ হবে।
পুরপিতার কাছে সমস্যাগুলির দ্রুত অবসান গ্রহণের আর্জি রইল।
বিপ্লবকুমার সরখেল। রাজবাড়ি হাউসিং কমপ্লেক্স, কোচবিহার
|
খড়কুটো আবর্জনা দিয়ে ডিপো-ইন-চার্জের বসবার ঘর। পাশে ট্রাফিক কন্ট্রোল। সমস্ত ডিপো চত্বর জঙ্গলাকীর্ণ। চাল দিয়ে জল পড়ে। এই হচ্ছে এন বি এস টি সি-র জোড়াই ডিপো। তিন দশকের বেশি সময় ধরে শাসন করা বামফ্রন্টের কীর্তির আর এক নমুনা জোড়াই ডিপো। বহু বার আবেদন-নিবেদনেও এই ডিপোর সংস্কারে উদ্যোগী হননি প্রশাসনিক কর্তারা। মানুষের রায়ে গোটা বাংলারই পরিবর্তন হয়েছে। তৃণমূল দলের নাটাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সংস্থার কর্তৃপদে আসীন হয়েছেন। জোড়াই, রামপুর, বারবিশা অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশার পারদ চড়েছে। এ বার এই ডিপোর হাল হয়তো ফিরবে। এই ডিপোর বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটগুলিও আবার চালু হবে, এই প্রত্যাশা আমাদেরও।
শুভাশিস দাশ। দিনহাটা
|