টুকরো খবর
সুপারই নেই হাসপাতালে
শয্যা রয়েছে ৬৮। হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ঘাঁটলে রোগী-সংখ্যাটা অন্তত দ্বিগুণ। ৬৮ শয্যার হাসপাতালে ঝাড়ুদার থাকার কথা ১২ জন। রয়েছেন ৪ জন। আবর্জনার স্তূপ, দুগর্ন্ধে টেকা দায়। অন্তর্বিভাগে বাড়তি রোগী ভর্তি থাকায় হিমসিম খান চিকিৎসকেরা। ১০০ শয্যার হাসপাতালে ২৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা। সেখানে সংখ্যাটা ৮। খাতায় কমলে চাঁচল গ্রামীণ হাসপাতাল মহকুমা স্তরে উন্নীত হলেও পরিকাঠামোর উন্নতি হয়নি। সুপার নিয়োগ হয়নি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভেন্দু সাহা বলেন, “চাঁচল হাসপাতালে মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই সুপার নেই। রোগীর চাপ সামলে হাসপাতাল সাফসুতরো রাখা তাই কঠিন হয়ে পড়েছে।” প্রায় এক দশক আগে রাজ্য চাঁচলকে মহকুমা ঘোষণা করে। সেই হিসাবে গ্রামীণ হাসপাতালের মহকুমা স্তরে উন্নীত হওয়ার কথা। বাসিন্দারা গত এক দশক ধরে আন্দোলন করার পরে গত বছর জুনে চাঁচলকে মহকুমা হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণায় হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১০০ এবং চিকিৎসক অন্ততপক্ষে ২৮ জন হবে বলেও জানানো হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় অন্য পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার। হয়নি কিছুই। রাজ্যের শিশু, নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “বামফ্রন্ট চমক দিতে ভোঠ কুড়োতে এমন অনেক কিছুই করেছে। কী ভাবে দ্রুত সমস্যা মেটে সেটা দেখছি।” মহকুমা হাসপাতালে ঢুকলেও দেখা যাবে সমস্ত শয্যা ভর্তি। রোগীর ভিড় সামাল দিতে মেঝেয়, যাতায়াতের পথেও শয্যা পাতা রয়েছে। অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর, বেড়াল। অপরিচ্ছন্ন ওই পরিবেশে নাকে রুমাল না-দিলে ঢোকা যায় না। সেখানেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা। ফলে প্রায়ই পরিষেবা নিয়ে রোগীদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছচ্ছে। বিক্ষোভ, আন্দোলন লেগেই রয়েছে। চাঁচল রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা এলাকার বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, “চাঁচল হাসপাতালে রোগীদের ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। কিন্তু পরিকাঠামো গড়ে না-ওঠায় রোগীদের ক্ষোভ কমছে না। বিধানসভায় বহু বার এ সব বলছি। এ বার বন্ধু সরকার। আশা করছি, সমস্যা মিটবে।” মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “একে রোগীর চাপ। তার উপর পরিকাঠামোই প্রধান সমস্যা হাসপাতালে। শয্যা সংখ্যা বাড়াতে স্বাস্থ্য ভবনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অন্তত ৩০০ শয্যা দরকার।”

বাতের চিকিৎসা শিবির
বিশ্ব আথরাইটিস দিবস উপলক্ষ্যে নিখরচায় বাতের চিকিৎসা শিবির হল। রবিবার শিলিগুড়ির বলাইদাস চট্টোপাধ্যায় রোডে বাতের চিকিৎসা ক্লিনিকে শিবিরের উদ্বোধন করেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুজয় ঘটক। ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। শিবিরের উদ্যোক্তাদের অন্যতম চিকিৎসক পার্থপ্রতীম পান বলেন, “এ দিন শিবিরে প্রায় ৩৫০ জন রোগীর বাতের চিকিৎসা করা হয়। শহর লাগোয়া এলাকা থেকে গরিব পরিবারের অনেক রোগী এসেছিলেন। তার মধ্যে প্রায় একশো কচিকাঁচাও ছিল। নিখরচায় ওষুধ এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে ‘হট ব্যাগ’, ‘নি-ক্যাপ’-এর মতো সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে।

চক্ষু শিবির
রাজগঞ্জের শিকারপুরে চক্ষু শিবির হল। শুক্রবার শিলিগুড়ি গ্রেটার লায়ন্স আই হাসপাতালের স্টাফ নূর বানু খাতুনের উদ্যোগে প্রাথমিক স্কুলে ওই শিবির হয়। ৭০ জনের চোখ পরীক্ষা করে ছানি অপারেশনের জন্য তাঁদের চিহ্নিত করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.