রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও জেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এখনও বামেদের দখলে। গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়ন করতে হলে পঞ্চায়েত দখল করতে হবে। রবিবার মঙ্গলকোট গ্রামে তৃণমূলের জনসভায় এ কথা জানিয়ে কর্মীদের এখন থেকে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বললেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। |
এ দিন বিকেলে মঙ্গলকোট গ্রামে অজয় নদের ধারে জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের পরে এই প্রথম কোনও বাম-বিরোধী দল এই গ্রামে জনসভা করল। এ দিনের সভায় ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ, দলের বীরভূম জেলা সভাপতি তথা মঙ্গলকোটের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল প্রমুখ। সভায় স্বপনবাবু বলেন, “বাম জমানায় মঙ্গলকোট ব্লকে উন্নয়ন হয়নি। আমাদের উন্নয়নের রাস্তায় হাঁটতে হবে।” গত বিধানসভা ভোটে মঙ্গলকোট কেন্দ্রে তৃণমূল মাত্র ১২৬ ভোটে সিপিএমের কাছে পরাজিত হয়। এ দিন মন্ত্রী বলেন, “আমরা এখানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে অল্প ভোটে হেরেছি। পঞ্চায়েত ভোটে এখানে আমাদের জেতার সুযোগ রয়েছে। তার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।” দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে স্বপনবাবুর হুঁশিয়ারি, “ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে অনেকে বাবু সেজে দলে ভিড়ছে। গরিব মানুষদের কথা ভুলে গেলে কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে বিপদ আসবে।”
এ দিনের সভায় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, এক সময়ে মঙ্গলকোটে সিপিএম নেতা ডাবলু আনসারি সন্ত্রাস তৈরি করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অনুব্রতবাবুর অভিযোগ, “ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও এখনও পুলিশের একাংশ আমাদের কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ সব আমরা মেনে নেব না।” বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা কাউকে ফাঁসাই না।”
মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশ এমন অভিযোগে অপরূপ শেখ নামে এক জনকে গ্রেফতারও করেছে। এ প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু বলেন, “তোলাবাজি করলে আমাদের দলে ঠাঁই নেই।” |