পর্দার বাইরে শুভশ্রী-র মুখোমুখি হলেন রানা সেনগুপ্ত
দু’বছর বসে ছিলেন কেন? চান্স পাননি নাকি?
কিছু অফার এসেছিল। স্ক্রিপ্ট পড়ে ভাল লাগেনি। শুধু আইটেম ডান্সও করতে চাইনি। আমি গ্রামের মেয়ে টালিগঞ্জে নায়িকা হতে এসেছি। তার জন্যে লড়াই করতে প্রস্তুত। সাফল্যের কোনও শর্টকাট নেই।

মেয়েবেলার কথা মনে আছে?
শুভশ্রী: সে তো আছেই। আমার তিন বছর বয়েসের কথাও মনে আছে। আমাদের যৌথপরিবারে আমরা সব মিলিয়ে ছিলাম ঠাকুমার আট-আটটি নাতি-নাতনি। সব ক’টাই সমান বিচ্ছু। আমরা বড়দের টেক্কা দিতাম। মানে, দোষ করে সবটাই ওদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতাম। ওরা ঠাকুমার কাছে মার খেত, বকা খেত। আমাদের ডবল মজা হত।

লেখাপড়াটা তো শেষ হল না?
শুভশ্রী: না, তা আর হল কই। ক্লাস ইলেভেনেই তো সিনেমা জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লাম। অনেক পরে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি। লেখাপড়া আর এগোয়নি।

থাকতেন তো বর্ধমান। তবুও কী করে টলিউডের নায়িকা হয়ে উঠলেন?
শুভশ্রী: এর পিছনে আছে আমার দিদি দেবশ্রীর চেষ্টা। দিদি আমাকে বারেবারে বলত, তোকে নায়িকা হতে হবে। এমন করে ইন্সপায়ার করত যে, ওর জোগাড় করা ‘আনন্দলোক নায়িকার খোঁজে’ প্রতিযোগিতার ফর্ম সই করে জমা দিলাম। দুর্গাপুরে প্রতিযোগিতার অডিশন হল। গোটা রাজ্য থেকে মোট ৭০০ প্রতিযোগী এলেন ওই অডিশনে। সেখান থেকে এলিমিনেট হতে হতে প্রথমে ১৫, তার পর ১০, শেষে একা আমি নির্বাচিত হলাম।

প্রতিযোগিতায় জিতেই তা হলে একেবারে পর্দায়?
শুভশ্রী: সত্যি বলতে কী যে-দিন ওই নায়িকার খোঁজের পুরষ্কার ঘোষিত হল, সেদিনই আমি প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক পরিচালক অনুরাগ বসুর ‘লাভ স্টোরি’র মেন রোলটাতে ডাক পাই। পরিচালক প্রভাত রায়ও বলেছিলেন, যে উইনার হবে, তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করব।

দুটো অফারের কী হল? ‘লাভ স্টোরি’তে তো আপনাকে দেখা গেল না?
শুভশ্রী: অনুরাগবাবুর সঙ্গে কথা বলতেও গিয়েছিলাম। উনি জানতে চাইলেন, ‘তুমি কি হিন্দি বলতে পারো?’ আমি বললাম, না তো। উনি বললেন, ‘তা হলে তোমার অসুবিধা হবে রোলটা করতে।’

তার পর?
শুভশ্রী: শেষে প্রভাতদার ‘পিতৃভূমি’তে জিৎদার বোনের রোল করলাম। এটাই আমার প্রথম সিনেমা।

ভেঙ্কটেশদের সঙ্গে আপনার গোলমাল হয়েছিল না? ফের ওদের কাছে ফিরে এলেন?
শুভশ্রী: হ্যাঁ। গোলমাল একটা হয়েছিল। ওঁরা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে কোনও ছবি দেননি। অথচ ওঁদের সঙ্গে আমার দু’বছরের একটা চুক্তি ছিল। এখন ওঁরা ফের ডেকেছেন। বলতে পারেন, ওঁরাই শুভশ্রীর কাছে ফিরে এসেছেন।

‘পিতৃভূমি’র পরে আপনি এক দফা হারিয়ে গেলেন?
শুভশ্রী: পিতৃভুমির পরে টানা দেড় বছরের গ্যাপ। অনেক চেষ্টা করে আমি একটা সিনেমায় নায়িকা হলাম। সেটা ওড়িয়া ভাষার। নাম ‘মতেতা লাভ হেলারে’।

বাপরে! এটার মানে কী?
শুভশ্রী: এটার মানে, আই অ্যাম ইন লাভ। নায়ক অনুভব মহান্তি। উনি ওড়িয়া স্টার। সিনেমাটা টানা ১৫০ দিন ধরে চলেছিল। তার পরে ব্যাক টু বেঙ্গল।

কেন ফিরতে হল? আর অফার দিল না ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রি?
শুভশ্রী: অফার ছিল। কিন্তু তত দিনে টলিউড অফার দিয়েছে যে। ইনফ্যাক্ট আামি তো ‘মতেতা লাভ হেলারে’র শুট থেকেই ছুটি নিয়ে এখানে আসি রাজ চক্রবর্তীর প্রথম ছবি ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-র নায়িকার প্রস্তাব নিয়ে কথা বলতে। সবই ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু সেটা থেকে কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আমি বাদ পড়লাম।

বেদম খারাপ লাগল তো?
শুভশ্রী: সে তো লাগলই, কিন্তু কী করা যাবে। নিজেকে বললাম, সবই তো ঠিকই আছে। অল ইজ ওয়েল। পরে কী হয় দেখ।

পরে কী হল?
শুভশ্রী: হাতে পেলাম ‘বাজিমাত’। হরনাথ চক্রবর্তীর ছবি। নায়ক সোহম। ইটস অ্যান অ্যাভারেজ ফিল্ম। তেমন চলেনি। তার পরে তো ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’ রিলিজ হল। শুভশ্রী পায়ের তলায় মাটি পেল।

আপনার ঘরের টেবিলে শুধু দেবের ছবি। উনিই শুধু আপনার নায়ক। আপনারা দু’জন শুধুই বন্ধু?
শুভশ্রী: টাচউড। আমরা দুজন শুধুই বন্ধু। এই দেব-শুভশ্রী সংক্রাম্ত প্রশ্নের জন্যে বন্ধুত্বটাই বিপন্ন হতে চলেছে। হয়তো আর বেশিদিন আমরা এটাকে টিকিয়ে রাখতে পারব না। দেব আর আমি দু’জনেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। এই পরিবারের লোকেদের কিছু গোঁড়ামি থাকে। আমার পরিবারের আছে। দেবের পরিবারেরও আছে। ওঁরা মনে করতে পারেন, এত কথা যখন হচ্ছে, তা হলে নিশ্চই কিছু ব্যাপার আছে। তা ছাড়া আমার নায়ক কে হবে, দেব নাকি দেবানন্দ, সেটা পরিচালকেরাই ঠিক করেন। ওটা আমাদের হাতে নেই।

আপনার জীবনটাই একটা টলিউডি সিনেমা। গ্রাম থেকে আসা নায়িকা। অনেক সংগ্রামের পরে স্টার হল। কিন্তু যাকে ভালবাসে, তাকে প্রকাশ্যে বলতে পারছে না, ভালবাসি।
শুভশ্রী: গল্পটা লিখে রাখুন। সময় এলে কিনে নেব। তবে আমি প্রকাশ্যে কিছু বলতে ভয় পাই না। কাউকে ভালবাসলে সে কথা বলে দিতাম। অন্তত যাকে ভালবাসি, তাকে।

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
দুগ্গা দুগ্গা গেছে, ব্যোম কালী বাকি। খাঁচাখানা পড়ে আছে উড়ে গেছে পাখি। লজ্জায় জিভ কাটে কেন ছোটকাকি? পদতলে বড়মামা শুয়ে আছে নাকি? এই সব চিন্তায় আজকাল থাকি। পরিও না রাখি।
পুরন্দর ভাট। কার্জন পার্ক

ভবানীপুর উপ-নির্বাচন: বুদ্ধবাবু আবার ঝাঁপাইয়া পড়িয়া এবং হারিয়া প্রমাণ করিলেন যে, তিনি অন্তত রাজনৈতিক ভাবে বাঁচিয়া নাই!
সুদর্শন নন্দী। মেদিনীপুর

‘কন্ট্রোভার্শিয়ালি ইয়োর্স’ বইটি লেখার পর ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’শোয়েব আখতারের নাম বদলে ‘উদোরপিণ্ডি লোকাল’ রাখা হোক!
হীরালাল শীল। বউবাজার

ইদানীং সি এ বি-র আলোচনায় ক্রিকেটারদের অ্যাকাউন্টেবিলিটি নিয়ে আবার নতুন করে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টেবিলিটি আরও বাড়া দরকার। প্রশ্ন হল, গত কয়েক বছরে তো কোটি কোটি টাকা রোজগার করে তাঁদের অ্যাকাউন্ট-এবিলিটি অনেকটাই বেড়েছে। তবে, একটা বাড়লেই কি অন্যটা বাড়ে?
ডিকি বার্ড রায়চৌধুরী। বালিগঞ্জ

মোহনবাগানের ফুটবল টিম থেকে বাংলার ক্রিকেট টিম, কোনও কোচই অন্যের কথা শুনে চলতে নারাজ। বোঝাই যাচ্ছে, তাঁরা রেলওয়ের থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। কারণ, দেখা যাচ্ছে, সেখানে ইঞ্জিনের কথা কোনও কোচই শুনছে না।
দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত। খড়্গপুর

ভারতীয় ক্রিকেটে প্রশ্ন: হরভজনকে বাদ দেওয়ার পর হার-ভোজন কি কমবে?
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

লক্ষ্মীপুজোর বাজারে সি পি এম-এর কিছু কাজ জুটেছে বলেই মনে হল। তাদের থোবড়ার এখন যা অবস্থা, তাতে লক্ষ্মীর বাহন হিসেবে পুজোর দিনটা হোলটাইমার হতেই পারে।
অনিল পাড়ুই। মগরা

পুজোর প্যান্ডেলে যত বাঁশ লাগে, সেগুলো কোথা থেকে বেরিয়ে আসে, আর কোথায়ই বা ফিরে যায়?
সৌরজিৎ বসাক। চাকদহ

সুভাষ দত্তের চাপাচাপিতে পোর্ট ট্রাস্ট ও কলকাতা পুরসভার নেতৃত্বে জলে পড়তে না পড়তেই সব প্রতিমা তুলে ধাপায় চালান করে দেওয়া হল। সেখান থেকে উমা ও তাঁর ফ্যামিলি কৈলাস পৌঁছবে কী করে? বাচ্চাগুলো তো ভাববে, ধাপার ময়লার পাহাড়টাই কৈলাস। সেটাই কি যুগোপযোগী?
হিরণ্ময় বণিক। গয়া

অসীমকুমার বসু
সালটা ১৯৯২। তখন কর্মসূত্রে আমি নাগপুরে। একটি সাহিত্যপত্র নিয়ে মেতে আছি সবাই মিলে। শুনলুম একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য শহরের একটি সুপরিচিত হোটেলে সপরিবার এসে উঠেছেন সলিল চৌধুরী।
পরিচিত এক জনের মাধ্যমে সময় ঠিক করে নিয়ে অনুষ্ঠানের এক দিন আগে সন্ধেবেলায় টেপ ও ক্যামেরা নিয়ে আমরা কয়েক জন হাজির সলিল চৌধুরীর হোটেলের স্যুটে।
ঢিলেঢালা সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরে সেদিন আড্ডার মেজাজেই ছিলেন এই প্রবাদপ্রতিম সুরকার। স্ত্রী সবিতা চৌধুরী ও মেয়েদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন। নাগপুরে থেকে আমরা একটি বাংলা সাহিত্যপত্রিকা চালাই শুনে খুশি হলেন খুব।
চা ও জলখাবার খেতে খেতে আমাদের আলাপচারিতা জমে উঠল ক্রমশ। সে দিন এক ঘণ্টারও বেশি সময় উনি কথা বলেছিলেন আমাদের সঙ্গে।
আশ্চর্যের কথা যেটা জানা গেল তা হল স্বাধীনতার পরও তাঁর অনেক গণসঙ্গীত নিষিদ্ধ ছিল। কলকাতার মনুমেন্টের নীচে অনুষ্ঠিত সভায় তাঁর কোন কোন গানগুলি গাওয়া যাবে না, তার একটা তালিকা টাঙানো থাকত।
কথায় কথায় বলেছিলাম, আপনি এত সমস্ত স্মরণীয় গান এক সময় আমাদের দিয়েছেন, এখন আর সে রকম গান আপনার কাছ থেকে পাচ্ছি না কেন? বললেন, বয়েসও হল আর সে সময়কার হেমন্ত আর সেই সময়কার লতাকে কোথায় পাব?
বলেছিলাম, আপনি তো প্রায় সমস্ত নামকরা গায়ক গায়িকাকে দিয়েই গান করিয়েছেন, কিন্তু আশা ভোঁসলেকে দিয়ে কোনও গান করাননি। ‘তাই কি?’ বলে কিছুক্ষণ ভেবে নিলেন। তার পর মৃদু হেসে বললেন, আপনি বোধ হয় ঠিকই বলেছেন। আশাকে দিয়ে কোনও গান করিয়েছি কি না, মনে পড়ছে না।
লেবু কচলালে তেতো।
টগবগে ক্রিকেটটাকে চটকে করে দিলি বেতো।
প্রতি দিন ক্রিকেট।
সেই এক গোদা বল, ভোঁতা উইকেট।
কে খুলবে টিভি আর কে কাটবে টিকেট!
ক্রিকেটকে বানালি মেগা-সিরিয়াল, তাই এই হাল
ঘুঁটে মালা গলে নিয়ে ছোটো দশ দিশ,
ক্রিকেটের বিষ-বিশ
তোমার হাসিটা আমার চমৎকার লাগে,
কারণ হলুদ আমার প্রিয় রঙ!

অভীপ্সা সেনগুপ্ত, দমদম পার্ক

ক্ষমা করিনি

এক দিন হঠাৎ প্রচুর রক্তক্ষরণ নিয়ে ভাই স্কুল ফেরত বাড়িতে হাজির। জিজ্ঞাসা করাতে বলে, বাংলার শিক্ষিকা ভাইয়ের এক সহপাঠীকে কাঠের স্কেল ছুড়ে মারলে সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার ভাইয়ের কপালে লাগে। ভাইয়ের সহপাঠীদের থেকে আরও জানতে পারি, ওই শিক্ষিকা তাদের বলেন, যদি তারা বলে স্কেল লেগে নয়, বেঞ্চে কপাল ঠুকে আমার ভাইয়ের কপাল ফেটে গিয়েছে, তবে উনি তাদের পুরস্কারস্বরূপ চকলেট দেবেন। স্কুলে গিয়ে দেখি ওই শিক্ষিকা গায়েব। বাবা-মাও ভাইয়ের স্কুলজীবনের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন না। পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে, ভাই এখন দশম শ্রেণিতে। আজও সেই শিক্ষিকা ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বহাল তবিয়তে। ভাই স্কুলে ছোট ছোট দুষ্টুমি করলেও বাড়িতে ফোন আসে, অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু সে দিন তো কোনও ফোন আসেনি। সত্যিই কি এঁদেরকে কোনও দিন ক্ষমা করা সম্ভব?
সানন্দা বিশ্বাস, উত্তর ২৪ পরগনা

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা নানা কথা নিয়ে আমরা
শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.