সম্পাদক সমীপেষু ...
আমরা ভুলেই থাকলাম
অক্টোবর ২০১১ চলে গেল। অথচ দিনটি বাংলার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে গণ্য হওয়ার যোগ্য। ডা. নীলরতন সরকারের (১৮৬১—১৯৪৩) জন্মদিবস ছিল গত ১ অক্টোবর। অর্থাৎ তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষ পূর্ণ হল। ডা. সরকারের বিষয়ে সাধারণ বাঙালি খুব অল্পই জানেন। রবীন্দ্রনাথ এবং আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে নিয়ে যে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এক ধরনের হইচই হচ্ছে, ডা. সরকার সম্পর্কে তার লেশমাত্র দেখা গেল না। অথচ ১৮৯০ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত দেশের প্রায় প্রতিটি কাজে ডা. সরকারের যোগ ছিল। এ কথা অনেকেই জানেন না যে, অস্থি সংক্রান্ত চিকিৎসায় এক্স-রশ্মির ব্যবহার ভারতে ডা. সরকারই প্রথম করেন। ১৮৯৫ সালে রন্টজেন এক্স-রশ্মি যন্ত্র তৈরি করার পর সেই সংক্রান্ত তথ্যাদি জগদীশচন্দ্র জেনে (কিন্তু যন্ত্রটি না-দেখেই) কয়েক মাসের মধ্যেই প্রেসিডেন্সি কলেজে একটি এক্স-রে রশ্মি যন্ত্র তৈরি করে ফেলেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন ডা. নগেন্দ্রচন্দ্র নাগ। তিনি তখন প্রেসিডেন্সির রসায়ন বিভাগে ছিলেন। ডা. নাগ পরে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ডেপুটি ডিরেক্টর হয়েছিলেন। ডা. সরকারের সঙ্গে জগদীশচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। জগদীশচন্দ্রের তৈরি করা এই যন্ত্র নীলরতন সরকার অস্থি চিকিৎসার কাজে লাগান।
ডা. নীলরতন সরকার
এ ছাড়াও ডা. সরকারের সঙ্গে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, জাতীয় শিক্ষা পরিষদ এবং আরও নানা কার্যকলাপের যোগ ছিল। মহাত্মা গাঁধীর সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল ছিল। কিন্তু ১৯১৯ সালে যখন কংগ্রেসের ভিতরে নরমপন্থী এবং চরমপন্থীদের বিবাদ উপস্থিত, তখন তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন। তিনি বেশ ক’টি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনেও অকাতরে সাহায্য করেন। বেশ ক’টি মেডিক্যাল স্কুল বা কলেজ স্থাপনেও অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন। তার মধ্যে দু’টির কথা তো আমরা সকলেই জানি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ। তিনি তিন বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেন (১৯১৯-১৯২১)। তিনি আজীবন বসু বিজ্ঞান মন্দির ও বিশ্বভারতীর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
আশ্চর্যের বিষয়, এমনকী নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজেও ডা. সরকারের জন্মদিবস পালনের কোনও সংবাদ আমরা পাইনি। একমাত্র একটি ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টার কথা যা জানতে পেরেছি তা হল, সুতানুটি বইমেলা ও বই-চিত্র এই দুটি সংস্থার যুগ্ম প্রয়াসে গত মার্চ মাসে (২০১১) ৩২ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। এই পুস্তিকাটি ‘বিশ্বভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা নীলরতন সরকার সম্পর্কে স্মরণ-রচনার পুনর্মুদ্রণ। ডা. সরকারের কোনও পূর্ণাঙ্গ জীবনী পাওয়া যায় না।
বাঙালি চিকিৎসকগণ ও আমাদের বিদ্বজ্জনেরা এ বিষয়ে মনোযোগী হলে, মনে হয় মহৎ কাজ হবে।
বিজ্ঞান
প্রথম পাতার শিরোনাম ‘প্রশ্নের মুখে আইনস্টাইন’ (২৪-৯) প্রসঙ্গে বলি, আমার বয়স সত্তর ছুঁইছুঁই। জন্মানোর পর থেকে আনন্দবাজার চোখে দেখে আসছি। মনে পড়ছে না বিজ্ঞানের কোনও ঘটনাকে এই ভঙ্গিতে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে। প্রথম উপগ্রহ পাঠানো, মহাশূন্যে গ্যাগারিনের বিচরণ বা চাঁদে মানুষের পদার্পণ ঠিক মনে করতে পারছি না, শিরোনামের বর্ণ আকৃতি এত বড় ছিল কি না। আর যদি হয়েও থাকে, সে সব ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে খুব সরস ছিল। কিন্তু একেবারে বিজ্ঞানসংম্পৃক্ত ঘটনার এই প্রকাশ অনন্য। মানুষকে একটু নাড়া দিলেও দিতে পারে।
বিজ্ঞানের দৌলতে সব ভোগ করেও বিজ্ঞানই তো আমাদের চিন্তা-ভাবনায় সবচেয়ে পিছনের সারিতে।
দখল ফুটপাথ
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়
দমদম নাগেরবাজারে ফ্লাইওভারের কাজ চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। কবে যে শেষ হবে তা বলা মুশকিল। পাশে যশোহর রোডের অবস্থা শোচনীয়। বিপজ্জনক ভাবে যান চলাচল করছে। পিচঢালা রাস্তা উধাও হয়ে যাচ্ছে। খানাখন্দ ভরা রাস্তা। ফুটপাথ হকারদের দখলে। তা হলে পথচারীরা হাঁটবে কোথা দিয়ে?
রোগীদের অসুবিধা
হাসপাতালের সামনের রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু নার্সিংহোমের সামনের রাস্তায় বিয়ের মরসুমে কানফাটানো পটকার আওয়াজ, ব্যান্ডপার্টির বুকফাটানো সংগীত নিষিদ্ধ নয়। এমনই বৈপরীত্যে অসহ্য পীড়াদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়া জেলার কাটজুড়িডাঙায়। এখানে বেশ কিছু লজ, নার্সিংহোম যেন কোলাকুলি করে দাঁড়িয়ে আছে। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, বিয়ের মরসুমে শব্দ-যন্ত্রণার পীড়াদায়ক পরিবেশে, যেখানে সুস্থ মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেখানে নার্সিংহোমের রোগীদের অসুবিধার কথা ভাবুন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.